Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। বছরের কিছু বিশেষ দিনে মক্কা মদিনা যাওয়ার বিষয়টিতেও অর্থনীতি জড়িয়ে আছে অনেকটা। খ্রিস্টানদের কাছে বড়দিন মানে তো বিশ্বজোড়া বিশাল উৎসব। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় কেনাকাটা বেড়ে যায় সাংঘাতিক মাত্রায়। অর্থনীতিতে তার সুফল বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। ফলে আমাদের রাজ্যে দুর্গাপুজো নিয়ে যে হইচই তাতে অবাক হওয়ার খুব কারণ নেই। আপাতত সে পুজো শেষ, কিন্তু রেশ রয়ে গেছে সর্বত্র।
তবে কিছু বিষয় বদলেছে, যে-কথায় আমরা একে একে আসব। তার মধ্যে প্রথম হল পুজো শেষের বিষণ্ণতা। আশির দশকে যাঁরা কিশোর কিংবা যুবক ছিলেন তাঁদের মনে থাকবেই একাদশীর দিনটার কথা। ফাঁকা পুজো প্যান্ডেল। এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে পিতৃপরিচয়হীন ফুলের টুকরো, কাত হয়ে বিশ্রাম নেওয়া ঘট, তার মুখ থেকে গড়িয়ে পড়া গঙ্গাজল, ভিজে ধুলোর কাদা আর ধুনোমাখা পোড়া নারকোলের খোল। মা তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে কৈলাসে ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা, মফস্‌সল শহর, কিংবা গ্রামবাংলার প্রতিটি হিন্দু বাঙালির বুকটা একেবারে খালি হয়ে যেত। শেষ শরতের আবছা বিকেলে ঝুপ করে সন্ধে নামত এই বাংলায়। লক্ষীপুজোও হবে একই মণ্ডপে, তার আগে কেউ থানইটের উপর একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতেন। একটু দূরে সদ্য গোঁফ ওঠা ছেলেদের আড্ডায় উচ্ছ্বলতার অভাব প্রত্যক্ষ করা যেত প্রতি মুহূর্তে। পুজো শেষের সেই বিষণ্ণতা একেবারে হারিয়ে ফেলেছে বাংলার শহর আর শহরতলি। হয়তো-বা কলকাতা থেকে বহু দূরের কোনও এক গ্রামে এখনও পুজো শেষের অন্য গন্ধ ভেসে বেড়ায়। কিন্তু, গত কয়েক দশকে বদলে যাওয়া এই বাংলায় পুজোর সনাতন সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে একেবারেই।
এই আলোচনায় অবশ্যই বলতে হয় পুজো উদ্বোধনের কথা। রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ফিতে কাটার চোটে পুজো আসার সঠিক সময়টাই গুলিয়ে গিয়েছে শহর থেকে শহরতলিতে। কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে এই সহস্রাব্দের শুরুতেও প্রতিমা আনা হতো পঞ্চমীর দিন। খুব তাড়াতাড়ি হলে চতুর্থী। দায়িত্ব নিয়ে ঢাকা থাকত প্রতিটি প্রতিমার মুখ। অনেক সময় সেই তালিকায় ইঁদুর, প্যাঁচা, হাঁস, ময়ূরও মুখ লুকোত। বোধনের আগে যথেষ্ট ভক্তিসহকারে উন্মোচিত হতো সেই আবরণ। বড় নেতা নেত্রী থাকতেন না, কিন্তু অনেক বেশি আদর করে ডাকা হতো এই বাংলার ঘরের মেয়ে আর তাঁর ছানাপোনাদের। মায়ের পিছনের দিকে মাথার উপর প্যান্ডেলের সঙ্গে আটকে ঝোলানো থাকত কাঁচে বাঁধানো শিবের ছবি।
এখন শিবের কথা ভুলেই যাচ্ছেন অনেকে, কোথাও-বা আকাশছোঁয়া প্রতিমার চালচিত্রে যেখানে সেখানে শিব এবং সঙ্গে অন্যান্য অনেক দেবদেবীর কোলাজ। হিন্দু বাঙালির জিজ্ঞেস করার জোরটুকুও চলে গেছে যে হচ্ছেটা কী? দেবীপক্ষ দূরে থাক, মহালয়ার আগেই হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে মাকে! সঙ্গে অসহায় তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ে। কৈলাসের অমাবস্যা ভুলে হ্যালোজেনের তীব্রতায় গোটা পরিবারের চোখে এবার মহালয়ায় কালো চশমা লাগাতে হবে।
অন্যকোনও ধর্মে এভাবে বিব্রত হতে হয় না আরাধ্যা দেবীকে। কখনও দেখেছেন কি যে মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন এই সমস্ত ধর্মের মানুষ তাদের নির্দিষ্ট আরাধনার সময়ের সাতদিন আগে থেকে হইচই শুরু করেছেন পুরোদমে? ধর্ম সমাজকে ধারণ করে, ধরে রাখে তার সংস্কৃতি, তার আচার। দেবতাকে ভয় পেতে হবে এমনটা আধুনিক বিশ্বে না-হওয়াই ভালো। কিন্তু তা বলে নিজেদের দেবতাকে হেলাফেলা করাটাও ভালো কথা নয়।
হিন্দুদের আরাধনার ক্ষেত্রেও নিয়ম বিশেষ বদলায়নি অন্য রাজ্যে। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন উৎসব, মুম্বইয়ের গণেশ চতুর্থী ইত্যাদিতে জাঁকজমক হয়তো আগের থেকে বেড়েছে অনেক, কিন্তু অকারণে দিন বেড়ে যায়নি পুজোর। দেবতাকে অস্বীকার করে আরাধনার তিথি ক্যালেন্ডারে আঘাত করে নি যখন তখন।
ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি থাকে সবসময়েই। ধর্মকে হাতিয়ার করেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সন্ত্রাসবাদী হানাদারির। চলছে দেশে দেশে যুদ্ধ। ভারতের জায়গায় জায়গায় হিন্দু ধর্মের আরাধনায় রাজনীতিবিদদের শক্তিপ্রদর্শন কোনও নতুন কথা নয়। ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচারে ভারতের অন্যান্য রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের থেকে পিছিয়ে নেই মোটেই। কিন্তু সেখানে পুজোর নিয়মকানুনটুকু অন্তত নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় বলেই খবর।
অন্যদিকে, হিন্দু বাঙালি উদারনীতিতে বিশ্বাসী, এবং প্রগতিশীল। তাই তো আমরা দেখেছি, আমেরিকা বা ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় প্রবাসী বাঙালিরা পুজো করছেন দিন বদলে দিয়ে, সপ্তাহান্তে, তিথি নক্ষত্র না-মেনে। তাঁরা নিজেরাই ঠিক করেছেন যে বিদেশে নিয়ম নাস্তি। সে তো না-হয় মেনে নেওয়া গেল কাজের প্রয়োজনে, প্রগতিশীলতার যুক্তিতে, প্রবাসী বাঙালির বাধ্যবাধকতায়।
কিন্তু কলকাতায় পুজোর হপ্তাখানেক আগে থেকে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের একাংশের মণ্ডপে মণ্ডপে হানাদারির উদ্দেশ্য কী? বিজয়া দশমীর পরেও তিন চারদিন ধরে ভাসানের প্রস্তুতি—এসব করে লাভটা কী হচ্ছে? রাজ্য সরকারের যুক্তি, এর ফলে উৎসাহিত হবেন পর্যটকেরা। কিন্তু সেরকম কোন পরিসংখ্যান কি খুঁজে পাওয়া গেছে? কলকাতায় আসার ট্রেনে বা বিমানে পুজোর মুখে যাঁরা ঘরে ফেরেন তাঁদের বেশিরভাগই হিন্দু বাঙালি। পুজোর পর তাঁরাই আবার কাজের জায়গায় ফিরে যান। অন্যদিকে ভ্রমণ-প্রিয় বাঙালিই বাইরে ঘুরতে যান এই সময়, তাঁরাই আবার ঘরে ফেরেন পুজো শেষে। অর্থাৎ পুজো পরিক্রমায় অন্য দেশ বা অন্য রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ এই রাজ্যে সম্পদ বিতরণ করে যাচ্ছেন এরকম কোন খবর আছে কি?
কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রিলিয়ন ডলার বাজেটের সঙ্গে লড়তে চাওয়া এরাজ্যের শারদীয়া লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতির গল্প তাই বাঙালির পকেট কেটেই। তার একটা অংশ এই উৎসবের মরশুমে নিম্নবিত্ত বাঙালির কাছেও পৌঁছচ্ছে—আধা সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেটুকুই এরাজ্যের মঙ্গল।
রাজ্য-রাজনীতির আলোচনায় বারবার এসেছে কর্মদিবস নষ্টের কথা। এদিকে পুজোর সময় দিন অপচয়ের ছড়াছড়ি। বাম রাজত্বে সিপিএম বাকি সমস্ত বিষয়ে দখলদারি বজায় রাখলেও, দুর্গাপুজোটা কংগ্রেস নেতাদের জন্যে ছেড়ে রেখেছিল। তারাই এখন তৃণমূলে। বামেদের অল্প কিছু পুজো কাঁপানো নেতাও সঠিক বিবর্তনে তৃণমূলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে ২০১১-র আগে পুজো পরিচালনায় দক্ষ নেতানেত্রীদের তৃণমূলে আশ্রয় নিতে সময় লেগেছে অনেকটা। এই বিবর্তনের গতি ছিল ধীর। গত কয়েকবছরে এই রাজ্যে পুজো বিশেষজ্ঞ রাজনীতিবিদরা চটজলদি পা বাড়াচ্ছেন শাসক বা বিরোধী দলের দিকে। পুজোর মঞ্চে তড়িৎ গতিতে এগিয়ে চলেছে দলবদল। রামনবমী কিংবা গণেশপুজোর অতিবিজ্ঞাপন তো পুরোটাই যেন এক লড়াই।
সেই পথেই সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শারদীয় উৎসবও অনেকটা দখল হয়ে যাচ্ছে। আসলে প্রগতিশীলতার প্রেক্ষাপটে উদারনীতিতে বিশ্বাসী বাঙালি হিন্দু আপস করেছে তার সনাতন ধর্মাচরণের সঙ্গে। এর একটা কারণ বামফ্রন্টের তিন দশকাধিক রাজত্ব। আর সেই পথেই ঢুকে পড়েছেন কৌশলী রাজনীতির কারবারিরা। তাঁরা পুজোকে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের মতো করে। প্রতিযোগিতামূলক ধর্মাচরণে শারদীয় উৎসব যেন অনেকটাই রাজনীতির পণ্য। অর্থাৎ পুজোয় যে ব্যবসা তা শুধু অর্থনীতির নয়, রাজনীতিরও।
তবে মা আছেন। সামনের বছর মহালয়ার সময় থেকে পুজোর উদ্বোধন রুখে দিলেন তিনিই। ২০২০-তে মহালয়ার দিন ১৭সেপ্টেম্বর। দুটি অমাবস্যার কারণে আগামী বছর আশ্বিন মল মাস। পুজো তাই পিছিয়ে কার্তিকে, অক্টোবরের ২২ তারিখ ষষ্ঠী। এমনটাই বলছে গুপ্তপ্রেস এবং বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছে ১৯৮২ সালে, বামফ্রন্ট সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার বছরে। যা বোঝা যাচ্ছে, রাজনীতির আগ্রাসন রুখতে পারেন একমাত্র আমাদের আরাধ্য দেবীই। এবারের বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছায় তাই রাজনীতির হাত থেকে নিজেদের সনাতন ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখার স্লোগান তুলুক জাত্যভিমান হারিয়ে ফেলা হিন্দু বাঙালি। তবে, অন্যদিকটা ভাবলে গা শিউরে উঠছে। পরের বছর রাজনীতির দড়ি টানাটানিতে মহালয়া থেকে শুরু হয়ে মায়ের পুজো দেড় মাস ধরে চলবে না তো?
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
12th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
একনজরে
লন্ডন, ২৪ অক্টোবর (এএফপি): ব্রিটেনে উদ্ধার হওয়া ট্রাকবোঝাই মৃতদেহগুলিকে চিহ্নিত করল পুলিস। তাঁরা সবাই চীনের নাগরিক। শুধু তাই নয়, বেলজিয়াম থেকে ট্রাকে করে দেহগুলি ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি করল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে আলিপুরে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপল কার পার্কিং ব্যবস্থা। মুক্তমঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’র উল্টোদিকে পূর্ত দপ্তরই সেটি তৈরি করছে। সেখানে ৩০০টি গাড়ি ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাইফোঁটাতে ১১ দিন বিশেষ খাওয়াদাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মৎস্য দপ্তরের অধীনস্থ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিয়মের পক্ষ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের নলবনে জলাশয়ের পাশে এক মনোরম পরিবেশে এই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিশেষ যাত্রী পরিষেবা দিয়ে বাড়তি আয় ঘরে তুলল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতে পুজো-পরিষেবার হিসেব-নিকেশ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত ছিলেন কর্তারা। তা মেটার পর আয়ের অঙ্ক স্বস্তিতে রাখছে কর্তাদের।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM