Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় (পশ্চিমবঙ্গীয়) বাঙালি অর্থনীতিবিদ, যিনি নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হলেন। সাহিত্য জ্ঞান বিজ্ঞান প্রভৃতি যে-কোনও শাখায় এই পুরস্কার ভারতের জন্য এক মহার্ঘ ধন। কারণ আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের কোনও দেশ নয় যে কোনও-না-কোনও শাখায় এই পুরস্কারে ফি বছর নিজেদের এক বা একাধিক নাম খুঁজে পেয়ে যাব। নোবেল পুরস্কারের তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পেতে ভারতকে দশকের পর দশক অপেক্ষা করতে হয়। তাই দেশের সন্তানের নোবেল জয়ের অনুভূতি আনন্দ সবসময়ই আলাদা। আমরা জানি, রবীন্দ্রনাথের হাতে নোবেল উঠেছিল ১৯১৩ সালে। তখন ব্রিটিশ ভারত। তাই বলে স্বাধীন ভারত কি রবীন্দ্রনাথের জন্য অহংকারে ইতি টেনে দেবে! তা হয় না। বাঙালি জাতটার যতদিন এই গ্রহে শ্বাস-প্রশ্বাস চলবে ততদিন তিনি বাঙালির সত্তায় একীভূত হয়ে থাকবেন।
মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই। তাই নোবেলজয়ীদের তালিকায় অভিজিৎ বিনায়কের নাম জানামাত্রই ভারতবাসী, বিশেষত বাঙালি আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েছে। আমাদের কাছে গৌণ তিনি নাগরিক পরিচয়ে মার্কিন না ভারতীয়। আমাদের আনন্দের গর্বের একটাই কারণ তাঁর জন্ম ভারতে, স্কুল থেকে কলেজে পড়াশোনা কলকাতায়। ব্যস। আমরা টিভি খুলে নোবেলের খবরে ডুবে গিয়েছি। নানাবিধ অ্যাপের মাধ্যমে এই বিষয়ে আপডেট নিয়েছি। বাসে ট্রেনে হাসিমুখ আলোচনায় মগ্ন থেকেছি। বাড়িতে গিয়ে ছোট ছেলেমেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ভেবেছি, আমাদের সন্তানটাও তো এমন হতে পারে কোনোদিন। হয়তো কেউ কেউ ছেলেমেয়েকে বলেও ফেলেছি, ‘‘চেষ্টা করো তুমিও একদিন এমন হবে।’’ যাঁদের ছেলেমেয়ে সাউথ পয়েন্ট বা প্রেসিডেন্সিতে ভালো রেজাল্ট করে তাঁদের কারও কারও মনে এমন স্বপ্ন কি যে জ্বলে ওঠেনি? এ নিয়ে ছেলেমেয়েকে অন্যায় প্রেশারে না ফেললে অন্যায় তো নয়।
চান্সটা গ্র্যাব করেছে সোশ্যাল মিডিয়াও। একেবারে চনমনে হয়ে উঠেছে অভিজিৎ বিনায়ককে কেন্দ্র করে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির কথা মনে করিয়ে দিয়ে কেউ একজন পোস্ট করেছে এবং বাংলাজুড়ে তা ফরওয়ার্ডও হয়েছে: অভিজিৎ বিনায়কের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন, ‘‘মেডেলটা সামলে রেখো বাবা। আমারটা কিন্তু আজও খুঁজে বের করা যায়নি!’’
অন্যদিকে, বাংলা বিজেপির দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ ... শ্রেণীর কিছু নেতা প্রশ্ন তুলেছেন: অভিজিৎ বিনায়কের বাঙালিত্বের পারসেন্টেজ, ভারতীয়ত্ব এবং দাম্পত্যজীবন নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত নিম্নরুচির কাহিনী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই ছিদ্রান্বেষীরা ভুলে যাচ্ছেন যে রাজনীতিতে সুচের চেয়ে চালনের পাল্লাই ভারী! দেশবাসীর কাছে অভিজিৎবাবুর প্রজ্ঞাটুকুই বিবেচ্য, তাঁর হেঁশেলের গন্ধ নয়।
একজন সিনিয়র সেন্ট্রাল মিনিস্টারকে দেখা গেল অভিজিৎবাবুর অর্থনৈতিক চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আক্রমণ করতে। মন্ত্রী মশায় যে ভাষায় তাঁকে কটাক্ষ করলেন তাতে সৌজন্যের অভাবটাই প্রকট হল। সঙ্গে একতরফাভাবে যোগ করলেন, এই অর্থনীতিবিদের রাজনৈতিক বিশ্বাসের কথা। মন্ত্রী মশায়ের দাবি, অভিজিৎবাবু বামপন্থায় বিশ্বাস করেন। এমনভাবে বললেন, বামপন্থায় বিশ্বাসটা যেন অন্যায়। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর স্বপ্নের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের সঙ্গে অভিজিৎবাবুর যোগের প্রসঙ্গ টেনে বুঝিয়ে দিলেন—অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আমাদের লোক’ নন। তাঁর আরও বড় অপরাধ হল তিনি মোদি সরকারের নোটি বাতিল সিদ্ধান্তের সমালোচক। এমনকী, ভারতের হালফিল অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়েও তিনি অখুশি। এই সঙ্কট মোকাবিলায় নির্মলা সীতারামনের পদক্ষেপগুলিও তাঁর কাছে আশাপ্রদ নয়। গেরুয়া বাহিনীর একটা অংশ ভাবছে, এই বিরাট মাপের মানুষটির গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়ে, তাঁকে সংবর্ধিত করে বিজেপির কোনও রাজনৈতিক লাভ নেই। ভাবখানা এই, অতএব, কায়দা করে তাঁকে ‘ওদের লোক’ বা ‘শত্রু’ ঘোষণা করে দেওয়াই যায়। চিহ্নিত শত্রুকে বিলো দ্য বেল্ট হিট করাই বোধহয় শ্রেয়!
এহেন ভারতসন্তানের নোবেল জয়ের সময়টাও অবশ্য বিজেপির কাছে খুব সুবিধের ছিল না। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের উত্তাপ চরমে। যাঁকে বিরোধী ক্যাম্পের লোক ঠাউরে নিয়েছে তাঁর গুরুত্ব স্বীকার করে নেওয়ার মতো মানসিক জোর বিজেপির নেই। যদিও অভিজিৎবাবু নিজেকে কোনও দল বা মতের মানুষ বলে চিহ্নিত করতে রাজি নন। একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি তাঁর কাজটাই ভালো করে করতে চান। যে সরকারই তাঁর পরামর্শ চাইবে কুণ্ঠাহীনভাবে দেবেন। সেখানে মোদি রাহুল মমতায় বৈষম্যের প্রশ্ন নেই।
কোনও এক হতভাগা আবার এর মধ্যে আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামকে টেনে এনে নামিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বিজ্ঞানী কালাম সাহেবের এক কাল্পনিক বক্তব্য মার্কেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে ব্যাখ্যা করেছেন কেন তিনি নোবেলজয়ী হতে পারেননি। ওই কাল্পনিক ব্যাখ্যায় অভিজিৎবাবুর দাম্পত্য জীবন এবং ‘অনৈতিক’ মার্কিন নাগরিকত্বের প্রতি তীব্র ঘৃণার প্রকাশ রয়েছে। শুধু এটাই মনে হচ্ছিল যে কালাম সাহেবের জীবদ্দশায় এই নষ্টামি হলে তিনি মরমে মরে যেতেন। অভিজিৎবাবুকে হেয় করতে গিয়ে কালাম সাহেবকে যে পাঁকে নামিয়েছে তা তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারতেন না। অভিজিৎবাবুকে নিয়ে আকস্মিক এই কুৎসা দেখে এটাই মনে হচ্ছে যে, নোবেল পুরস্কারলাভটাই তাঁর মস্ত অপরাধ। তা না-হলে হঠাৎ সেদিন থেকে তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক ভাবনার ট্রোল আর্মির লক্ষ্য হয়ে উঠবেন কেন? অভিজিৎবাবু তো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। দেশে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে তিনি প্রবাসী হয়েছেন কয়েক দশক হল। গবেষণা করছেন, বই লিখেছেন, একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এমনকী নোট বাতিল পর্বে এবং গত লোকসভার ভোটেও তাঁর পরোক্ষ উপস্থিতি ছিল। তখনও এঁরা তাঁকে কাউন্ট করেননি। কিন্তু এবার অর্গানাইজড অ্যাটাকের মুখে ফেলা হয়েছে তাঁকে। অনুমান করা যায় যে, আক্রমণকারীরা ধরে নিচ্ছে যে অভিজিৎবাবুর কথা এবার মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে। অতএব বিড়াল প্রথম রাতেই মেরে দাও। মানুষটিকে নস্যাৎ, এমনকী কলঙ্কিতও করে দাও। মহান ভারতে ‘ক্যারেক্টার’ এবং ‘দেশপ্রেম’ সবসময় ডিভিডেন্ড দেয়।
বাংলায় এবং দিল্লিতে বিজেপির একটি অংশ যেভাবে প্রকাশ্যে অভিজিৎবাবুর কুৎসায় কুণ্ঠাহীন হয়ে উঠেছেন তার সঙ্গে কালাম সাহেবের কাল্পনিক খেদের মিল স্পষ্ট হচ্ছে। সন্দেহ জোরদার হচ্ছে যে নোংরামির পুরোটাই একটি নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরিতে ম্যানুফ্যাকচার হচ্ছে। গত লোকসভার ভোট এবং আরও একাধিক রাজ্য বিধানসভার ভোটের আগেও এমন সংগঠিত আক্রমণ সচেতন দেশবাসীর নজরে এড়ায়নি। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট ট্রাডিশনাল মিডিয়াকে ছাপিয়ে যাওয়ার জোগাড়। তাই সম্পন্ন রাজনৈতিক শক্তিমাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্তৃত্ব করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সেখানে গেরুয়া শিবির যে বিরাট দখলদারি কায়েম করেছে তা নিয়ে বাকি দলগুলি শঙ্কিত।
আবার নোবেল প্রসঙ্গ। আমরা আজও স্বপ্ন দেখি, আবার কোনও একজন ভারতীয় সাহিত্যিকের হাতে নোবেল প্রাইজ উঠেছে। তিনি বাঙালি হলে সবচেয়ে খুশি হব। সাহিত্যে নোবেলের জন্য ফের যে ভারতীয়ের নাম ভেসে উঠেছিল তিনিও এক বঙ্গসন্তান। ঋষি অরবিন্দ। ১৯৪৩ ও ১৯৫০ সাল, দু’-দু’বার মনোনয়ন পেয়েও পুরস্কৃত হননি। ১৯১৩ থেকে প্রতীক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। অবশেষে ২০০১-এ সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ উঠল বিদ্যাধর সুরজপ্রসাদ নইপালের হাতে। ইংরেজি ভাষার এই সাহিত্যিককে পৃথিবী ভি এস নইপাল নামে চেনে। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। জন্ম তাঁর ত্রিনিদাদে। আমরা, ভারতের সাহিত্যপ্রেমীরা তাঁকে নিয়েও আহ্লাদিত হলাম। কিন্তু কেন? কারণ তাঁর নামটা শুনলে একটা আত্মীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি ভারত বংশোদ্ভব। একইসঙ্গে আমরা আক্ষেপ করি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সতীনাথ ভাদুড়ী, সমরেশ বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখের মধ্যে কেউই নোবেল পুরস্কার পাননি বলে। আমাদের আক্ষেপ গান্ধীজির মতো ব্যক্তিত্বের হাতে নোবেল শান্তি ওঠেনি। অথচ, ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৮ সালে তাঁর মৃত্যু অবধি মোট পাঁচ বার তিনি নমিনেশন পেয়েছিলেন। সি ভি রমন (১৯৩০) এবং মাদার টেরেসার (১৯৭৯) নোবেল নিয়েও বাঙালি গর্বিত—তাঁদের সঙ্গে কলকাতার কানেকশন খুঁজে নিয়ে। হরগোবিন্দ খোরানা (১৯৬৮), সুব্রামনিয়ান চন্দ্রশেখর (১৯৮৩), বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণন (২০০৯), কৈলাস সত্যার্থী (২০১৪) আমাদের আত্মশ্লাঘার কারণ হয়ে ওঠেন এই জন্য যে, তাঁরা ভারতীয় অথবা ভারত বংশোদ্ভব।
সর্বক্ষণ লতায় পাতায় অহং খুঁজে বেড়াচ্ছে যে জাতি সেই বাঙালি অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ব করবে না তো কি? তাঁদের যারা হেয় করছে তাদের সম্পর্কেই বাঙালির মনোভাব খারাপ হচ্ছে। ভারত আজও মানে, বিদ্বানই সর্বত্র পূজনীয়, কোনও রাজা (আজকের দিনে রাষ্ট্রনেতা) নন, তিনি যত বড়ই হোন। বরং রাজভক্তি আজ দেশের গণ্ডিতেও প্রশ্নের মুখে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষে সুখের কথা এই, অন্তত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সত্যটি উপলব্ধি করেছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন নোবেলজয়ী অভিজিৎবাবুর সঙ্গে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ২০২১-এর যুদ্ধটাকে সিরিয়াসলি নিলে এত বড় ব্লান্ডার রিপেয়ার করা ছাড়া গেরুয়া শিবিরের উপায়ও হয়তো ছিল না।
24th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
লন্ডন, ২৪ অক্টোবর (এএফপি): ব্রিটেনে উদ্ধার হওয়া ট্রাকবোঝাই মৃতদেহগুলিকে চিহ্নিত করল পুলিস। তাঁরা সবাই চীনের নাগরিক। শুধু তাই নয়, বেলজিয়াম থেকে ট্রাকে করে দেহগুলি ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি করল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে আলিপুরে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপল কার পার্কিং ব্যবস্থা। মুক্তমঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’র উল্টোদিকে পূর্ত দপ্তরই সেটি তৈরি করছে। সেখানে ৩০০টি গাড়ি ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা প্রচার, মশার লার্ভা নষ্টের ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাইফোঁটাতে ১১ দিন বিশেষ খাওয়াদাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মৎস্য দপ্তরের অধীনস্থ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিয়মের পক্ষ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের নলবনে জলাশয়ের পাশে এক মনোরম পরিবেশে এই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM