কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
এক বৃদ্ধ একবার মহারাজকে বলেন যে, যদি হরিনামে সব হয়, তো ইন্দ্রিয়সংগম করা কেন? মহারাজ এই কথাটা নিয়ে অনেকদিন হাসিঠাট্টা করেন। আজ সেই বৃদ্ধ এসেছেন। তাঁকে দেখামাত্র মহারাজ ডাকলেন, কাছে বসতে বললেন, তাঁর নানান খবর নিলেন।
সেবক: ঈশ্বর তো কোনো ব্যক্তি নন, তাঁর ইচ্ছাও নেই নিশ্চয়ই, তাহলে জীবের দুঃখ দেখে তাঁর কাতর হওয়া বা অবতীর্ণ হওয়া—এ কীরকম?
মহারাজ: ঈশ্বর বাস্তবিক অবতীর্ণ হন না, যেন মনে হয় অবতীর্ণ হলেন। যতক্ষণ ‘কাঁচা আমি’ যাবে না, ততক্ষণ নিজের ‘greater self’-কে অবতীর্ণ প্রভৃতি বুঝতেই হবে। এটা একটা Statement of fact। এই দেহের মধ্যে ঢুকলেই তো নিজের স্বরূপ ভুলে যাই, তখন মনে হয়—ঈশ্বর অবতীর্ণ হন। যতক্ষণ দেহবুদ্ধি থাকবে ততক্ষণ ঈশ্বরের অবতরণও সত্য।
সেবক: শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বর কেন?
মহারাজ: সব প্রাণীই তো ঈশ্বর, তবে শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বর বলে পূজিত এই জন্য যে, তিনি নিজেকে বেশি বুঝেছিলেন। যে যত বেশি নিজেকে জানতে পারবে, সে তত বেশি ঈশ্বরত্ব পাবে। শ্রীরামকৃষ্ণ সবটুকু বুঝেছিলেন।
স্বামী সুহিতানন্দ সম্পাদিত ‘সারগাছির স্মৃতি’ থেকে