Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে। যে ভারতের মুখ ভীষণ করুণ। যে মুখে ছেয়ে থাকবে পরিযায়ী শ্রমিকদের সীমাহীন ব্যথা কান্না যন্ত্রণা দীর্ঘশ্বাস। ’৪৭-এ দেশভাগের পর সীমান্তবর্তী কয়েকটি রাজ্যের দুর্ভাগ্য হয়েছিল খুব কাছ থেকে এমন ছবি প্রত্যক্ষ করার। তারা দেখেছিল পূর্ববঙ্গ আর পশ্চিম পাঞ্জাবের লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল নরনারীর হাহাকার। আচমকা বেঘর, নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষগুলি একবস্ত্রে ছুটে এসেছিলেন ‘স্বাধীন ভারত’ চিহ্নিত ভূখণ্ডে। পুনর্জন্মের প্রত্যাশায়। বাঙালির জীবনে ওই ছবিরই আর একদফা রিপ্লে হয়েছিল ’৭১-এ। প্রথম ঘটনার নেপথ্যে ছিল বিদেশি শাসকের নষ্টামি। দ্বিতীয় ঘটনার কারণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ। পাকিস্তানের নরপিশাচ সেনাশাহির বিরুদ্ধে। আর আজ সারা ভারত দেখছে কয়েক কোটি নিরপরাধ পরিযায়ী শ্রমিকের হাহাকার। যখন ভারত পরিচালিত হচ্ছে অত্যন্ত মজবুত এক নির্বাচিত সরকার দ্বারা। রাজ্যে রাজ্যেও প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক সরকার। এই করোনা-মধ্যবর্তী ভারতকে কি সহজে ভোলা যাবে? চেষ্টাও করেও হয়তো পারবে না আগামী একাধিক প্রজন্ম।
ভারতের শ্রমিকদের বেশিরভাগই অসংগঠিত। তাই নিখুঁত পরিসংখ্যান পাওয়া দুষ্কর। সরকারি, বেসরকারি নানা সূত্রে জানা যায় যে, ভারতে মোট শ্রমিক ৪৯ থেকে ৫০ কোটি (তাতে ফি বছর যোগ হয় গড়ে ৭০-৮০ লক্ষ)। তাঁদের প্রায় ২০ শতাংশ মাইগ্র্যান্ট বা পরিযায়ী। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১০ কোটি। এঁদের কাজের সুযোগটা মূলত মরশুমি। কৃষিপ্রধান ভারত। ফসল রোয়া ও কাটার সময় বাদ দিলে নিজ নিজ গ্রামে এঁদের হাতে কাজ বিশেষ থাকে না। পেট চালানোর জন্য বাকি সময়টা তাঁরা ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যান। এঁদের ৪০ শতাংশের কাজ নির্মাণ শিল্পে। ২০ শতাংশ যুক্ত গৃহস্থালির কাজে। বাকিরা ইটভাটা, টেক্সটাইল, পরিবহণ পরিষেবা, গাড়ি নির্মাণ, খনি, বাগিচা প্রভৃতি ক্ষেত্রে যুক্ত। এঁদের কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশে। ২৪ মার্চ রাতে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করলেন। তখনও এই মানুষগুলির জানা ছিল না, তাঁদের সামনে রাতের চেয়েও অন্ধকার সব দিন অপেক্ষা করে আছে!
আমাদের কাছে ‘মানুষ’ ব্যর্থ হয়েছে ‘মানবসম্পদ’ হয়ে উঠতে। ‘দেশ’ আর ‘মানুষ’ সমার্থক হয়ে ওঠেনি। দেশ মানে একটি মানচিত্র। একটি রাজনৈতিক ভূগোল। রাষ্ট্র মানে একটি কঠিন কঠোর নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সরকার মানে একচ্ছত্র ক্ষমতা। তার মন না-থাকলেও কিচ্ছুটি যায় আসে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের যথাসময়ে বাড়ি ফেরার বাস্তবটি বিবেচনার মধ্যে না-নিয়েই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর তাঁদের জন্য ন্যূনতম সুরক্ষার ব্যবস্থা করতেও ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র। ২৭ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দিয়ে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার যে গালভরা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হল এবং নিয়োগ সংস্থাগুলিকে সরকার যে নির্দেশিকা পাঠাল, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যে আর্জি জানালেন—পরিযায়ী শ্রমিকদের ক’জনের কাছে তার সুবিধা পৌঁছল? এর উত্তর ওই ক্ষুধাক্লান্ত শ্রমিকদের মুখের বাইরে খুঁজতে যাওয়া বাহুল্য।
বাস্তবে আমরা দেখলাম, লকডাউনকালে ৮০ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকের বেতনের আর্জি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ভাড়া দিতে না-পারায় কোনওরকমে মাথাগোঁজার এক চিলতে ঘরটাও চলে গিয়েছে। সরকারের তরফে থাকার এবং রেশনের ব্যবস্থা হয়নি। নগদ টাকা পাননি। হাতেগাঁটে যা যৎসামান্য ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথম কয়েক দিনের ভিতরেই। অতএব তাঁদের সম্বল তখন এক পেট খিদে, এক বুক তৃষ্ণা, সামনে শেষ না-হওয়া পথ আর প্রিয় ঘরে ফিরে যাওয়ার কষ্টকল্পনা। মাইলের পর মাইল হেঁটে, কেউ-বা শিশুকে কোলেকাঁখে নিয়ে, কেউ-বা কাঁধে নিয়েছেন বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা কিংবা মাকে। আমরা শিউরে উঠলাম, গত শুক্রবার আওরঙ্গাবাদে মালগাড়ির ধাক্কায় ১৬ জনের মৃত্যু সংবাদে, যে ক্লান্ত মানুষগুলি ‘নিশ্চিন্তে’ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রেললাইনের উপর। এছাড়া মুম্বই, দিল্লি, আমেদাবাদ-সহ নানা স্থানে ঘরমুখো মানুষ হেনস্তা, এমনকী পুলিসি নিগ্রহেরও শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন মানসিক প্রতিবন্ধীও! উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক, ওড়িশা প্রভৃতি কয়েকটি রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে রাজি ছিল না। বিহার প্রথমে ‘ব্ল্যাঙ্কেট কনসেন্ট’ দিয়েও প্রত্যাহার করে নেয়। নীতীশ সরকার বলল, ‘কেস টু কেস’ দেখে ব্যবস্থা নেবে। দিল্লি, গাজিয়াবাদে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিজ নিজ জেলায় ফেরত পাঠানোর জন্য বাস দিয়েছিল অবশ্য যোগী সরকার। অন্যদিকে, দেরিতে হলেও বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক প্রভৃতি দু-চারটি রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে ফেরত পাঠানোর বাসের ব্যবস্থা করেছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস প্রভৃতি বিরোধী দলের লাগাতার সমালোচনার জবাবে মোদি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অতি সম্প্রতি ধরি মাছ না ছুঁই পানি গোছের কিছু প্রস্তাবই দিয়েছে কেবল। তাতে কোনও সমাধানই যে হওয়ার নয়, তা মোদিজির থেকে বেশি কারও জানা নেই।
পরিষ্কার ব্যাপার এই যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের সেফটি ও সিকিউরিটির দায়িত্ব সরকার তাহলে কতটা নিল আর কতটা ব্যক্তি-নাগরিকের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হল? সব দেখেশুনে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন আর একদল মানুষ—এঁরা দিল্লি, মুম্বই, আমেদাবাদ প্রভৃতি শহরে ছোটখাটো চাকরি করেন। লকডাউনের দু’-চারদিন আগেই অন্য প্রয়োজনে বাংলার বাড়িতে এসেছিলেন। আর ফিরতে পারেননি। যেমন এক যুবক দিল্লিতে এক ব্যবসায়ী পরিবারে গাড়ি চালক। এক প্রৌঢ়া মুম্বই শহরে ডাক্তার দম্পতির দু’বছরের কন্যার কেয়ার নেন। তাঁরা ফিরে এসেছেন যথাক্রমে বারুইপুরে ও পায়রাডাঙায়। লকডাউনের পর এঁরা বাংলাতেই ১০০ দিনের কাজ অথবা কুটির শিল্পে যুক্ত হয়ে নতুন জীবনের সন্ধানে নামবেন বলে ভাবছেন। আর জীবন বাজি রেখে এখন যাঁরা ফিরছেন এবং ফিরবেন? অপ্রবাসে শাকান্নে সুখে থাকার দর্শনে ডুব দিতে পারেন। প্রবাসজীবন সম্পর্কে বলছেন, ভিক্ষের দরকার নেই মা, কুকুর সামলাও!
লকডাউনকালে প্রবাসজীবনের বিভীষিকা এঁদের সবার পক্ষে এখনই ভুলে যাওয়া সম্ভব হবে না। কিছু শিল্পকর্তার আশঙ্কা, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর, এই কারণে, বহু শিল্প শ্রমিকসঙ্কটে পড়বে। ঘুরে দাঁড়াবার মুহূর্তেই মার খাবে উৎপাদন। যেমন বহুজাতিক অটোমোবাইল কোম্পানিগুলির দেশীয় ইউনিট, দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি ক্ষেত্র অলঙ্কার নির্মাণ শিল্প। করোনা-পরবর্তী ভারতে শুধু বেকার বাড়বে না, সমস্ত জিনিসের হাহাকারও বাড়বে। জাহাজঘাটা ক্রেন পাবে না। ওয়াগনে মাল লোডিং আনলোডিংয়ের লোক অমিল হবে। কলকাতা মেট্রো রেলের মতো বহু চালু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি গণপরিবহণ প্রকল্প বিশবাঁও জলে পড়ে যাবে। অসমাপ্ত বাড়ি, অফিস শেষ করার সিমেন্ট, ইস্পাতের আকাল দেখা দেবে। একই সঙ্কটে পড়বে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্প। সিমলা, কাশ্মীর, নাগপুরে আপেল অথবা কমলা বাগিচায় শ্রমিক বাড়ন্ত হবে। ১৮৯৬-তে প্লেগের সময় পাইকারি হারে মানুষ বম্বের মতো একাধিক মহানগরী ছেড়ে পালিয়েছিল। পরে শ্রমিকদের ফেরাতে হয়েছিল ইনসেনটিভের লোভ দেখিয়ে। করোনা-পরবর্তী ভারতের শিল্প-বাণিজ্যের কর্ণধারদেরও কি তার পুনরাবৃত্তি করতে হবে?
শুধু অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন নয়, ভারতের লেবার মার্কেট বহির্ভারতে মাইগ্রেশনের উপরেও বিশেষভাবে নির্ভরশীল। তার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয় ভারতের অর্থনীতি। সাম্প্রতিক একাধিক বছরের হিসাব থেকে দেখা যায়, এফডিআইয়ের মাধ্যমে যত বিদেশি মুদ্রা আসে তার তুলনায় দেড় গুণ বেশি আসে প্রবাসী ভারতীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে। তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও ট্রেনিং যৎসামান্য। ১৮টি ইসিআর-ভুক্ত দেশ, ছয়টি উপসাগরীয় দেশ এবং ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভৃতিতে তিন কোটির বেশি ভারতীয় নানা ধরনের চাকরি করেন। এই চাকরির ৯০ শতাংশ আরব দেশসমূহে। তাঁদের আয় ভারতের দেড় থেকে তিন গুণ। প্রবাসী শ্রমিকদের প্রায় তিনভাগের একভাগ উত্তরপ্রদেশের। বাকিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিহার, তামিলনাড়ু, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা প্রভৃতি। সাম্প্রতিক অতীতে তেল অর্থনীতি যতবার ধাক্কা খেয়েছে ততবার চাকরি খুইয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। করোনার ধাক্কায় তেল অর্থনীতির করুণ দশা। তাই সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মহলের কপালে নতুন চিন্তার ভাঁজ। ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা যখন হল তখন দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশের বেশি। সিএমআইই-র হিসাবে: ১১ মে তা বেড়ে হয়েছে ২৫ ছুঁই ছুঁই! অর্থনীতির বৃদ্ধির হার পুরোপুরি থমকে গিয়েছে, এমনকী নেগেটিভও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। নুয়ে পড়া এই অর্থনীতি কি পারবে তাঁদের সহায় হতে?
দরিদ্র (লজ্জায় বলি ‘উন্নয়নশীল’) ভারতকে ‘উন্নত’ ভারতে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখিয়ে নিজ নিজ মেয়াদ পার করেছেন অতীতের প্রধানমন্ত্রীরা। তবু ভারত এখনও তিমিরেই! পরিযায়ী শ্রমিকদের এই দুর্দশা থেকে মোদিজি কি কোনও পাঠ নিলেন? দ্বিতীয় দফায় তিনি অনেক সময় পাবেন। দেখুন না, ভারতজুড়ে শিল্প গড়া যায় কি না। আগের মতো ‘আমার জায়গা’য় কয়েকটি শিল্প-পকেট নয়। আক্ষরিক অর্থেই বিকেন্দ্রীকরণ চাই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোরও মৌলিক চাহিদা এটা। তবে, বিরোধীদের সবক শেখানোর কংগ্রেসি রাজনীতির ছেঁড়া জুতোয় পা গলালে হবে না। তার থেকে একটু ঊর্ধ্বে উঠতেই হবে। বিকেন্দ্রিত শিল্পায়ন ছাড়া লাখো লাখো শ্রমিকের ভিন রাজ্যে, ভিন দেশে ভাগ্যান্বেষণে গমন ঠেকানো অসম্ভব। অন্তত শুভ সূচনাও যদি আপনার হাতে হয়, হলফ করে বলতে পারি—মোদিজি, আপনার ফর্সা কুর্তা-চুড়িদারের পার্মানেন্ট ব্ল্যাক কালিও ম্যাজিকের মতো সাফ হয়ে যাবে।
14th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
হবু-গবুর গোপন মন্ত্রণা
সন্দীপন বিশ্বাস

 মহারাজা হবুচন্দ্রের আচরণে মনটা খারাপই হয়ে গেল মন্ত্রী গবুর। রাজবাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। সকলের জন্য প্রটোকল থাকলেও একমাত্র গবুচন্দ্রেরই তেমন কোনও বালাই ছিল না।
বিশদ

13th  May, 2020
একনজরে
রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ২৪ মে (পিটিআই): সুপার সাইক্লোন উম-পুনে ভারত এবং বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর দুঃখপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস।   ...

সংবাদদাতা, ইটাহার: ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রায়গঞ্জ শহরে বাস-বে বানাচ্ছে রায়গঞ্জ পুরসভা। জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজার এলাকায় নেতাজি সুভাষ রোডের পাশে বাজারে ঢোকার মুখে ওই নতুন বাস-বে বা লেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।   ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভারই মেয়াদ চলতি সপ্তাহে শেষ হয়ে যাচ্ছে। করোনা-পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন হয়নি। তাই অন্যান্য জায়গার মতো পুরসভায় দু’জনের একটি করে কমিটি করে নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা হবে। প্রত্যেক পুরসভাতেই এই মর্মে যুগ্ম সচিবের চিঠি চলে এসেছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী মাস থেকেই বিধানসভার বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির বৈঠক ধাপে ধাপে শুরু করার কথা চিন্তা করছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে করোনা আবহে সরকারি বিধিনিষেধ তাঁকে ভাবনায় ফেলেছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬ - বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪ - শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮ - শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী ...বিশদ

07:03:20 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ২,৪৩৬ জন, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৬৬৭ 

08:58:05 PM

তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০৫ জন, রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১৭,০৮২ 

06:37:20 PM

বাংলায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪৯ 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

06:23:35 PM

বাংলার ভয়ঙ্করতম বিপর্যয়ের মোকাবিলায় নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের স্যালুট মমতার 
ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তাণ্ডব চিত্র এখনও বর্তমান দক্ষিণবঙ্গে। টানা কাজ করেও ...বিশদ

06:07:08 PM

উম-পুন: মৃতদের পরিবারের হাতে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম 

05:32:00 PM