Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার। বাজেটে ধরে নেওয়া এই ফিসকাল বা রাজকোষ ঘাটতিটা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র ৩.৫ শতাংশের সমান।
করোনা ভাইরাস এই সমস্ত হিসেব-নিকেশ উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। সমস্ত অর্থনীতিবিদই পরিষ্কার বুঝে গিয়েছিলেন যে ঋণের অঙ্কটা ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, ভারতকে এবার আরও ঋণ করতে হবে। শুধু সরকারই এই বাস্তবটা অস্বীকার করেছিল। অবশেষে ৮ মে সরকার নিমরাজির মতো স্বীকার করেছে যে তারা অতিরিক্ত ৪ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ করবে। তার ফলে ঋণের মোট পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। অনুমিত জিডিপি অপরিবর্তিত আছে ধরে নিলে ফিসকাল ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫.৩ শতাংশ।
নিছক ফাঁক-ফোকর পূরণ
আমি বলেছিলাম যে গৃহীত অতিরিক্ত ঋণের টাকাটা ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ (উদ্দীপক) হয়ে উঠতে পারত শুধুমাত্র যদি তা জনসংখ্যার নীচের দিকের অর্ধেক মানুষ বা সবচেয়ে গরিব পরিবারগুলির জন্য খরচ করা যেত—নগদ টাকা হাতে দিয়ে ও অন্য ধরনের সহায়তার মাধ্যমে এবং সম্পূর্ণ থমকে যাওয়া অর্থনীতিতে ফের গতি এনে। শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম যে অতিরিক্ত ঋণ হিসেবে নেওয়া ৪ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা ‘গ্যাপ ফিলিং’ বা ফাঁক-ফোকর পূরণে ব্যবহার করা হবে। সরকারের আশঙ্কা, কর সংগ্রহ এবং বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা বিরাটভাবে ধাক্কা খাবে। যদি অর্থনীতির অনুমিত ‘গ্যাপ’টির আয়তন ৪ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার হয়, তবে গৃহীত অতিরিক্ত ঋণের টাকাতেই সেই ‘গ্যাপ’ ভরাট করে দেওয়া হবে। এটা অনিবার্যই, মানছি। কিন্তু, তখন এই ৪ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবহার তো ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ বলে গণ্য হতে পারে না।
ব্যয়ের দিকের আরও কিছু আইটেমে সরকার কাটছাঁট করবে কি না তা পরিষ্কারভাবে জানা যাচ্ছে না। ব্যয় সঙ্কোচের যতটুকু ঘোষণা সরকার করেছে তাতে ৪১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার সাশ্রয় হবে এবং সেই টাকা কোভিড-১৯ মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করা হবে। এই যে খরচের হিসেব দেওয়া হচ্ছে তাতে ব্যয়ের ‘অরিজিনাল লেভেল’টাই শুধু ঠিক রাখা সম্ভব হবে। এবং, এই কারণেই ব্যবস্থাটি ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ বলতে যা বোঝায় তা হয়ে উঠবে না।
লিকুইডিটি ও ফিসকাল স্টিমুলাস
গত ২৫ মার্চ সরকার বিভ্রান্তিকর তকমা সেঁটে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল, আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এখন তারা সেটাকেও ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ বলে চালাবে। বাস্তবে অতিরিক্ত খরচের ব্যাপারটি হল এইরকম: নগদ হস্তান্তরের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং খাদ্যশস্যের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ করা দরকার যে, এই খরচটা এবারের বাজেটে ধরা ছিল না। সুতরাং এই ১ লক্ষ কোটি টাকাটিকেই আমরা ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ হিসেবে গণ্য করতে পারি।
আমার আরও সন্দেহ, অ্যাডিশনাল লিকুইডিটি বা অতিরিক্ত নগদের জোগানের ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই যেসব পদক্ষেপ করেছে, সরকার সেগুলিকেও ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ হিসেবে চালিয়ে দেবে। এক্সপেনডিচার বা ব্যয়ের সঙ্গে লিকুইডিটি গুলিয়ে দেওয়ার অর্থ ধারণাগত এক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়া। লিকুইডিটি ব্যাপারটা কাজ করে সাপ্লাই সাইডে বা সরবরাহের দিকে, অন্যদিকে ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’-এর প্রয়োজন চাহিদা বৃদ্ধির কাজে। সে যাই হোক, ২৭ মার্চ থেকে আরবিআই ৫ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত লিকুইডিটি সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে; সেইদিন থেকে ব্যাঙ্কগুলিও পালাক্রমে আরবিআইতে অতিরিক্ত টাকা জমা করেছে ৪ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা! সরকারের পক্ষ নিয়ে যুক্তি বিস্তারে বলা চলে যে, যদি অ্যাডিশনাল লিকুইডিটি বা অতিরিক্ত নগদের জোগানকে—ভর্তুকিযুক্ত সুদের হারে অথবা মকুবযোগ্য অতিরিক্ত ঋণের (অ্যাডিশনাল ক্রেডিট) সংস্থান বলে ধরা হয়, তবে সম্ভবত ওই ‘ইন্টারেস্ট সাবসিডি’ অথবা ‘রাইট অফ’ করে দেওয়া টাকার অঙ্কটিকে ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ গণ্য করা যেতে পারে। পুরোটাই অনুমানের ব্যাপার। অন্যদিকে, সব ধরনের ব্যাঙ্কঋণের মোট পরিমাণ গত ২৫ মার্চ যেখানে ১০৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা ছিল, আজ তা কমে হয়েছে ১০২ লক্ষ কোটি টাকা।
১২ মে প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম দখল করে নিলেন—কিন্তু পাতাটি রেখে দিলেন পুরো খালি! ১৩ মে থেকে অর্থমন্ত্রী প্যাকেজের বিষয়ে ‘বিস্তারিত’ জানাতে শুরু করলেন। অন্যদিকে মানুষ ক্ষোভের সঙ্গে বলল: কৃষক, পরিযায়ী শ্রমিক, যেসব শ্রমিক কর্মহীন বা ছাঁটাই হলেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রে অথবা অনিবন্ধিত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যেসব শ্রমিক কাজ হারালেন, যে-সমস্ত স্বনিযুক্ত ব্যক্তির কোনও কাজ নেই, ‘দিন আনি দিন খাই’ দরিদ্রতম পরিবারগুলি, হাতগাঁট-শূন্য হওয়ার কারণে যেসব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছে এবং প্রায় ৫ কোটি ৮০ লক্ষ মাঝারি-ছোট-ক্ষুদ্র (এমএসএমই) শিল্প-বাণিজ্য সংস্থা অর্থমন্ত্রীর এমএসএমই প্যাকেজের বাইরে রয়ে গেল। (অর্থমন্ত্রী দ্বিতীয় কিস্তিতে অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি আর্থিক ব্যবস্থা নিয়েছেন: দু’মাসের জন্য খাদ্যশস্য, যার খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।)
প্রথম কিস্তির ঘোষণা বিশ্লেষণ করতে বসে সরকার সম্পর্কে উদার মনোভাব রেখে বলতে পারি যে, অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতীয় কিস্তির একইরকম বিশ্লেষণ থেকে ৫ হাজার কোটির একটা হিসেব পাচ্ছি আর পরিতাপের বিষয় হল, তৃতীয় কিস্তির কিছুই পরিষ্কার নয়।
ঋণবহির্ভূত ব্যয়?
আমার ভয় হচ্ছে যে মূল সমস্যাটিকে বাদ রেখেই এই সমস্ত সংখ্যার কচকচানি চলছে। ‘অতিরিক্ত ব্যয়’ শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন ‘অতিরিক্ত রাজস্ব/সম্পদ’ রয়েছে। আর তা যদি না থাকে তো আমরা বাজেটে দেখানো ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকাতেই আটকে থাকব। অতিরিক্ত রাজস্ব/সম্পদের বিষয়ে বেগতিক বুঝেই সরকার নীরবতার নীতি নিয়েছে।
নির্দিষ্ট করে বলতে চাই, অতিরিক্ত ঋণগ্রহণ ছাড়া অতিরিক্ত খরচ করা সম্ভব নয়, এবং যুক্তি দিয়ে বুঝতে হবে যে এতে ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ও কিছু ঘটবে না। সারা পৃথিবীতে ফিসকাল স্টিমুলাসের উপায়ের নাম অতিরিক্ত ঋণগ্রহণ: বেশি ঋণ নাও ও বেশি খরচ করো, এবং ঋণের পরিমাণটা যদি একটা অস্বস্তিকর জায়গায় পৌঁছে যায় তবে অতিরিক্ত ঋণগ্রহণ বা ঘাটতির একটা অংশকে মুদ্রায় রূপান্তরিত করো—সোজা কথায় টাকা ছাপাও।
অতিরিক্ত ঋণের অনুপস্থিতি মানে অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধির উপযুক্ত ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’ না-পাওয়া। ২০ লক্ষ কোটি টাকা হবে অন্য একটি ‘জুমলা’ (মিথ্যে প্রতিশ্রুতি)। আমরা জুমলায় ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠব।
 লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
18th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে।
বিশদ

14th  May, 2020
হবু-গবুর গোপন মন্ত্রণা
সন্দীপন বিশ্বাস

 মহারাজা হবুচন্দ্রের আচরণে মনটা খারাপই হয়ে গেল মন্ত্রী গবুর। রাজবাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। সকলের জন্য প্রটোকল থাকলেও একমাত্র গবুচন্দ্রেরই তেমন কোনও বালাই ছিল না।
বিশদ

13th  May, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী মাস থেকেই বিধানসভার বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির বৈঠক ধাপে ধাপে শুরু করার কথা চিন্তা করছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে করোনা আবহে সরকারি বিধিনিষেধ তাঁকে ভাবনায় ফেলেছে।  ...

নয়াদিল্লি, ২৪ মে (পিটিআই): সরকারের ঘোষণা করা পদক্ষেপের সুবিধা নিয়ে দেশে বিনিয়োগ করুন। এবং ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলুন। দেশের শিল্পপতিদের প্রতি এমনই আর্জি জানালেন অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।   ...

নয়াদিল্লি, ২৪ মে: গৃহবন্দি জীবন একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মার কাছে। বাইশ গজে ফেরার জন্য ব্যাকুল তিনি। প্রচণ্ড মিস করছেন ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভারই মেয়াদ চলতি সপ্তাহে শেষ হয়ে যাচ্ছে। করোনা-পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন হয়নি। তাই অন্যান্য জায়গার মতো পুরসভায় দু’জনের একটি করে কমিটি করে নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা হবে। প্রত্যেক পুরসভাতেই এই মর্মে যুগ্ম সচিবের চিঠি চলে এসেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬ - বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪ - শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮ - শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী ...বিশদ

07:03:20 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ২,৪৩৬ জন, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৬৬৭ 

08:58:05 PM

তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০৫ জন, রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১৭,০৮২ 

06:37:20 PM

বাংলায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪৯ 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

06:23:35 PM

বাংলার ভয়ঙ্করতম বিপর্যয়ের মোকাবিলায় নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের স্যালুট মমতার 
ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তাণ্ডব চিত্র এখনও বর্তমান দক্ষিণবঙ্গে। টানা কাজ করেও ...বিশদ

06:07:08 PM

উম-পুন: মৃতদের পরিবারের হাতে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম 

05:32:00 PM