Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোনিয়ার দলে অন্ধকার যুগ, মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় অ্যাডভান্টেজ মোদি বাহিনীই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৯৬। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে মোহিত সেনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়বস্তু তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মতো। তাঁর বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে এসে কংগ্রেসের হাল ধরা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। অ্যানি বেসান্ত। তিনি ইউরোপীয় ছিলেন। সোনিয়াও তাই। তাহলে বিদেশিনী তকমার জন্য তিনি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, এই যুক্তি মোটেও খাটে না। মোহিত সেনের নিবন্ধের সারমর্ম ছিল, কংগ্রেসের অবক্ষয় ঠেকাতে পারে শুধুই গান্ধী পরিবার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই তখন নাক কুঁচকে ছিলেন। সোনিয়া? ১৯৯৮ সালে কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর সেই পুত্রবধূই দলের সভানেত্রী হলেন। ধীরে ধীরে নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ডালপালা বিস্তার করলেন। এবং মাত্র ১৪৫টি আসন নিয়েও ২০০৪ সালে কংগ্রেস জোট সরকার গঠন করল। অপ্রত্যাশিত।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, এখন আবার ওই প্রসঙ্গ কেন? কারণ একটাই। কংগ্রেস আজ আবার ধসে যাওয়ার মুখে। নিন্দুকে চিরকাল বলে এসেছে, গান্ধী পরিবারের ট্যাগ না থাকলে কি কংগ্রেস চলতে পারে না? উত্তরটা কিন্তু দলের নবীন-প্রবীণ লোকজনই এবার দিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা কেউই আর রাহুল গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে নারাজ। তাই দলের মৃত্যুপথযাত্রা ঠেকাতে ভরসা সেই সোনিয়া গান্ধী। এক কঠিন সময়ে তিনি কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছেন। সামনেই তিন রাজ্যের ভোট। যার মধ্যে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ২১ অক্টোবর, ঝাড়খণ্ডে ডিসেম্বর মাসে। যদিও ঝাড়খণ্ড নয়, অন্য দুই রাজ্যের দিকেই আপাতত দেশের নজর। তাই বানপ্রস্থ থেকে ফিরিয়ে আনা হল ৭২ বছরের ‘বিদেশিনী’কেই। অপ্রত্যাশিতভাবেই।
গত লোকসভা ভোটের ফল দেখে কংগ্রেস নিয়ে এত আলোচনা বাতুলতা মনে হতে পারে। কিন্তু রাজনীতির এই প্রান্তে আলোকপাত করাটাও প্রয়োজন। কেন? মূল কারণ হল, যদি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার নিরিখে রাজনীতির জমি জরিপ করা হয়, তাহলে দুই রাজ্যেই বিজেপির শাসন-ইতিহাস খুব মসৃণ নয়। শুরু করা যাক মহারাষ্ট্র দিয়ে। রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন, গত পাঁচ বছরে গোটা দেশে যত কর্মসংস্থান হয়েছে, তার ২৫ শতাংশই নাকি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। যদিও এর বিস্তারিত তথ্য তিনি কিছু দিতে পারেননি। সিএমআইই’র সমীক্ষা কিন্তু বলছে, গত তিন বছরে মহারাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ৪.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৬ শতাংশ হয়েছে। তার উপর চাপ রয়েছে কৃষক সমাজের। সব্জির দাম চড়ছে। পেঁয়াজের অবস্থা তো ভয়াবহ! কৃষিঋণ মকুবের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন ফড়নবিশ। এবং ভোটের ঠেলায় আরও বেশ কিছু প্রকল্পের নিদান দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে জল সংরক্ষণ এবং সেচ সংক্রান্ত কর্মসূচি। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়েছে শিল্প। ধাক্কা খেয়েছে একের পর এক বিনিয়োগের সম্ভাবনা। শিল্পে বৃদ্ধির হার গত আর্থিক বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। উপরন্তু গাড়ি শিল্প ধাক্কা খাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে পুনের কাছে চাকানে, যা কি না মহারাষ্ট্রের ‘কার হাব’।
যদিও গাড়ি শিল্পের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে হরিয়ানা। গুরুগ্রাম-মানেসর-বাওয়াল এলাকায় ভারতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গাড়ি তৈরি হয়। প্রায় এক বছর হতে চলল, গাড়ি বিক্রির হার তলানিতে। উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। চলছে কর্মী ছাঁটাই এবং পরিকাঠামোগত খরচ বাঁচাতে দু’-একদিন করে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে মারুতি সুজুকির মতো কোম্পানিকে। বেকারত্বও বাড়ছে।
অর্থাৎ, দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই মসৃণ জয় বিজেপির জন্য অপেক্ষা করে থাকার কথা নয়। তা সত্ত্বেও কেন অ্যাডভান্টেজ নরেন্দ্র মোদি বাহিনী? উত্তর একটাই, দুর্বল বিরোধী। বিশেষত কংগ্রেস। দলত্যাগ করেছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক তনওয়ার। দলের মধ্যে ক্ষোভের হাওয়া, রাহুল গান্ধী যে তরুণ প্রজন্মের কাঁধে কংগ্রেসের দায়িত্ব সঁপেছিলেন, কোপ পড়ছে তাঁদের উপর। সোনিয়া গান্ধী কার্যকরী সভানেত্রী হয়ে ফিরে আসার পর প্রবীণরা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। কুমারী সেলজাকে প্রদেশ সভাপতি করার পর হরিয়ানায় যে তিক্ততা আরও বেড়েছে। পাশাপাশি উঠছে নির্বাচনী টিকিট বিলি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও। মহারাষ্ট্রেও সঞ্জয় নিরুপমের মতো কংগ্রেস নেতা দলের বিরুদ্ধে চাপা বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছেন। শচীন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বা আর এক রাহুল-ঘনিষ্ঠ মিলিন্দ দেওরাও ক্ষোভ চেপে রাখেননি। ত্রিপুরার প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি প্রদ্যোৎ দেববর্মন তো সরাসরি দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধীর হাত ধরে উঠে আসা তরুণ নেতৃত্বকে নানাভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে দলে।
এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার। সোনিয়া গান্ধীর হাতে কোনও জাদুকাঠি নেই। একের পর এক ভোটে বিপর্যয়ের কাহিনী কংগ্রেসের মনোবলে বড়সড় আঘাত হেনেছে। মাঝে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া গত এক দশকে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর নব্য ব্রিগেডের ঝুলিতে তেমন কোনও সাফল্য নেই। মোদি হাওয়া আর নেই বলে গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেস যে প্রচার চালিয়েছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। নোট বাতিল এবং জিএসটি সমস্যাও বিশল্যকরণী হয়ে কংগ্রেসের কাছে দেখা দেয়নি। দেশের মানুষই নরেন্দ্র মোদিকে আর একবার সুযোগ দিয়েছেন। ভোটার ভরসা রাখেননি কংগ্রেসে। আর এখন দলও হয়তো রাখছে না। কংগ্রেসে সোনিয়া গান্ধীর দাপট এবং জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও যে স্তিমিত হয়েছে, একের পর এক রাজ্যে ‘বিদ্রোহ’ই তার প্রমাণ। সোনিয়া গান্ধীও কিন্তু এবার আর হাল ফেরাতে পারছেন না। তাঁর কাছে এতটা প্রত্যাশা করাটাও অবশ্য অমানবিক। তাঁর বয়স এবং অসুস্থতা সত্ত্বেও পালিয়ে না গিয়ে সোনিয়া দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন... এটাই অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু দলীয় কোন্দল মিটিয়ে দেশবাসীর মনে কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানোর কাজটা একা সোনিয়া করতে পারবেন না। কারণ এক হাতে তালি বাজে না। দলের প্রত্যেক সদস্যকে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সেই সমর্থন জোগাতে হতো। যার লেশমাত্র হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে দেখা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ বিজেপির সামনে এই দুই রাজ্যে ফাঁকা মাঠই পড়ে রয়েছে। শুধু ঠিকঠাক পাস বাড়িয়ে গোল দেওয়ার অপেক্ষা। পাস বাড়ানো মানে শরিকদের সামলে এগিয়ে যাওয়া। মহারাষ্ট্রে শরিক বলতে শিবসেনা। গত কয়েকটি ভোটের ঠিক আগে শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির একটা দড়ি টানাটানির সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। পরে অবশ্য সবই মিটে যায়। আগামী ২১ তারিখের ভোটের জন্য অবশ্য নতুন চমক উদ্ধব থ্যাকারের ছেলে আদিত্য। এই প্রথম থ্যাকারে পরিবারের কেউ নির্বাচনী লড়াইতে আসছেন। আর মনোনয়ন জমা করার সময় আদিত্য নিজেই ঘোষণা করেছেন, এবার হয়তো মহারাষ্ট্র থ্যাকারে পরিবারের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখবে। তারপরও কিন্তু মহারাষ্ট্রে এনডিএ সরকারই হবে। সেই লিখন বদলাতে পারার মতো পরিস্থিতি বিরোধীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।
শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব থ্যাকারে নিজে সক্রিয় ভোট রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন কিংমেকার। মারাঠা জাত্যাভিমানকে সামনে রেখে যে আবেগের রাজনীতি তিনি মহারাষ্ট্রে আমদানি করেছিলেন, তাকে রীতিমতো সফলই বলতে হয়। তাঁর দল দীর্ঘকাল যাবৎ মহারাষ্ট্রে এনডিএর সিনিয়র অংশীদার হিসেবেই ছড়ি ঘুরিয়ে এসেছে। বদলটা দেখা যায় ২০১৪ সালে। প্রবল মোদি ঝড়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর মহারাষ্ট্রেও বিধানসভা নির্বাচনে বেশি আসন দাবি করে বিজেপি। শিবসেনা রাজি হয়নি। তাই শেষমেশ দুই পার্টি আলাদা লড়াই করে এবং বিজেপিই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। তখন থেকেই জুনিয়রের মর্যাদায় রাজ্যে বাস করছে শিবসেনা। গত লোকসভা নির্বাচনেও সেই অবস্থানের বদল হয়নি। উপরন্তু যেটা হয়েছে, জাত-ধর্ম-স্থানীয় সত্ত্বার বাধা ভেঙে প্রায় সব ধরনের ভোটারেরই আশীর্বাদ কুড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। উচ্চবর্ণ এবং আদিবাসী, অ-মারাঠি ভোট আগেই বিজেপির ব্যাঙ্কে ছিল। গত ভোটে এই সবের সঙ্গে সঙ্গে মারাঠি এবং মুসলিম ভোটও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে নিয়েছে তারা। সেই প্রবণতা যদি বজায় থাকে, ভালো মার্জিন নিয়েই এবার ক্ষমতায় ফেরার কথা বিজেপির। যদি না থ্যাকারে ম্যাজিকে সত্যিই কিছু ওলট পালট হয়ে যায়। ওই রাজ্যে থ্যাকারে শব্দটি সত্যিই একটা আলাদা আবেগ। সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র বাল থ্যাকারের উত্তরসূরিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতেই পারে।
আবার হরিয়ানায় গত লোকসভা ভোটে ১০টি আসনই জিতে নিয়েছে বিজেপি। চোখে পড়ার মতো বেড়েছে জাঠ ভোট। যা ২০১৪ সালে মাত্র ১৯ শতাংশ ছিল, সেটাই হয়ে গিয়েছে ৫২ শতাংশ। পাশাপাশি দলিত এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষও ঢেলে ভোট দিয়েছেন মোদি বাহিনীকে। তাই পূর্ববর্তী বিধানসভা ভোটে ৯০টির মধ্যে ৪৩ আসন দখল করা বিজেপি নানা দুর্বলতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও বিরোধীদের দশ গোল দিয়ে এগিয়ে রয়েছে। এবার যদি তারা ৭০টির বেশি আসন মনোহরলাল খট্টরের নেতৃত্বে জিতে নেয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কংগ্রেস তো নয়ই, অন্য স্থানীয় দলগুলিও এখানে আপাতত বিজেপিকে বেগ দেওয়ার মতো জায়গায় নেই।
অর্থাৎ, বিষয়টা জলের মতো স্পষ্ট—দু’টি রাজ্যেই বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। কংগ্রেস হয়তো একটা লড়াই দিতে পারত... কিন্তু অর্ন্তদ্বন্দ্বের ঠেলায় তা দূরঅস্ত। সোনিয়া গান্ধী দায়িত্ব নিয়েছেন ঠিকই। তাতে আসন্ন ভোটের সংখ্যাতত্ত্বে বদল আসবে না। তাঁকে এই দল ঢেলে সাজতে হবে। মানুষকে আবার বিশ্বাসের, আস্থার সেই জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বোঝাতে হবে, কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু আগামী সপ্তাহের দুই রাজ্যের নির্বাচনে?
কংগ্রেস যদি কিছু করতে পারে, সেটা অপ্রত্যাশিতই হবে।
15th  October, 2019
পরিবর্তন চেয়ে হংকংয়ে পড়ুয়াদের কলরব
মৃণালকান্তি দাস

 এই অক্টোবরের প্রথম দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের বৈভবে রাঙিয়ে উঠেছিল তিয়েনআনমেন চত্বর। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় কিছু মজুত থাকলেও সেদিনও বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দখল করে রেখেছিল হংকং। বিশদ

বাঙালির অহংকারে আঘাত
হারাধন চৌধুরী

মানুষ সব ছাড়তে পারে, অহংকার ছাড়া। অহংকার নিয়েই আমরা ঘুম থেকে উঠি, ঘুমোতে যাই। অহংকার চলে গেলে মানুষ হয়তো আর মানুষ থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে। সুতরাং অহংকারের সুযোগ কেড়ে নিতে নেই। অহংকার অনেকাংশে মোটিভেশন এবং ইনসেনটিভের কাজ করে। নিরুৎসাহ করা আর মানুষকে আচমকা পিছনের দরজা দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাত নেই।
বিশদ

24th  October, 2019
‘বর্তমান’কে স্নেহের আঁচলে ঢেকে রেখেছিলেন আমাদের সবার শুভাদি
হিমাংশু সিংহ

২০০৮ সালের ১৯ জুন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এক লহমায় মনে হয়েছিল, যেন মাথার উপর থেকে বিশাল ছাদটা সরে গেল। বরুণবাবু ছিলেন পোড় খাওয়া অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জীবনও বাজি রাখার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।  
বিশদ

22nd  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন 

অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন।  বিশদ

21st  October, 2019
তিন নোবেলজয়ী বাঙালির প্রেসিডেন্সি
শুভময় মৈত্র

রবীন্দ্রনাথ খুব তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। অমর্ত্য সেন ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে পড়া শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪১-এ ভর্তি হন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে।   বিশদ

21st  October, 2019
পুলিস ও আমরা
তন্ময় মল্লিক

 বহু বছর আগের কথা। এক আত্মীয়ের মালবাহী গাড়ির কেবিনে বসে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে কাপড় ছিল। ড্রাইভার বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের হাতে টাকা দিচ্ছিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভার বললেন, ‘টাকা না দিলে ঝামেলা করবে।
বিশদ

19th  October, 2019
পশ্চাতে টানিছে সে
রঞ্জন সেন

 অপুষ্টি, অস্বাস্থ্য আর দারিদ্র্যে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের বৃদ্ধি। পাঁচ বছরের নীচে বয়স, দেশের প্রতি তিনজন শিশুর একজনের শরীর স্বাস্থ্যের এমনই হাল। বাড়ের বয়সেই আটকে গেছে এদের বৃদ্ধি। এমন শিশুরা জীবনের রাস্তায় কতটা এগতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা বলা সত্যিই খুব কঠিন। বিশদ

19th  October, 2019
রাজনৈতিক জুটি, অন্য সমীকরণ
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজিকে রক্ষা করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দায় এড়াতে পারে না। পুলিস এবং আর্মিও ব্যর্থ। অসংখ্য চিঠি আছড়ে পড়ছে গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের অফিসে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দপ্তরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে।
বিশদ

18th  October, 2019
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

 ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। বিশদ

17th  October, 2019
আফ্রিকায় ‘আবিম্যানিয়া’
মৃণালকান্তি দাস

 ইথিওপিয়ার মানুষ আজ মনে করেন, আবি আহমেদ আলি আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবানের দূত! তাদের রক্ষাকর্তা! বিশদ

17th  October, 2019
শেখ হাসিনার দিল্লি সফর: ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়
গৌরীশংকর নাগ 

দুঁদে কূটনীতিক মুচকুন্দ দুবের মতে, সামঞ্জস্যের প্রত্যাশা না করেও যদি এক্ষেত্রে ভারতকে তার স্বার্থ সামান্য বিসর্জন দিতেও হয় তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ স্থিরতা ভারতের সুরক্ষা তথা শক্তিকেই সুনিশ্চিত করবে। সুতরাং ভারতের উচিত অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যথাসম্ভব তালমিল রেখে কাজ করা।
বিশদ

14th  October, 2019
বদলে যাচ্ছে পুজো
শুভময় মৈত্র

পুজো এখন এক লক্ষ কোটি টাকা কিংবা তার থেকেও বেশি অঙ্কের ব্যবসা। এমনটা সব ধর্মেই হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যে বিভিন্ন সময় উৎসব করেন তারও একটা বাজার আছে। রোজার সময় সন্ধেবেলা জিভে জল আনা খাবারের গন্ধ বিনা পয়সায় শোঁকা যেতেই পারে, কিন্তু কিনে খেতে গেলে পয়সা লাগবেই। ফলে ব্যবসা সেখানে অবধারিত। 
বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
লন্ডন, ২৪ অক্টোবর (এএফপি): ব্রিটেনে উদ্ধার হওয়া ট্রাকবোঝাই মৃতদেহগুলিকে চিহ্নিত করল পুলিস। তাঁরা সবাই চীনের নাগরিক। শুধু তাই নয়, বেলজিয়াম থেকে ট্রাকে করে দেহগুলি ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি করল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ...

সংবাদদাতা, তেহট্ট: আইপিএলের ধাঁচে খেলোয়াড় নিলামের মাধ্যমে বুধবার থেকে গোপীনাথপুর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ শুরু হয়েছে। এই খেলা দেখতে আশেপাশের গ্রামের মানুষ নেতাজি বিদ্যামন্দির মাঠে রোজ ভিড় জমাচ্ছেন। এই ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।  ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে আলিপুরে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপল কার পার্কিং ব্যবস্থা। মুক্তমঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’র উল্টোদিকে পূর্ত দপ্তরই সেটি তৈরি করছে। সেখানে ৩০০টি গাড়ি ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা প্রচার, মশার লার্ভা নষ্টের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন
১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা
১৯৭১: রাষ্ট্রসংঘে স্থান পেল চীনের গণপ্রজাতন্ত্র



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯৯ টাকা ৭১.৬৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯০ টাকা ৯৩.১৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৪১ টাকা ৮০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ৩৩/৩৮ রাত্রি ৭/৮। পূর্বফাল্গুনী ১৩/১৮ দিবা ১১/০। সূ উ ৫/৪০/৫৩, অ ৫/০/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।
৭ কার্তিক ১৪২৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, দ্বাদশী ২৬/৪৮/৪ অপঃ ৪/২৫/০। পূর্বফাল্গুনী ৮/২৬/৩৯ দিবা ৯/৪/২৬, সূ উ ৫/৪১/৪৬, অ ৫/১/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩১/৪৬ গতে ৯/৫৬/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৬/৪৬ গতে ১১/২১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/১১/৪৬ গতে ৯/৪৬/৪৬ মধ্যে।
২৫ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮১: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্মদিন১৯৬২: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ বছরের ...বিশদ

07:03:20 PM

নভেম্বরে রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন 
রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ...বিশদ

04:13:24 PM

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বন্ধ যান চলাচল 

01:53:08 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা, মৃত ২ 

12:30:00 PM

গাড়ুলিয়া পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের সঞ্জয় সিং 

12:26:00 PM