Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে। এই চিঠিগুলির বক্তব্য কমবেশি একই। সরকার ব্যর্থ মহাত্মা গান্ধীর নিরাপত্তা প্রদান করতে। তাই ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারিতে ওভাবে একজন যুবক অনায়াসে এসে গুলি করে হত্যা করে দিয়ে গেল মহাত্মাকে। অথচ তার কয়েক সপ্তাহ আগেও বিড়লা হাউসে বোমা পড়েছিল। মহাত্মা গান্ধীজি মুর্দাবাদ স্লোগান উঠেছিল। সরকার আর পুলিস প্রশাসনের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কেন সতর্কতা নেওয়া হয়নি? এই সমালোচনার মধ্যে সবথেকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ ছিল এক বিশেষ ব্যক্তির। তাঁর নাম জয়প্রকাশ নারায়ণ। তিনি সরাসরি নিরাপত্তা ও রাজনীতিতে ব্যর্থ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন (২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮, বম্বে ক্রনিকল)। এই আক্রমণের মূল লক্ষ্য যে তিনিই এ রকমই মনে করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্থির করেন, তিনি পদত্যাগ করবেন। কারণ, গান্ধীজি তাঁকে ও নেহরুকে পুত্রসম স্নেহ করতেন। আর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে সেই বাপুকে রক্ষা করতে পারলেন না, এটা সর্দার প্যাটেল মেনে নিতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে তিনি চিঠি লিখলেন পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু সেই চিঠি নেহরুকে পাঠানোর আগেই, নেহরুর চিঠি এসে পৌঁছল সর্দারের কাছে। নেহরু আগেই আন্দাজ করেছেন প্যাটেলের মনের কথা। তিনি প্যাটেলকে অনুরোধ করেছেন ইস্তফার কথা একেবারেই না ভাবতে। কারণ, প্যাটেলের অপরাধের কথা আসছে কেন? সকলেই ব্যর্থ আমরা! নেহরু ও প্যাটেলের মধ্যে ঠিক যতটা মতান্তর ছিল, তার থেকে অনেক বেশি কিন্তু ছিল পরস্পরকে চেনা ও শ্রদ্ধার একটি সম্পর্ক। তাই নেহরু চাননি প্যাটেলকে দায়ী করতে। দায় সবার। এটা তিনি ১৯৪৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সংবিধান-সভাতেও বলেছিলেন।
স্বাধীন ভারতের রাজনীতিতে দল ও সরকারে যুগলবন্দির প্রথা শুরু হয় স্বাধীনতার ক্ষণ থেকেই। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সবথেকে খ্যাতনামা ও সফল তিনটি রাজনৈতিক জুটি হল জওহরলাল নেহরু-বল্লভভাই প্যাটেল। লালকৃষ্ণ আদবানি-অটলবিহারী বাজপেয়ি। এবং নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। তিনটি জুটিই প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দলে এক নম্বর-দু’নম্বর। সব ক্ষেত্রেই ইতিহাসের এই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। এই যুগলবন্দির একটি চরিত্র হয় সাধারণত জনপ্রিয় এবং ক্যারিশমাটিক এক ক্রাউডপুলার। যাঁর সাপোর্ট বেস দলমতনির্বিশেষে ছড়িয়ে পড়ে জনতার মধ্যে। তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর দ্বিতীয়জন অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে প্রবল শক্তিশালী তথা দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, দলীয় সমর্থনের সম্প্রসারণ করা এবং দল তথা সরকারের আগ্রাসী নীতি নির্ধারণ ও প্রয়োগে পটু। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরু ছিলেন প্রথমজন। তিনি ছিলেন ক্যারিশমাটিক এক জনপ্রিয় নেতা। তাঁর ইমেজ এবং বক্তৃতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মুগ্ধ। অন্য দিকে, প্যাটেল ছিলেন দ্বিতীয় জন। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে তাঁর সাংগঠনিক শক্তি ছিল প্রবল এবং সরকারের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রয়োগে তিনি ছিলেন কঠোর। ১৯৯৯ সাল থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ি ছিলেন প্রথম জন। অর্থাৎ তিনি দলের অ্যাজেণ্ডায় সীমাবদ্ধ না থেকে হয়ে উঠেছিলেন এক সর্বজনমান্য জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মুখ। আর লালকৃষ্ণ আদবানি তখন আবার দ্বিতীয় জনের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি একাই রামমন্দির আন্দোলনের স্রষ্টা। বস্তুত ভারতে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সূত্রপাত হয় তাঁর হাত ধরে। সরকারে আসার পরও তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে কঠোর নীতিগুলি বলবৎ করার পক্ষে ছিলেন। এবং কড়া ঘোষণাগুলিও তিনিই করতেন।
সেই সময় বলা হতো আদবানি বিজেপির মুখ, বাজপেয়ি মুখোশ। ওই ট্র্যাডিশন বজায় রেখেই নতুন প্রজন্মের নতুন ভারতে এখন নরেন্দ্র মোদি জনপ্রিয় এক প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির মুখ। ভোট সংগ্রহের জন্য মোদির তুমুল ক্যারিশমা আর ম্যাজিকই বিজেপির সবথেকে বড় হাতিয়ার। আর অন্য দিকে অমিত শাহ হলেন দ্বিতীয় সেই মুখ, যিনি প্রশাসনিকভাবে অনেক বেশি সক্রিয় এবং দলের সংগঠন পরিচালনায় প্রায় একচ্ছত্র অধিকারী। সুতরাং, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে, এ রকম তিনটি জুটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, যাঁদের মধ্যে দলে এবং সরকারে এক নম্বর স্থান পেয়ে এসেছেন তিনি, যে ব্যক্তি বেশি জনপ্রিয় ভোটের ময়দানে। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিটি সর্বদা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন।
এই প্রবণতায় কি কোনও পার্থক্য নেই? অবশ্যই আছে। পার্থক্য হল, এই তিন জুটির মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় জুটির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রবল মতান্তর হয়েছে বারংবার। ছিল গোপন ইগোর লড়াইও। স্বাধীনতার আগেই যখন নতুন কংগ্রেস সভাপতি মনোনয়নের বাছাই পর্ব শুরু হয়েছিল, তখন সিংহভাগ প্রদেশ সভাপতি ছিল প্যাটেলের সভাপতি হওয়ার পক্ষে। গান্ধীজি কিন্তু নেহরুকেই সভাপতি করেছিলেন। প্যাটেল, গান্ধীজির মনোভাব জেনে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেন। গান্ধী জানতেন, স্বাধীনতার পর তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, যিনি কংগ্রেসের সভাপতি। তাই তিনি চাইতেন, নেহরুই প্রধানমন্ত্রী হবেন। অতএব নেহরুই সভাপতি হন। পরবর্তীকালে নানা ইস্যুতে মতান্তর হয়েছে নেহরু প্যাটেলের।
আদবানি এবং বাজপেয়ির মধ্যেও বহু ইস্যুতেই মতবিরোধ হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণ কিংবা গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বাজপেয়ির অসন্তোষ। দাঙ্গার পর গুজরাতে আয়োজিত বিজেপি ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভে যোগ দিতে গুজরাত যাওয়ার সময় একই বিমানে বাজপেয়িকে বিষণ্ণ ও অন্যমনস্ক দেখে আদবানি বলেছিলেন, বাজপেয়িজি কী ভাবছেন? বাজপেয়ি শ্বাস ফেলে বলেছিলেন, কমসে কম ইস্তিফা দেনে কী বাত তো কর স্যাকতে থে! অর্থাৎ মোদি অন্তত প্রকাশ্যে দাঙ্গার দায় নিয়ে বলতেই পারতেন তিনি ইস্তফা দিতে চান। তা হলেও একটা বার্তা যেত। আদবানি বরাবরই মোদির পক্ষে। বস্তুত তিনিই মোদির মেন্টর। বলেছিলেন, আপনি চাইলে আমি বলব সে কথা মোদিকে। কিন্তু সেটা সমাধান নয়। বস্তুত আদবানি যে বাজপেয়ির থেকে কোনও অংশে কম নয়, এটা বোঝাতে তিনি শুধুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সন্তুষ্ট হননি। উপ-প্রধানমন্ত্রীও করতে হয়েছে তাঁকে।
এখানেই অমিত শাহ ও মোদির সমীকরণে তাঁদের পূর্বসূরি দু’টি রাজনৈতিক জুটির তুলনায় বিরাট একটা পার্থক্য। অমিত শাহ নিজেকে নরেন্দ্র মোদির সমকক্ষ হিসাবে প্রদর্শন করতে চান না। তিনি সর্বদাই মোদিকে ‘ইমিডিয়েট বস’ হিসাবেই প্রাধান্য দেন এবং প্রকাশ্যে বিবেচনা করেন, মোদিই দলে সব, তিনি নেহাত মোদির অনুগামী। তা‌ই ঩তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও উপপ্রধানমন্ত্রী হননি। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে একটি বিশেষ প্রবণতা। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত তথা কঠোর পদক্ষেপগুলির সবই হ্যান্ডেল করছেন অমিত শাহ। ৩৭০ নং ধারা বিলোপ করা, বারংবার গোটা দেশে এনআরসি চালু করার ঘোষণা, হিন্দিকেই দেশের একমাত্র সমন্বয়ের ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা, কোন রাজ্যে কোন দলের সঙ্গে জোট করা হবে, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কার সঙ্গে যৌথ সরকার গঠন করা যায়, আরও কোন দলকে এনডিএ জোটে নিয়ে আসা হবে, কোন কোন বিরোধী নেতাকে টার্গেট করা হবে আইনগত ভাবে, ইত্যাদি তাবৎ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অমিত শাহের নাম। এই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা কখনওই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও বক্তব্য শুনতে পাই না। অর্থাৎ সরকারের এক কঠোর প্রশাসক এবং দলের এক সুকৌশলী সংগঠক, এই দুই ভাবমূর্তি ক্রমেই প্রবলভাবে জোরদার হয়ে উঠছে অমিত শাহ সম্পর্কে।
পক্ষান্তরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সচরাচর দেখা যাচ্ছে কী করতে? তিনি আমেরিকায় মেগা শো করেন। প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হওয়া কেন দরকার, সেই সামাজিক উন্নয়নের আহ্বান করেন, স্বচ্ছ ভারতের বিজ্ঞাপন করেন, সেই লক্ষ্যে সমুদ্রতটের আবর্জনা পরিষ্কারের ভিডিও শেয়ার করেন, বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ফোটো সেশন হয়, ক্লাইমেট চেঞ্জ, মেক ইন ইন্ডিয়া, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও সম্পর্কে মন কী বাতে রেডিওর ভাষণ দেন। আর যে কোনও রাজ্যে ভোট এলে তিনি সভাসমাবেশ করেন। একই ভাবে হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে একটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অনেক বেশি প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। এটা অন্য দেশের ক্ষেত্রে হয় না। কিংবা ভারতেও হয়নি। কাশ্মীর ৩৭০ ধারার বিলোপসাধনের পর স্বাভাবিকতায় ফিরছে কিনা সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে কোনও মন্ত্রী কিংবা রাজনৈতিক নেতার ভিডিও অথবা সংবাদ প্রচারিত হওয়ার স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দেখা গেল অজিত দোভালের ভিডিও, ছবি প্রচারিত হচ্ছে। তার পরও বিভিন্ন ইভেন্টে, সেমিনারে, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিতে অজিত দোভাল প্রকাশ্যে অনেক বেশি সক্রিয়। ক্রমেই প্রশাসন পরিচালনায় অমিত শাহের কঠোর পদক্ষেপ ও কড়া সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং দেশের সুরক্ষা, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, স্ট্র্যাটেজিক বিষয়ে অজিত দোভালের নামই বেশি বেশি সামনে আসছে।
সুতরাং একটি ভাবমূর্তি নির্মিত হয়ে চলেছে যে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগ্রহণে অমিত শাহ-অজিত দোভাল জুটি এখন একটা নতুন রকমের ইমেজ গঠন করতে জনমানসে সমর্থ হয়েছেন। ভারতের নিরাপত্তা রক্ষায় তাঁরা যে কোনও আপস করছেন না, এই প্রকট বার্তা তাঁরা দিতে চাইছেন একের পর এক অতি তৎপর সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং ঘোষণা করে। দেখা যাচ্ছে দলের সভাপতি হিসাবে তো বটেই, সরকারের অন্যতম প্রধান নীতি নির্ধারক হিসাবেও আম জনতার চর্চায় অমিত শাহের নাম আগের তুলনায় অনেক বেশি বেশি আসছে এখন। আবার নিজের দলকে প্রবল শক্তিশালী হিসাবে ধরে রাখতে তাবৎ অঙ্ক ও রসায়নও করে থাকেন অমিত শাহ। সেখানেও দ্বিতীয় কোনও নেতা কিন্তু উঠে আসতে পারেননি, যাঁকে বলা যেতে পারে বিজেপির সভাপতি হওয়ার যোগ্য। সেই কারণেই জগৎপ্রকাশ নাড্ডা কার্যকরী সভাপতি হয়েই রয়েছেন। সভাপতি এখনও অমিত শাহ।
এই গোটা প্রেক্ষাপটে সবথেকে ইন্টারেস্টিং হল নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা। তিনি এখন ক্রমেই বিজেপির সিম্বলিক এক ক্রাউডপুলার, ভোট সংগ্রহের সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসাবেই বিবেচিত হয়ে চলেছেন। কারণ স্বাভাবিক, নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা এখনও প্রশ্নাতীত। যে কোনও রাজ্যে তাঁর নামেই বিজেপিকে মানুষ ভোট দিয়ে চলেছে আজও। মোদির সমকক্ষ জনপ্রিয় নেতা এখনও, এত ব্যর্থতার অভিযোগ সত্ত্বেও উঠে আসছে না রাজনীতিতে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন। সরকার পরিচালনায় মোদির ভূমিকা নিয়ে আর বিশেষ জোরদার চর্চা হয় না।
তিনি কী ধীরে ধীরে প্রতীকী এক অন্তহীন জনপ্রিয় থাকার কৃৎকৌশলের অঙ্গ হয়ে স্রেফ ভোটে জেতার যন্ত্রে পর্যবসিত হয়ে যাচ্ছেন? তিনি শুধুই জনতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে ভালো ভালো কথা বলবেন! স্বচ্ছ ভারত, ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা বর্ষ, ভারত ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে, এ রকম ঘোষণাগুলিই করে যাবেন? আর ভোট এলে সভা সমাবেশে নেহরু, কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে চলবেন আগের মতোই। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, মোদি নতুন ভিশনের আর সন্ধান দিচ্ছেন না, যা তিনি প্রথম পাঁচ বছরে সমর্থ হয়েছিলেন দিতে। তিনি যেন ক্রমেই হয়ে পড়ছেন বিজেপির ইমেজ বিল্ডিং আর ভোটে জেতানোর শুধুই এক অফুরন্ত ভোট মেশিন! ৬ বছর আগেও তিনি ছিলেন আমজনতার কাছে স্বপ্নের সওদাগর। স্বপ্নের ভাঁড়ার কি কমছে? প্রত্যক্ষ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে আর ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে না কেন?
18th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা প্রচার, মশার লার্ভা নষ্টের ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে আলিপুরে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপল কার পার্কিং ব্যবস্থা। মুক্তমঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’র উল্টোদিকে পূর্ত দপ্তরই সেটি তৈরি করছে। সেখানে ৩০০টি গাড়ি ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশে গর্ভপাতে মৃত্যুতেও শীর্ষে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্যই। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি মহিলার মৃত্যু হয়েছে গর্ভপাত করাতে গিয়ে বা গর্ভপাতের জন্য বাধ্য করানোয়। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের অপরাধ সংক্রান্ত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) জাতীয় রিপোর্ট থেকে ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিশেষ যাত্রী পরিষেবা দিয়ে বাড়তি আয় ঘরে তুলল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতে পুজো-পরিষেবার হিসেব-নিকেশ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত ছিলেন কর্তারা। তা মেটার পর আয়ের অঙ্ক স্বস্তিতে রাখছে কর্তাদের।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM