Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে। ফালতু কেস দেবে। পুলিস একবার হাত বাড়ালে কিছু না কিছু নেবেই। টাকা না থাকলে সিগারেট গুঁজে দিতে হবে।’ প্রায় চার দশক আগের ঘটনা। কিন্তু, পুলিসের অভ্যেস একই আছে। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। তবে এখন হাত পাতার কাজটা করেন সিভিক ভলান্টিয়ার। দূরে দাঁড়িয়ে ‘হেডমাস্টারি’ করে পুলিস।
বর্ধমান শহরে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিসের তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। বলেছিলেন, শুনছি, কলকাতায় দিতে হয় বলে অনেকে নাকি টাকা নিচ্ছে। একটা কথা জেনে রাখুন, পার্টির কাউকে টাকা দিতে হয় না। আপনারা কাউকে টাকা দেবেন না। এখন প্রশ্নটা হল, মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ এমন কথা বলতে গেলেন কেন?
অনেকেই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঠাট্টার ছলে ‘তোলা আদায়ে’র প্রসঙ্গ তুলে পুলিস ও জনগণকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন। যেভাবে কাটমানির প্রসঙ্গ তুলে দলের দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবে পুলিসের বিরুদ্ধেও। কারণ লোকসভা ভোটে এরাজ্যে শাসক দলের ভরাডুবির পিছনে পুলিসের ভূমিকাও একটা ফ্যাক্টর। সম্ভবত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, পুলিসের জন্যই বহু মানুষ, বিশেষ করে পরিবহণ ব্যবসায় যুক্ত অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে চালু করা হল ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’। দুর্ঘটনায় আঘাতের জেরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পরিণতি মৃত্যু। অকাল মৃত্যু ঠেকাতে হেলমেট পরায় কড়াকড়ি। অসাধারণ উদ্যোগ। কিন্তু, এমন একটা উদ্যোগকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গেল ‘তোলা’ আদায়। একটা অসাধারণ উদ্যোগ পুলিসের সৌজন্যে হয়ে গেল মানুষের বিরক্তির কারণ। জোরজবরদস্তির ফলে যেভাবে প্রয়াত সঞ্জয় গান্ধীর ‘পরিবার পরিকল্পনা’ কর্মসূচি কংগ্রেসের ব্যুমেরাং হয়েছিল, অনেকটা তেমনই।
বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক। মালদহ জেলার পুরাতন মালদহ থানায় সাহাপুরে পিচ রাস্তার ধারে গোপেন মণ্ডলের চায়ের দোকানে সন্ধ্যার পর জোরদার আড্ডা বসে। যাঁরা আড্ডা দেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই পেশা দুধ ও ছানা বিক্রি। এই সাহাপুরের চককাদিপুরে অনেকে মৌমাছির ব্য‌বসাও করেন। মৌমাছি বাক্সয় ভরে কলকাতার আশপাশের জেলায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। গোপেনবাবুর দোকানে তাঁদেরও আড্ডা। সেখানে রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলতেই উপস্থিত প্রায় সকলেরই টার্গেট পুলিস।
মনোজ সাহা বলেন, এখানে প্রচুর মৌমাছির চাষ হয়। মৌমাছির বাক্স কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিসকে গাড়ি পিছু প্রচুর টাকা দিতে হয়। তাতে লাভের গুড় পিঁপড়েতে খেয়ে নেয়। শুনলে অবাক হবেন, একটা গাড়ির জন্য পুলিসকে দিতে হাজার চারেক টাকা চলে যায়। টাকা না দিলে গাড়ি আটকে দেবে। গাড়ি আটকালেই সর্বনাশ। কারণ দিনের আলো ফুটলেই মৌমাছি পালাবে। তখন সবটাই লোকসান।
বৃদ্ধ মণ্টু ঘোষের গলার ঝাঁজ শুনে বোঝা যাবে না বয়স ৭০ পেরিয়েছে অনেক আগেই। বলেন, মশাই, আমরা দুধ, ছানা বিক্রি করে সংসার চালাই। সেটাও পুলিসের জন্য ভালোভাবে করতে পারছি না। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে’র চক্করে পড়ে আমাদের লাইফটাই ‘হেল’ হতে বসেছে। সামনে বাইপাস ব্রিজের কাছে পুলিস ক্যাম্প করে বসে থাকে। চোর, মস্তান সামনে দিয়ে গেলেও তাদের হেলদোল থাকে না, কিন্তু দুধ-ছানা নিয়ে গেলেই বাইক দাঁড় করাবেই। প্রথমেই চাইবে, ধোঁয়ার কাগজ। মানে পলিউশন সার্টিফিকেট। কারণ গ্রামে বেশিরভাগই পলিউশন টেস্ট করান না। ধোঁয়ার কাগজ না থাকলেই ফাইন। তবে, ২০০ টাকা হাতে গুঁজে দিলে ছাড়। আর হেলমেট না থাকলে তো পোয়া বারো। তখন কাগজপত্র না দেখেই হাত বাড়িয়ে দেবে। যা অবস্থা, এবার হয়তো হেলমেট পরে গোরু দুইতে যেতে হবে। পুলিসি জুলুমবাজি চললে মানুষ কেন খেপবে না?
গোপেনবাবু চা তৈরি করলেও কানটা ছিল মণ্টুবাবুর দিকে। চায়ের গ্লাস এগিয়ে দিতে দিতে বলেন, এ তো মানুষের উপর সরাসরি আঘাত! মানুষের ভালোর জন্যই তো আইন। কিন্তু, পুলিস সেই আইনকে হাতিয়ার করে মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আর পুলিস কিছু করলেই মানুষের রাগ গিয়ে পড়ে সরকারের ঘাড়ে। হচ্ছেও তাই।
বাম জমানায় বালি আর কয়লা ছিল ‘ওপেন ট্রেজারি’। যত খুশি তোলো আর বিক্রি করো। নামমাত্র লিজে দেদার বালি উঠত। লিজে স্বচ্ছতা আনতে বর্তমান রাজ্য সরকার ‘অনলাইন’ ব্যবস্থা চালু করায় বালি এখন অতীব মহার্ঘ বস্তু। সরকারের আয় বহু বেড়েছে। কিন্তু দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পাচারের ও কালোবাজারির সম্পর্ক তো ‘মাসতুতো ভাই’ এর মতো। কোনও জিনিসের দাম বাড়লেই বৃদ্ধি পায় পাচারের প্রবণতা। বালির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। বালির গাড়ি দেখলেই জিভ লক লক করে। থামানো হয় ট্রাক, ট্রাক্টর। বালির কাগজ না থাকলে তো পোয়া বারো। আর কাগজ থাকলে ওভারলোডিংয়ের চক্কর। আদায় হচ্ছে মোটা টাকা। কারণ সোনালি বালি দিন দিন সোনা হয়ে উঠছে।
একটা সময় কয়লা ছিল ‘কালো হীরে’। এখন পুলিসের কাছে ‘কালো হীরে’ পাথর। বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার পাথর খাদান থেকে ওঠা আইনি এবং বেআইনি পাথর বিভিন্ন এলাকায় যায়। তা থেকে পুলিসের মোটা টাকা মাসোহারা ওঠে। কোথাও কোথাও পুলিস ও দাপুটে নেতার মধ্যেও ভাগাভাগি হয়।
সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তার ধারে পুলিসের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যদি কেউ মনে করেন, মানুষের নিরাপত্তার জন্য ওরা দাঁড়িয়ে আছে, তাহলে ভুল ভাববেন। মালবাহী গাড়ির উপর কড়া নজরদারি চালানোর জন্যই থাকে ‘ডাকবাবু’র গাড়ি। থানা এলাকার চোলাই, গাঁজা ও জুয়ার ঠেক, বেআইনি বালি, পাথর, কয়লা, লোহা, গোরু প্রভৃতি পাচারে ও বহনে যুক্ত গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের ‘লাইসেন্স’ যিনি পান, তিনিই হলেন ডাকবাবু। তার জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্টি পরিমাণ টাকা ডাকবাবু থানায় জমা দেন। পুলিসকর্মী হলেও ডাকবাবুকে থানার চেয়ে রাস্তাতেই বেশি দেখা যায়। কারণ থানায় দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতির বেশি পরিমাণ টাকা তুলতে না পারলে পকেট থেকে দিতে হয়। আর বেশি টাকা তুলতে পারলে তা যায় ডাকবাবু ও তাঁর সঙ্গীদের পকেটে। এ এক অতীব প্রাচীন ব্যবস্থা। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, সব জমানাতেই ‘ডাকবাবু’ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেনও। এঁরাই থানার মূল চালিকাশক্তি। বহু বড় বড় সাহেবের সন্তুষ্টি বিধান এই অর্থেই হয়ে থাকে।
পুলিস, পাচারকারী এবং ‘প্রোটিন প্রিয়’ নেতাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দৌলতে চলছিল বেশ ভালোই। কিন্তু, বিপদ হলো দুম করে রেট বাড়িয়ে দেওয়ায়। বছর তিনেক আগে আচমকাই গাড়ি প্রতি ‘তোলা’র রেট দ্বিগুণ করে দেওয়া হল। জানিয়ে দেওয়া হল, কলকাতায় টাকা দিতে হচ্ছে। যাঁরা প্রতিবাদ করলেন তাঁদের বলা হলো, দেখ, কাদের ভোট দিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই।
কলকাতায় টাকা পাঠানোর দাবি সত্যি হোক বা মিথ্যে, তা যাচাই করার জায়গা নেই। তাই ‘তোলা’ উঠতে শুরু করল দ্বিগুণ হারে। পাশাপাশি সমহারে বাড়তে লাগল শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। শাসক দলের কেউ কেউ অবশ্য এখন দাবি করছেন, সরকার ডিএ আটকে রাখায় ক্ষুব্ধ পুলিসকর্মীদের একটা বড় অংশ পরিকল্পিতভাবে এই প্রচারটা চালিয়েছে। কারণ তাঁরা মনে করেন, গাড্ডায় না পড়লে সরকার হাত খুলবে না। মানে প্রাপ্য ডিএ দেবে না।
তবে পুলিসের মধ্যে অনেক সৎ কর্মী এবং অফিসার আছেন। এমন অনেকে আছেন যাঁরা কাদার মধ্যে থেকে গায়ে কাদা লাগতে দেন না। কিন্তু, তাঁরা সংখ্যায় নগণ্য। শুধু তাই নয়, তাঁরা সেই অর্থে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারেননি। যাঁরা বাম জমানায় দাপুটে ছিলেন, তাঁরা এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী। কারণ তাঁদের ম্যানেজ এবং খুশি করার একটা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা আছে। এঁরা পাল্টি খেতে এবং গুরুঠাকুর ধরতে ওস্তাদ। এঁরা খুব ভালো করেই জানেন, গতিশীল জীবনে অতীত রেকর্ড নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় তেমন কারও নেই। যদি না নতুন করে ফাউল হয়। তাই নন্দীগ্রামের ‘হ্যান্ডিক্যাম’ ওসি কিংবা কাটোয়ার অধ্যাপক তুহিন সামন্ত খুনে অভিযুক্ত অফিসার ‘মা মাটি মানুষ’ এর আমলেও পুলিস কর্তাদের ‘ব্লু আইড বয়’।
বাম জমানায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে থানার ওসি, আইসি থেকে এসপি পোস্টিংয়ে পার্টিই ছিল শেষ কথা। তাই পুলিসেরও নেতাদের কথার বাইরে যাওয়ার উপায় থাকত না। থানার ওসি পোস্টিংয়ের আগে জেলা সম্পাদকের কাছ থেকে তালিকা অনুমোদন করিয়ে নেওয়া ছিল অধিকাংশ এসপির আবশ্যক কর্তব্য। অমান্য করলে পদ খোয়ানো ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে তা হতো অত্যন্ত নিঃশব্দে। যিনি শাস্তি পেতেন এবং যাঁরা শাস্তি দিতেন, তাঁদের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকত। এখনকার মতো অত হইচই হতো না। তবে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পুলিস এবং প্রশাসনের উপর স্থানীয় পার্টি নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই আলগা হয়েছিল।
বাম জমানার তুলনায় এখন পুলিস এবং প্রশাসন অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। এখন বেশিরভাগ জেলার শাসক দলের নেতাই পুলিস সুপার এবং জেলাশাসকদের সমঝে চলেন। কারণ জেলার নেতাদের কামকর্মের ‘ফিড ব্যাক’ নাকি তাঁদের মাধ্যমেই যায়। তাই বাম জমানায় প্রশাসনকে ধমকে চমকে রাখার যে রেওয়াজ চালু ছিল তা এখন উল্টো ধারায় প্রবাহিত। প্রশাসকের গুরুত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দায়িত্বও বেড়েছে।
মাত্রাতিরিক্ত পুলিস নির্ভরতা যে কোনও রাজনৈতিক দলের দৈন্যতার লক্ষণ। জনবিচ্ছিন্নতার জেরে তৈরি ফাঁকফোকর মেরামতির জন্য পুলিসকে কাজে লাগানোর কৌশল নতুন কিছু নয়। বাম জমানায় পুলিসের গায়ে সেঁটে যাওয়া ‘শাসক দলের লেঠেল বাহিনী’র তকমাটা আজও অমিলন। বাম জমানায় জঙ্গলমহলে মাওবাদী দমনের নামে হার্মাদদের সঙ্গে পুলিসের যৌথ ক্যাম্প, বুদ্ধদেববাবুর কনভয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের পর লালগড়ে ছিতাবনি মুর্মু সহ আদিবাসী মানুষের উপর অমানবিক অত্যাচার, নন্দীগ্রামে গণহত্যার মতো একের পর এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, পুলিস আর সিপিএম সমার্থক। পুলিস যত শাসক দলের অনুগত হয়, ‘আইনের রক্ষক’ ততই হারায় মানুষের আস্থা।
সংবিধান পুলিসের হাতে প্রচুর ক্ষমতা দিয়েছে। সুনাগরিকের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এতকিছু। কিন্তু সেই ক্ষমতা যদি মানুষের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়? বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনিবার্য। আসলে ক্ষমতা অনেকটা শানিত ছুরির মতো। শল্য চিকিৎসকের ছুরি মানুষের প্রাণ বাঁচায়, দুষ্কৃতীর হাতের সেই ছুরিতেই মানুষের প্রাণ যায়। তাই অনেকেই মনে করেন, ক্ষমতার আস্ফালনে নয়, বরং নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতাই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে।
19th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাইফোঁটাতে ১১ দিন বিশেষ খাওয়াদাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মৎস্য দপ্তরের অধীনস্থ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিয়মের পক্ষ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের নলবনে জলাশয়ের পাশে এক মনোরম পরিবেশে এই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিশেষ যাত্রী পরিষেবা দিয়ে বাড়তি আয় ঘরে তুলল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতে পুজো-পরিষেবার হিসেব-নিকেশ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত ছিলেন কর্তারা। তা মেটার পর আয়ের অঙ্ক স্বস্তিতে রাখছে কর্তাদের।  ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে আলিপুরে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপল কার পার্কিং ব্যবস্থা। মুক্তমঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’র উল্টোদিকে পূর্ত দপ্তরই সেটি তৈরি করছে। সেখানে ৩০০টি গাড়ি ...

সংবাদদাতা, কালনা: দল করতে হলে দলের জন্য সময় দিতে হবে। মানুষের পাশে থেকে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে। ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। বেশি করে মানুষের কাছে সরকারি সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসাথী সহ নানা প্রকল্প পৌঁছে দিত হবে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM