Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

ইথিওপিয়া। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশের মাটি দীর্ঘদিন ধরেই রক্তে ভেজা। দুর্নীতি, একনায়কতন্ত্র, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত-সংঘর্ষ, বাক্‌স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের মধ্যে বিবাদ— এটাই ছিল ইথিওপিয়ার পরিচয়। দেশটি যখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, তখনই তাঁর আবির্ভাব। তিনি ইথিওপিয়ায় ক্ষমতায় এসেই যেন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বদলে দিলেন সবকিছু। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই রক্ষা পেয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি। ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা!
ইথিওপিয়ায় ৯০টিরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো ছিল একটি অন্যটির সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত। দশকের পর দশক ইথিওপিয়ার রাজনীতি যে ঘূর্ণাবর্তে ছিল, তাতে এই বিভেদ আরও বেড়েছে। সামরিক একনায়ক মেঙ্গিস্টু হাইলে মারিয়াম সেই ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে সেনা শাসন জারি করে রেখেছিলেন এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। তাঁর সময়ে দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছে। টাইগারি নৃ-গোষ্ঠী থেকে কিছু গেরিলা যোদ্ধা নিয়ে দ্য টাইগারিয়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ শুরু করে। টিপিএলএফের ক্ষমতা যখন দিন দিন বাড়ছিল, তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় দেশের বড় বড় নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তাদের দলে টানতে হবে। তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে। ১৯৮৯ সালে টিপিএলএফ ওরোমো এবং আমরাহার মতো সবচেয়ে বড় দু’টি নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট করে। জোটের নাম দেওয়া হয় ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলুশনারি ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইপিআরডিএফ)। দেশের অস্থিরতা দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হাইলে মারিয়াম পদত্যাগ করেন। ১৮ মাসের মধ্যে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটা সময় অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, ওরোমো থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী না হলে গৃহযুদ্ধ নিশ্চিত। ইথিওপিয়ায় সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ‘ওরোমো’। দেশের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষই এই সম্প্রদায়ের। প্রধানমন্ত্রী আবিও এই সম্প্রদায়ের।
প্রধানমন্ত্রী আবি বিস্ময়করভাবে সব নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সমান জনপ্রিয়। তাঁর বাবা ছিলেন ওরোমো মুসলিম এবং মা ছিলেন খ্রিস্টান। তিনি ওরোমো, আমরাহা, টাইগারি ও ইংরেজি ভাষায় সমান পারদর্শী। ১৯৯০-এর দশকে আবি রুয়ান্ডায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইথিওপিয়ার সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি আইএনএসএর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ওরোমিয়া অঞ্চলের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ৪৩ বছর বয়সি আবি আহমেদ। সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা বিবিসি বলছে, ‘বারাক ওবামার জয়ের পর এমন দৃশ্য আর কখনও দেখা যায়নি। ইথিওপিয়ার মানুষ কাঁদছে, কারণ এই প্রথম তারা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। মানুষ অবশেষে তাদের মনের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে, সেই খুশিতে কাঁদছে। না দেখলে আপনি ভাবতেই পারবেন না।’ চলতি বছরের জুলাইয়ে আবি আমেরিকার তিনটি অঙ্গরাজ্য সফরে যান। সবার শেষে তিনি যান মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে। সেই অঙ্গরাজ্যের টার্গেট অ্যারেনা স্টেডিয়ামে জনসভার আয়োজন করা হয়। আবিকে দেখতে সেদিন ভোর ৬টার মধ্যেই পুরো স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল। প্রায় ২০ হাজার ইথিওপীয় তাদের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সামনাসামনি দেখতে ও তাঁর কথা শুনতে জড়ো হয়েছিলেন। আমেরিকায় আড়াই লাখেরও বেশি ইথিওপীয় নাগরিকের বসবাস। এদের অনেকেই জীবন বাঁচাতে নিজের দেশ থেকে পালিয়ে আমেরিকায় গিয়েছেন। তাদের সবার সামনে প্রধানমন্ত্রী আবি একজন ত্রাতা, যিনি বিধ্বস্তপ্রায় ইথিওপিয়াকে পুনরায় রক্ষা করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
আবি আফ্রিকার অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনায়কের মতো নন। জনগণের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কম। জনবহুল তল্লাটে গিয়ে তিনি মানুষ ও অন্যান্য রাজনীতিকদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, সেলফি তোলেন, জনসভা মাতিয়ে রাখেন। ইথিওপিয়ার নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তিনি নিজেদের মধ্যে ‘দেওয়াল তৈরি না করে সেতু তৈরি করতে’ বলেন। মিনেসোটার ওই জনসভায় আবি বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি এই প্রজন্মের গর্ব হতে চান, তাহলে ওরোমো, আমহারা, ওলেয়টাস, সিলটেসসহ সব নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে সমান মর্যাদা দিতে হবে। সবাইকে সমান ইথিওপীয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।’ এটা একটা বৈপ্লবিক বার্তা। ইথিওপিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে যে গোষ্ঠীগত বিভেদ, সর্বমহলে জনপ্রিয় একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন বার্তায় সেটি কমে আসবে। সেটাই স্বাভাবিক। আমেরিকার মিনেসোটার জনসভার ভাষণে সেদিন তিনি ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় তিনটি ভাষাই ব্যবহার করেছিলেন। এমনকী পার্শ্ববর্তী দেশ সোমালিয়ার মানুষদের সম্মানে তিনি সোমালি ভাষায়ও কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আফ্রিকা মহাদেশের সর্বকনিষ্ঠ এই রাষ্ট্রনেতা খুব দ্রুততার সঙ্গে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো দেশে-বিদেশে ইথিওপীয়দের মনে আশার সঞ্চার করেছে। ক্ষমতায় এসেই তিনি হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছেন। সেন্সরশিপের নামে বন্ধ থাকা শত শত ওয়েবসাইট চালু করেছেন। রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন। প্রতিবেশী ইরিট্রিয়ার সঙ্গে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টেনেছেন।
১৯৯৩ সালে ইরিট্রিয়া স্বাধীনতা অর্জন করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইথিওপিয়া থেকে। ইরিট্রিয়া হর্ন অব আফ্রিকায় লোহিত সাগরের মুখে, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথের কাছেই অবস্থিত। এই দেশের স্বাধীনতা ছিল ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে ইরিট্রিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ বছরের সংগ্রামের ফলাফল। বারবার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে দু’পক্ষেরই সত্তর হাজারের বেশি মানুষের। এই যুদ্ধে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। বহু পরিবার ভেঙে যায়। স্থানীয় বাণিজ্য-অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে ব্যাপক শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হওয়ায় হাজার হাজার ইরিট্রিয়াবাসী ইউরোপে পালিয়ে যান। ক্রমেই মেরুদণ্ড ভেঙেছে দুই দেশের অর্থনীতির। ইরিট্রিয়ার স্বাধীনতার পাঁচ বছর পর থেকে দু’দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সীমান্তবর্তী গুরুত্বহীন শহর বাদমের দখল নিয়ে, যে শহর আদ্দিস আবাবা এবং আসমারা দু’পক্ষের কাছেই ছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। ২০০০ সালের জুন মাসে দু’দেশ শত্রুতা নিরসনের চুক্তি স্বাক্ষর করে। সে বছরের ডিসেম্বর মাসে আলজেরিয়ায় শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে সরকারিভাবে যুদ্ধের সমাপ্তি হয় এবং সমস্যা মেটানোর জন্য সীমান্ত কমিশন গঠিত হয়। ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে কমিশন বাদমেকে ইরিট্রিয়ার অংশ বলে ঘোষণা করে। কিন্তু ইথিওপিয়া এই সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে এবং শুরু হয় অচলাবস্থা। ইথিওপিয়া বাদমের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে অস্বীকার করলে সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়। আবার হত্যা। আবার রক্তপাত।
২০১৭ সালে ইথিওপিয়ার ক্ষমতাসীন ইথিওপিয়ান পিপলস রেভলিউশনারি ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইপিআরডিএফ) ইরিট্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে বদল ঘটানোর ইঙ্গিত দেয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে আবি আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতির বদল ঘটতে থাকে। ক্ষমতায় এসেই আবি আহমেদ আলি প্রথমেই সচেষ্ট হন ইরিট্রিয়ার সঙ্গে হিংসা অবসানে। একই সঙ্গে চলতে থাকে অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ। প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যে আবি আহমেদ দেখা করেন ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ইসআইআস আফওয়ের্কির সঙ্গে। শুরু হয় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মত বিনিময়। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই আসমারায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট আফওয়ের্কির সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন আগে তিনি ঘোষণা করেন, ‘ইরিট্রিয়া এবং ইথিওপিয়ার মধ্যে আর কোনও সীমান্ত নেই, ভালোবাসার সেতু সীমান্ত ধ্বংস করে দিয়েছে।’ শান্তি চাইছিল ইরিট্রিয়াও। সদর্থক আলোচনার শেষে দুই দেশের প্রধান ৯ জুলাই একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। আবি আহমেদ বাদমে অঞ্চলকে ইরিট্রিয়ার হাতেই সমর্পণ করেন। স্থির হয়, দুই দেশের মানুষ, পণ্য ও অন্যান্য পরিষেবার জন্যে সীমান্ত খুলে দেবে উভয় পক্ষই। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অনেকটাই বদলে দিয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। ইরিট্রিয়ার সঙ্গে বছরের পর বছর যুদ্ধের কারণে এডেন উপসাগর এবং আরব সাগরের দিকে যাবার জন্য ইথিওপিয়াকে ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হচ্ছিল বাব আল-মানদাব প্রণালীর উপর অবস্থিত জিবৌতির উপর। শান্তি চুক্তির ফলে ইরিট্রিয়ার বন্দর ইথিওপিয়ার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।
গত কয়েক মাসে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার চিত্রটাই পাল্টে যায়। আগের সরকারের চাপে পিষ্ট থাকা মানুষগুলো এখন যেন একটু বুক উঁচিয়ে হাঁটতে পারছে, মন খুলে হাসার একটা উপলক্ষ এখন তাদের সামনে আছে, কয়েক দশক ধরে যা তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। আদ্দিস আবাবার রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে গাড়ির সামনে-পিছনের গ্লাসে এখন প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির স্টিকার সেঁটে রাখে সবাই। তাঁর ছবি আঁকা টি-শার্টের পিছনে মানুষ দেদার টাকা খরচ করছে। লোকজন তাদের ফেসবুক-ট্যুইটার-ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও তাঁর বিভিন্ন বার্তা দিয়ে প্রোফাইল ছবি বানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের জনপ্রিয়তা আজ আকাশ ছুঁয়েছে। আদ্দিস আবাবা থেকে ব্রিটিশ সাংবাদিক টম গার্ডনার লিখছেন, ‘রাজধানীতে রীতিমতো একটি ধর্মীয় উৎসবের আবহ। মানুষ খোলামেলাভাবেই বলাবলি করছে, প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ঈশ্বরের সন্তান বা তাঁর দূত হবেন।’ প্রধানমন্ত্রী আবিকে নিয়ে দেশটিতে এখন যা চলছে, সাংবাদিক গার্ডনার এই উন্মাদনার নাম দিয়েছেন ‘আবিম্যানিয়া’।
17th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। বিশদ

15th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশে গর্ভপাতে মৃত্যুতেও শীর্ষে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্যই। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি মহিলার মৃত্যু হয়েছে গর্ভপাত করাতে গিয়ে বা গর্ভপাতের জন্য বাধ্য করানোয়। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের অপরাধ সংক্রান্ত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) জাতীয় রিপোর্ট থেকে ...

সংবাদদাতা, তেহট্ট: আইপিএলের ধাঁচে খেলোয়াড় নিলামের মাধ্যমে বুধবার থেকে গোপীনাথপুর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ শুরু হয়েছে। এই খেলা দেখতে আশেপাশের গ্রামের মানুষ নেতাজি বিদ্যামন্দির মাঠে রোজ ভিড় জমাচ্ছেন। এই ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।  ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে আলিপুরে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপল কার পার্কিং ব্যবস্থা। মুক্তমঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’র উল্টোদিকে পূর্ত দপ্তরই সেটি তৈরি করছে। সেখানে ৩০০টি গাড়ি ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা প্রচার, মশার লার্ভা নষ্টের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM