Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

ভারতের বিস্তৃত অংশে যখন নবরাত্রি পালন ও দশেরার উৎসবমুখর আমেজ আমজনতাকে আবিষ্ট করে রেখেছে, তখন ভারতের বিদেশদপ্তর ব্যস্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতার খুঁটিনাটি নিয়ে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে। ২০১৮-র ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের পর শেখ হাসিনার দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে এটি তাঁর প্রথম ভারত সফর। তাই নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই সফর ঘিরে এত সাজসাজ রব।
বাংলাদেশ কেবল ভৌগোলিক দিক থেকে ভারতের পূর্ব দিকের প্রবেশদ্বারই নয়, বরং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের হৃদয় নৈকট্যের কারণ সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে এই সম্পর্কের রসায়ন ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সড়ক, জলপথে যোগাযোগ, রেলপথ ছাড়াও জয়েন্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট, জল সম্পদ বণ্টন, এনার্জি সিকিউরিটি—এই সবদিক থেকে বাংলাদেশের যেমন বিশেষ প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি ভারতও চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে আরও প্রসারিত করতে। সুতরাং উভয়ের সম্পর্কের এই পারস্পরিক উত্তাপ ও পরিপূরকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত বিপ্লবের দরুন বাংলাদেশ হয়তো ভারতের থেকে যা প্রত্যাশা করে তা নৈকট্যের কারণে লেনদেন করা সুবিধাজনক ও লাভজনক হলেও, তারা অন্য কোনও রাষ্ট্রের থেকেও অনুরূপ সাহায্য হয়তো পেতেই পারে। আমাদেরও মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বেশ কিছু ইউনিক সুবিধে রয়েছে, বেশ কিছু ধাপ রয়েছে যাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। নবীন ও ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বলে তাকে উপেক্ষা করা একেবারেই অনুচিত। তবে বাংলাদেশকে আমরা কতটা তাৎপর্যের সঙ্গে গ্রহণ করব, তার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার মূল নীতি কী হবে বা বৃহত্তর কোনও ইস্যুভিত্তিক ফর্মুলা আমরা নেব কি না, তার সুচিন্তিত ফ্রেম-ওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন।
প্রথমত, ভারত মনে করে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রত্যক্ষ সমীকরণ থাকাই বাঞ্ছনীয়। তার মধ্যে তৃতীয় শক্তির অন্তর্ভুক্তি কাম্য নয়। যেমন ফারাক্কা ব্যারেজের জলধারণ বাড়াতে গিয়ে ভারত যখন বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের ফিডার খাল বানানোর কথা বলে তখন তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে নেপালকেও এই প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, ভারত যাতে প্রাথমিকভাবে গররাজি ছিল। এখান থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত কোনও তৃতীয় শক্তি বা বহুপাক্ষিক ফ্রেমওয়ার্ক, আন্তর্জাতিক কোনও ফোরামের মধ্য দিয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না। অবশ্য বর্তমানে আমরা দেখছি ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় তার আঞ্চলিক নেতৃত্বের স্বার্থে বিমস্টেক ও বিবিআইএন-কে সক্রিয় করতে চাইছে। বলা বাহুল্য, এর জন্য বাংলাদেশের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মোদি হাসিনার হাত ধরেই দুপক্ষই ঐতিহাসিক ছিটমহল চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যাতে ভারতীয় পার্লামেন্ট শততম সংবিধান সংশোধন হিসেবে সিলমোহর দেয়। তবে এখনও নিউম্যুর দ্বীপ, কয়েকটি চর নিয়ে উভয়ের মধ্যে দাবি ও পাল্টা দাবির অমীমাংসিত বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত বলা দরকার, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তৃত জমি ও জলাভূমি অধ্যুষিত যে সীমানা রয়েছে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এই নিয়ে অতীতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ স্থিতাবস্থা রক্ষার পক্ষপাতী। তবে ভারতে বেশ কতকগুলি মারাত্মক নাশকতার ছক যেমন ২০০২ সালে কলকাতার মার্কিন সেন্টারে জঙ্গি হামলা, ২০১৪ বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জঙ্গি নাশকতামূলক কার্যকলাপের যে ছক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে উঠে আসে তাতে আমরা দেখেছি বাংলাদেশের হুজি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাক জয়েশ ও লস্করের গোপন আঁতাঁত রয়েছে। ফলে ভারত বাংলাদেশকে এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে বোঝাতে সমর্থ হয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি ভারতের কিছু অংশে উগ্র হিন্দুত্ববাদী হিংসার কিছু ঘটনা বাংলাদেশের জনমানসে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে এই উদ্বেগ যে অমূলক তা বলাই যায়, কারণ অতীতে আমরা যেমন দেখেছি তেমনি বর্তমানেও আমরা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি ভারত শক্তিশালী, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তাছাড়া মোদি সরকার যেহেতু সুদৃঢ় রাজনৈতিক সমর্থনের উপর প্রতিষ্ঠিত, সেহেতু এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে সরকার যে পিছপা হবে না তা বলাই যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শততম দিন উদ্‌যাপনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর ভারতের 'Neighbourhood First'—নীতির যে দুটি উপাদানের কথা বলেন তার মধ্যে একটি হল বাংলাদেশের মতো প্রত্যক্ষ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে একতরফা সুবিধে দেওয়া। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের থেকে একগুচ্ছ বাণিজ্যিক ছাড় পেয়ে থাকে, যা চটজাত দ্রব্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ছোট প্রতিবেশী বলে বাংলাদেশের যে আবদার তাও যতটা সম্ভব মেটানোর নৈতিক দায় ভারতের উপর বর্তায়। দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা। এই তালমিল যে নেই তার বড় প্রমাণ সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে বাংলাদেশ সঙ্কটে পড়ে, যা নিয়ে হাসিনা ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্য ফোরামে ক্ষোভ গোপন করেননি।
কিন্তু সামগ্রিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে দশ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে। তথাপি একথা বলা যাবে না যে উভয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পূর্ণমাত্রায় পৌঁছেছে। কারণ উভয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখনও বাজারের চাহিদামতো গড়ে উঠেছে। উভয় তরফে আর্থিক যোগসূত্র যদিও ঘোষণা ও চুক্তির পর্যায়ে রয়েছে, তথাপি বাণিজ্য ঘাটতি বাংলাদেশের পক্ষে ক্রমশ শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠেছে। যদিও কেবলমাত্র ভারত নয়, এমনকী চীনের সঙ্গেও বাংলাদেশের বড় রকমের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
তথাপি এক্ষেত্রে একটা মৌলিক পার্থক্যও রয়েছে, তা হল বাংলাদেশে প্রচুর চীনা পুঁজির বিনিয়োগ হচ্ছে। সেই তুলনায় ভারতের বিনিয়োগ আশানুরূপ বৃদ্ধি পায়নি। তাই এবারের সফরে শেখ হাসিনার মুখে আমরা বাংলাদেশে ভারতীয় পুঁজি বিনিয়োগের আহ্বানের কথা শুনেছি। বিশ্বায়নের ডাকে সাড়া দিয়ে অর্থনৈতিক উদারীকরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি গতি লাভ করলেও, একথা অনস্বীকার্য যে, প্রযুক্তিগতভাবে বিদেশি বিনিয়োগের নিরিখে ক্রয়ক্ষমতা ও মুদ্রার বিনিময় মূল্যের মতো সূচকের দিক থেকে ভারতের তুলনায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তাই বাংলাদেশকে একতরফা ছাড় দিলেও ভারতের উপরে তার বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যেমন বাংলাদেশে জামদানি শাড়ির উপর ভারত শুল্ক ও কোটা আরোপ করায় রপ্তানি যখন আশানুরূপ বাড়েনি, তখন সেইসব বাধানিষেধ ভারতের তরফ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, যদিও ক্রমঅভিজ্ঞতায় ভারত বুঝেছে যে, প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে সবসময় স্নেহপরবশ হয়ে হাত উপুড় করাটাও অনুচিত।
তাই পরের দিকে ভারত মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফ্রেমওয়ার্কে থেকে রফা করতে চেয়েছে। অন্যদিকে কয়েকবছর যাবৎ বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে শুল্কমুক্ত পণ্য পরিবহণের সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় যানবাহন। তাহলে কি ধরে নেব ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কাঙ্ক্ষিত বিন্দুতে আমরা পৌঁছে গিয়েছি? এর উত্তর নিহিত রয়েছে উভয়ের ঐতিহাসিক যোগসূত্র ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে। যেমন বাংলাদেশ মনে করে ভারতের থেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
অন্যদিকে চীনের উপর নজরদারি চালাতে এবং ভারত-ভুটানের বাণিজ্যের সুবিধার্থে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেতে চলেছে ভারত। সেই সঙ্গে সিসেলস, মালদ্বীপ প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জে ভারতের যে রেডার প্রযুক্তি রয়েছে অনুরূপ প্রযুক্তি ভারত বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলেও ইনস্টল করতে পারবে—এমন ছাড়পত্র মিলেছে। তবে অস্বস্তির কারণ তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। সেইসঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ইচ্ছামতো ভারত সরকার এখনই মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। তাছাড়া নাগরিক পঞ্জির বিষয়েও ভারত কোনও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস বাংলাদেশকে দিতে চায়নি কারণ এটি তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবু নয় নয় করে শেখ হাসিনার এই সফরে দিল্লি-ঢাকা উড়ান পথে যোগাযোগ বাড়ানো, পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণ ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সাইবার-নিরাপত্তার মতো বহুবিধ বিষয়ে সম্পর্কের যে নাড়াবাঁধা হল, তাও এককথায় কম কী?
 লেখক অধিকর্তা, অতীশ দীপঙ্কর, শ্রীজ্ঞান সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় 
14th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, তেহট্ট: আইপিএলের ধাঁচে খেলোয়াড় নিলামের মাধ্যমে বুধবার থেকে গোপীনাথপুর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ শুরু হয়েছে। এই খেলা দেখতে আশেপাশের গ্রামের মানুষ নেতাজি বিদ্যামন্দির মাঠে রোজ ভিড় জমাচ্ছেন। এই ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।  ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিশেষ যাত্রী পরিষেবা দিয়ে বাড়তি আয় ঘরে তুলল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতে পুজো-পরিষেবার হিসেব-নিকেশ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত ছিলেন কর্তারা। তা মেটার পর আয়ের অঙ্ক স্বস্তিতে রাখছে কর্তাদের।  ...

সংবাদদাতা, কালনা: দল করতে হলে দলের জন্য সময় দিতে হবে। মানুষের পাশে থেকে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে। ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। বেশি করে মানুষের কাছে সরকারি সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসাথী সহ নানা প্রকল্প পৌঁছে দিত হবে।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাইফোঁটাতে ১১ দিন বিশেষ খাওয়াদাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মৎস্য দপ্তরের অধীনস্থ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিয়মের পক্ষ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের নলবনে জলাশয়ের পাশে এক মনোরম পরিবেশে এই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM