কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
আনন্দময়ী মায়ের মন্দির ও মূর্তি নির্মাণ নিয়ে কথিত আছে নানা গল্প। তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে আন্দুলরাজ শৈলেন্দ্রনাথ মিত্র মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দান করার পর নদী তীরবর্তী স্থানে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শোনা যায়, কাটোয়ার গোকুল ভাস্কর পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রামবাগ গ্রামে কষ্টি পাথরের মূর্তি নির্মাণ করার সময়ে তাঁর চোখে পাথরের কুঁচো পড়ে গেলে মূর্তি নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পরে ‘তোমার চোখে কিছু হয়নি’—এক বালিকার মুখে এই আশ্বাসবাণী শোনার পর চোখ খুলে তিনি যাকে দেখেছিলেন, তিনিই উলুবেড়িয়া কালীবাড়ির মা। পরে বাংলার ১৩২৭ সালের ১৭ই বৈশাখ শুক্লা ত্রয়োদশীতে উলুবেড়িয়া কালীবাড়ির মা সকলের কাছে পরিচিত হন ‘মা আনন্দময়ী’ হিসেবে। এরপর থেকেই মায়ের অলৌকিক মহিমার কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বার্তা যত ছড়িয়েছে, ততই ভক্তদের ভিড় বেড়েছে মা আনন্দময়ীর মন্দিরে।
মন্দির কমিটির সম্পাদক দেবাশিস রক্ষিত বলেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে মায়ের কাছে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে এই বিশেষ দিনে মায়ের পুজো দেখার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চান না। কালীপুজোর রাতে মাকে সোনার অলঙ্কারে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি বিশেষ ভোগের ব্যবস্থাও করা হয়। দেবাশিসবাবু বলেন, কালীপুজোর রাতে মায়ের রূপ দেখে মনে হয়, মা যেন ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করছেন।