Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং ইউনাইটেড নেশনসের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিওরিটি অ্যানালিসিস ইন্ডিয়া, ২০১৯ শীর্ষক একটা রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে দেশের দরিদ্রতম অংশের শিশুরা যেন আটকে পড়েছে দারিদ্র্য ও অপুষ্টির ফাঁদে। এ ফাঁদ যেন চিরকালীন। দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস, রপ্তানি করার মত অজস্র খাদ্য, এসব সাফল্য কাহিনী ও সরকারের অজস্র যোজনার আলোকমালায় সাজানো যে ভারতের গল্প আমরা শুনি এই ব্ল্যাকহোলে তার যেন প্রবেশ নিষেধ। সরকারি রিপোর্টই বলছে এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০২২ সালে দেশে বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া শিশুর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১.৪ শতাংশ।
শারীরিক বৃদ্ধি সঙ্গত কারণেই ব্যাহত করবে এদের মানসিক বৃদ্ধিকে। জীবনের ফুটে ওঠার অবস্থায় পুষ্টির অভাবে ব্যাহত হবে এদের বুদ্ধিবৃত্তি। এ এক অদ্ভুত চক্র! স্কুলে যাওয়ার জন্য সরকারি যোজনা রয়েছে, কিন্তু অপুষ্টি তো শিশুর শেখার ক্ষমতাটাই আটকে দেয়। আবার শেখার অক্ষমতা আটকায় তার মানসিক বৃদ্ধির সুযোগ। সে কোনও পেশার জন্যই শরীর ও মনে প্রস্তুত হতে পারে না। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে জীবনভোর দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলে। গ্রাম শহরে প্রতিদিনই এই মানুষগুলির সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। বিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী, শাসক ও বিরোধী সবার খাতাতেই এরা বাতিল। এরা শুধু নামহীন কিছু সংখ্যা হয়ে জেগে থাকে পরিসংখ্যানে। আজকের ক্ষুধার্ত, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া শিশুটি উপযুক্ত সময় ও বয়সে শরীরে ও মনে বাড়ার সুযোগ না পেলে আগামী দিনে অনিবার্যভাবে ক্ষুধার্ত বেকার এবং অশিক্ষিত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়েই থাকবে।
যা লিখলাম তা কিন্তু বিরাট কিছু নতুন কথা নয়। শিশুরাই দেশের সবচেয়ে অসুরক্ষিত অংশ। এদের পুষ্টির ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য লাগাতারভাবে সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে। বারবার বলা হচ্ছে কম বয়সের শিশুদের বেশি করে পুষ্টির ব্যবস্থা করার কথা। কিন্তু অবস্থা বিশেষ বদলায়নি। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে অপুষ্টিতে ভরা দেশের অন্যতম হয়েই রয়েছে। পরিসংখ্যান দেখিয়ে কেউ হয়তো বলবেন, কেন ২০০৫-৬ এর তুলনায় ২০১৫-১৬ সালে তো দেশে লাগাতার অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা কমেছে, কমেছে অ্যানিমিয়া, ওজন কম শিশুর সংখ্যাও এখন আগের তুলনায় কম। কিন্তু এই অগ্রগতি হচ্ছে খুব ধীর গতিতে। বছরে মাত্র ১ শতাংশ হারে। বৃদ্ধির হার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আর এই দেরি হওয়াটাই দেশের বহু শিশুকে যাকে বলে ‘খরচের খাতায়’ ফেলে দিচ্ছে। তারা জীবনটা শুরু করছে অনেক পিছিয়ে থেকে। জীবনের সূচনা থেকে তারা যেন ‘লাস্ট বয়।’
সরকার এসব কথা যে একেবারে ভাবছে না তা নয়। ন্যাশনাল নিউট্রিশন মিশন, এখন যার নাম পাল্টে হয়েছে পোষণ অভিযান, তাতে বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া শিশুদের সংখ্যা বছরে ২ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাদের মতে এভাবে এই শিশুদের সংখ্যা ২০২২ এর মধ্যে ২৫ শতাংশ করে ফেলা যাবে। কিন্তু এই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলেও অগ্রগতির হার এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ করতে হবে। পোষণ অভিযানের সঙ্গে জড়িত সরকারি মহলের কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তা শুনে কিন্তু এব্যাপারে আশ্বস্ত হওয়ার বিরাট কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। পোষণ অভিযান প্রকল্প শুরু হওয়ার একবছর পরেও রাজ্য সরকার এবং দেশের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মোট বরাদ্দের মাত্র ১৬ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে। দেশের শিশুদের পুষ্টি বাড়ানোর জন্য প্রতিটি রাজ্যের সবচেয়ে সমস্যাসঙ্কুল একটি জেলায় গত মার্চ থেকে উৎকৃষ্ট মানের চাল এবং দুধ দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের কর্তারা এখন স্বীকার করছেন কাজটা শুরু করা যায়নি। দেশের গণবন্টন ব্যবস্থা ছাড়া একাজ সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প রূপায়ণের কাজটি এখনও ঠিকমত করে ওঠা যায়নি। অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা এই প্রকল্প রূপায়ণের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু বিহার ও ওড়িশার মত রাজ্যে যেখানকার শিশুদের একটা বড় অংশ এই সমস্যার শিকার সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি তৈরি করা, কর্মী নিয়োগ করা ইত্যাদি ব্যাপারে সমস্যার কোনও সমাধান করা যায়নি।
সমস্যার ব্যাপকতা নিশ্চয় আছে, রয়েছে পরিকাঠামো এবং মানুষের সচেতনতার সমস্যাও, কিন্তু দেশে খাদ্য নেই বলে যে গরিব শিশুদের পুষ্টির জন্য খাদ্য দেওয়া যাচ্ছে না তা নয়। এটাই সবচেয়ে দুঃখের, সবচেয়ে লজ্জার। গত দু’দশকে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৩৩ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে এখন আমরা বস্তুত স্বয়ম্ভর। কিন্তু সেই অনুপাতে চাল, গম এবং অন্যান্য জরুরি খাদ্যশস্য মানুষের পক্ষে ততটা সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অসাম্য, খাদ্য নষ্ট হওয়া, রপ্তানি বাণিজ্য সহ আরও কিছুকেই এরজন্য দায়ী করা চলে। যার পরিণতিতে এখনও দেশের দরিদ্রতম অংশের প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাদ্যশস্য পান। দরিদ্র শিশুদের মধ্যে এই অপ্রাপ্তির হার আরও বেশি।
আবার দেশের সব অংশে এই সমস্যা সমান নয়। খারাপ অবস্থারও রকমফের রয়েছে। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মত বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার সমস্যা এতটা ব্যাপক না হলেও ন্যাশনাল ফ্যামেলি হেলথ সার্ভের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও এই সমস্যা কম নয়। এটা যে শুধু আর্থিক কারণেই ঘটছে তা নয়। বহু জায়গায় আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও একটা বড় সমস্যা। বিশেষ করে তফশিলি জাতি ও উপজাতি এবং অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারে এই সমস্যা অনেকে বেশি। কেউ বলতে পারেন বাড়ির ছোটদের তো সবাই ভালোবাসেন। বাড়ির লোক তাদের না খাইয়ে বা কম খাইয়ে কেন রাখবেন? ঠিক কথা, কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। বৃদ্ধি ব্যাহত ও অপুষ্টি কিন্তু শিশুদের নয়, শুরু হয় তাদের মায়েদের থেকে। অপুষ্টি ও রক্তাল্পতায় ভোগা একটা কমবয়সি মায়ের শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং অপুষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা সবথেকে বেশি।
আগামী পাঁচ বছরে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে পরিণত করার কথা বলছেন সরকার। খুব ভালো কথা, কিন্তু বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া শিশুদের বিপুল বোঝা তো এ রাস্তায় দেশের এগনোর পথে বাধা সৃষ্টি করবে। সবচেয়ে দুঃখের কথা হল, এই সমস্যা তৈরি হয়েছে সম্পদ নয়, সমাধানের রাস্তাটা তৈরি করতে না পারার জন্য। পরিষেবা পাওয়ার সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক কাঠামোর অসুবিধা দূর করতে না পারলে অবস্থা বদলাবে না। বদলাতে হবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও। সবার আগে প্রান্তবাসী শিশুদেরও দেশের ভাবী নাগরিক মনে করে জীবনের ফুটে ওঠার অবস্থায় তাদের সামনের সারিতে আনার প্রস্তুতি নিতে হবে। ভারতে এই সমস্যাটা শুধুমাত্র বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া শিশুদের বা তার বাবা মায়েদের সমস্যা নয়, সামগ্রিক ভাবে গোটা দেশের সমস্যা। যে শিশুরা দেশের কর্মক্ষম, উৎপাদনশীল, সচেতন নাগরিক হতে পারতো তাদের সামনে নিয়ে না আসার ব্যবস্থা করলে গোটা দেশই পিছিয়ে থাকবে। যাদের আয় দেশের সম্পদ বাড়াতে পারতো এখন তাদের জন্যই অনুৎপাদক ভর্তুকি দিতে হচ্ছে দেশকে।
দেশ, সমাজ, সময়, সভ্যতা সব কিছু এগয় কিন্তু শিশুদের নিয়ে। শিশুদের শারীরিক বিকাশ এখন উন্নয়নের একটা বড় সূচক। কিন্তু দেশের দুই-পঞ্চমাংশ গরিব পরিবারের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া শিশুদের নিয়ে আমাদের তো উন্নয়নের রাস্তায় চলাটাই সমস্যা হবে। আধুনিক অর্থনীতি তো তাদের স্পর্শই করতে পারবে না। এক থেকে পাঁচ বছরের ছোটরা চিরকাল ছোট হয়ে থাকলে দেশের বৃদ্ধিই ছোট হয়ে যাবে, ছোট হবে দেশের মুখ। এই অবস্থা বদলাতেই হবে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।’ বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, পিছিয়ে থাকা এই অসংখ্য শিশু কিন্তু দেশের অগ্রগতির রথকে পিছনে টানছে।
19th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কালনা: দল করতে হলে দলের জন্য সময় দিতে হবে। মানুষের পাশে থেকে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে। ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। বেশি করে মানুষের কাছে সরকারি সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসাথী সহ নানা প্রকল্প পৌঁছে দিত হবে।   ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিশেষ যাত্রী পরিষেবা দিয়ে বাড়তি আয় ঘরে তুলল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতে পুজো-পরিষেবার হিসেব-নিকেশ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত ছিলেন কর্তারা। তা মেটার পর আয়ের অঙ্ক স্বস্তিতে রাখছে কর্তাদের।  ...

সংবাদদাতা, তেহট্ট: আইপিএলের ধাঁচে খেলোয়াড় নিলামের মাধ্যমে বুধবার থেকে গোপীনাথপুর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ শুরু হয়েছে। এই খেলা দেখতে আশেপাশের গ্রামের মানুষ নেতাজি বিদ্যামন্দির মাঠে রোজ ভিড় জমাচ্ছেন। এই ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশে গর্ভপাতে মৃত্যুতেও শীর্ষে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্যই। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি মহিলার মৃত্যু হয়েছে গর্ভপাত করাতে গিয়ে বা গর্ভপাতের জন্য বাধ্য করানোয়। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের অপরাধ সংক্রান্ত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) জাতীয় রিপোর্ট থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM