প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
সঙ্কেত দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। এমনকী, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর সুরে সুরে মিলিয়ে ২৫ মে থেকে রাজ্যে বিমান চলাচল শুরু না করার ব্যাপারেই সওয়াল করেছেন তিনি। রবিবার রাজ্যের মানুষের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। বিমান পরিষেবা শুরু করা কতটা জরুরি, সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমাদের আরও একটু সময় প্রয়োজন।’
যদিও এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক উল্টো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সোমবার থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে ন্যূনতম পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে ধীরে ধীরে বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।’ পাশাপাশি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মোদি সরকার একের পর এক ঘোষণা করে চলেছে। অথচ রাজ্যগুলির সঙ্গে একবারও আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করছে না।’
দেশে আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। আর সুপার সাইক্লোন উম-পুনে তছনছ হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই দুই রাজ্যই চেন্নাই ও কলকাতায় এখনই বিমান পরিষেবা চালু না করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে রাজ্যগুলি ভেটো দিতে পারে না। তারা শুধুমাত্র বিমান থেকে যাত্রীদের নামতে বাধা দিতে পারে। কিন্তু তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে উদ্ধব বলেন, ‘আগামী ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। রাজ্যে প্রচুর মানুষ ঢুকবেন বাইরে থেকে। তাতে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই লকডাউন তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী নই। ৩১ মে’র পর এটা শেষ হয়ে যাবে, এমন কোনও আশ্বাস দিতে পারছি না। সবকিছু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বুঝে করা হবে। বর্ষার সময়ও আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’
করোনার জেরে উদ্ভূত আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্য এখনও কেন প্যাকেজ ঘোষণা করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উদ্ধবের পূর্বসূরি দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এদিন তার উত্তরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে ধীরে অর্থনীতি চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য, এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা। প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে পরে ভাবব।’