Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

শ্রীকৃষ্ণের লীলা

শ্রীকৃষ্ণের লীলা একটি খেলার মতন তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। আমাদের লৌকিক খেলাতেও চারিটি পক্ষ থাকে। সপক্ষ, বিপক্ষ, সুহৃৎপক্ষ ও তটস্থ পক্ষ। মনে করুন ফুটবল খেলা হইতেছে। ইহাতে সপক্ষ ও বিপক্ষ আমরা সকলেই বুঝি। সুহৃৎপক্ষ একটু বোঝানো দরকার। সুহৃৎপক্ষ থাকে দর্শকদের মধ্যে। সুহৃৎপক্ষ দুইভাগ। কাহারও এই পক্ষের জয়ে আনন্দ। কাহারও বা অপর পক্ষের জয়ে আনন্দ। তটস্থ পক্ষ কোনও পক্ষেরই জয়-পরাজয়ে আনন্দ বা বিষাদ নাই—খেলা দেখিতেছে আনন্দ, জয়-পরাজয়ে কোনও পক্ষপাতিত্ব নাই। খেলার সময়ে অতি প্রিয়জনও বিপক্ষে যাইতে পারে। খেলার শেষে আর বিপক্ষ ভাব থাকে না। সেইরূপ শ্রীরাধা ও চন্দ্রাবলী সহোদরা ভগ্নীর মতন। খেলার সময়ে তাঁহারা দুইপক্ষ। খেলার অন্তে তাঁহাদের বিরুদ্ধভাব থাকে না। শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবন ছাড়িয়া যখন মথুরা যান তখন তাঁহাদের দুইজনের পরস্পরের প্রতি বিরোধভাব আর থাকে না।লীলা একটি খেলা বা অভিনয়ের মতন। অভিনয় অভিনয়ের মতন করিয়া দেখিলে আনন্দ হয় না। অভিনয় তন্ময় হইয়া দেখিতে হয়। যেমন শ্রীরামকৃষ্ণ অভিনয় দেখিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় অভিনয় দেখিতে দেখিতে এত তন্ময় হয়ে গিয়েছিলেন যে একবার রাগ করিয়া মঞ্চে জুতা ছুড়িয়া মারিয়াছিলেন। নীলচাষের অভিনয়ে সাহেবের প্রতি এত অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন যে, মঞ্চে সাহেবের উদ্দেশ্যে জুতা ছুড়িয়া মারিয়াছিলেন। পরে অনেক কষ্টে তাঁহাকে ইহা অভিনয় এইরূপ বুঝাইয়া তাঁহার ক্রোধ উপশম করানো হইয়াছিল। লীলার কথা বলিতে ও শুনিতে অনেক যোগ্যতার প্রয়োজন। অযোগ্য হইয়া যদি বলি বা শুনি তাহাতে কল্যাণ না হইয়া বরং বিপরীত কিছু হইবার সম্ভাবনা।
মানলীলা—শ্রীকৃষ্ণের সকল লীলা বোঝা কঠিন, তন্মধ্যে মানলীলা সর্বাপেক্ষা কঠিন। স্বপক্ষ ও বিপক্ষ—শ্রীরাধা ও চন্দ্রাবলী পরস্পর বিপক্ষ। যাহারা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষভাবাপন্ন তাহাদিগকে পরস্পরের বিপক্ষ পক্ষ বলা হয়। বিপক্ষের দু’টি কাজ—ইষ্টহানি ও অনিষ্ট সাধন। শ্রীরাধার অপেক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ কুঞ্জে বসিয়া আছেন। ইহা জানিতে পারিয়া চন্দ্রাবলীর সখী পদ্মা চন্দ্রাকে লইয়া শ্রীকৃষ্ণের নিকটে আসিয়াছেন। সুবলের নিকট শ্রীরাধা এই বিবরণ শুনিয়া কী অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন বৃন্দা তাহা শ্রীকৃষ্ণকে বলিতেছেন—হে মুকুন্দ! সুবল শ্রীরাধারানীর নিকট গিয়া বলিলেন—“পদ্মা চন্দ্রাকে শ্রীকৃষ্ণের কাছে নিয়াছেন।” সুবলের মুখে এই কথা শোনামাত্র শ্রীরাধা স্তব্ধতা প্রাপ্ত হইলেন। পরদিন প্রাতঃকাল পর্যন্ত শ্রীরাধার স্তব্ধতা বিরাজমান ছিল। ইহার নাম ইষ্টহানি। অনিষ্টকারীঃ শ্রীরাধার শাশুড়ী জটিলা চন্দ্রাবলীর সখী পদ্মাকে দেখিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“তুমি কোথা হইতে আসিয়াছ?” পদ্মা বলিলেন—“আমি গোবর্ধনের তটদেশ হইতে আসিয়াছি।” জটিলা বলিলেন—“আমার বধূকে কি দেখিয়াছ? পদ্মা বলিলেন—“হাঁ দেখিয়াছি। সূর্য মন্দিরের দুয়ারে সূর্য পূজার জন্যে বসিয়া আছে।” জটিলা বলিলেন—“অনেকক্ষণ গিয়াছে—এখনও ফিরিতেছে না কেন?” পদ্মা বলিলেন—“পথে শ্রীকৃষ্ণ যাইতে তাহাকে বাধা দিয়াছে। রাধা কেবল তোমার পথ চেয়ে আছে। দ্রুত চলিয়া যাও।” পদ্মা সখী এইভাবে শ্রীরাধার অনিষ্ট সাধন করিলেন।
কেহ বলিতে পারে—ব্রজে কৃষ্ণের সকলেই প্রিয়জন। সকলেই চাহে শ্রীকৃষ্ণের সুখ। তাঁহারা নিজের সুখ কিছুই চাহেন না। তারই মধ্য বিপক্ষতা কিরূপে সম্ভব? তাঁহাদের পরস্পরের মধ্যে ঈর্ষাদৃষ্টি কিরূপে সম্ভব? শ্রীরূপ গোস্বামী তাহার উত্তরে বলিতেছেন—শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিবিধান সকলেরই কাম্য ইহা ঠিক, তথাপি শ্রীকৃষ্ণই রসের বৈচিত্র্য সম্পাদনের জন্য গোপীসুন্দরীদের মধ্যে স্বপক্ষ-বিপক্ষ সৃষ্টি করিয়া থাকেন—শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধির জন্যেই বিপক্ষতাই সৃষ্টি করিয়া থাকেন। প্রেমের স্বাভাবিক গতি অত্যন্ত কুটিল। এই কুটিলতা শ্রীকৃষ্ণের সুখের জন্যই হয়। অসংখ্য ব্রজসুন্দরী শ্রীকৃষ্ণের সুখের জন্য, তাহাদের প্রত্যেকেই শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্যের নিমিত্ত প্রবলবাসনা। নরলীলায় শ্রীকৃষ্ণের পক্ষে একই সময়ে সকলের বাসনা পূরণ সম্ভব নয়। মধুর রসে একটি সঞ্চারী ভাব আছে—তাহার নাম ঈর্ষা। শ্রীকৃষ্ণ এই ঈর্ষারূপ সঞ্চারীভাবকে কোনও কোনও ব্রজসুন্দরীতে নিক্ষেপ করেন। ইহা দ্বারা তাহাদের পরস্পরের বিপক্ষরূপ সম্পাদন করেন। ইহাতে শ্রীকৃষ্ণের প্রতিকূলতা করা হয় না। বরং আনুকূল্যই করা হয়। ঈর্ষার ফলে বিপক্ষ সখীদের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণে অনুরাগ পরিপুষ্টতা লাভ করে। শ্রীকৃষ্ণ পরিতুষ্ট হন।
    শ্রীকৃষ্ণের সহিত সংযোগ সময়ে (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ যখন ব্রজে ছিলেন, তখন) শ্রীরাধা ও চন্দ্রাবলীর মধ্যে পরস্পর বিপক্ষ ভাব, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের ঈর্ষাদি জন্মে কিন্তু বিয়োগ দশায় (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ যখন মথুরায় চলিয়া গেলেন, তখন) তাঁহাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি ঈর্ষাদির পরিবর্তে স্নেহই পরিদৃষ্ট হয়। ইহাতেই জানা গেল—সংযোগকালের ঈর্ষাদ্বেষাদি কেবল বাহ্যবৃত্তিতেই উদিত হয়, অন্তর্বৃত্তিতে  উদিত হয় না। অন্তঃস্থিত কৃষ্ণরতিকে ভেদ করিতে পারে না। বস্তুত ঈর্ষাদ্বেষাদি সঞ্চারিভাব সমূহও কৃষ্ণরতিরই বৃত্তি বিকাশ, কৃষ্ণরতির বিজাতীয় বস্তু নহে। এই বিষয়ে দুইটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। (১) শ্রীকৃষ্ণের মথুরা অবস্থানকালে দিব্যোন্মাদগ্রস্ত শ্রীরাধা একসময়ে গোবর্দ্ধনস্থিত স্ফটিক শিলায় প্রতিফলিত নিজ প্রতিবিম্ব দেখিয়া তাহাকে চন্দ্রাবলী মনে করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে বলিতেছিলেন—চন্দ্রাবলী, তুমি বহুবার শ্যামসুন্দরের অঙ্গস্পর্শ লাভ করিয়া ধন্য হইয়াছ—তোমার দেহ মঙ্গলযুক্ত হইয়াছে। তোমার সেই মঙ্গলময় দেহ সৌভাগ্যবশতঃ আমার দৃষ্টিগোচর হইল। তুমি তোমার মঙ্গলময় শীর্ণ বাহু দ্বারা আমার কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া আমাকে প্রাণদান কর। (২) শ্রীশ্রীপ্রভু জগদ্বন্ধুসুন্দরের ভক্ত শ্রীরমেশচন্দ্র কঠোর ব্রহ্মচারী ছিলেন। তিনি মানলীলা কিছুতেই বুঝিতে পারিতেছিলেন না। শ্রীশ্রীপ্রভু চম্পটিকে আদেশ করিলেন—তুমি রমেশকে মানলীলার মাধুর্য বুঝাইয়া দাও। তোমাকে কাশীর উত্তরবাহিনী গঙ্গাকে দিয়া যেভাবে বুঝাইয়াছিলাম সেইভাবে বুঝাইয়া দাও। তোমরা দুইজনই উচ্চ ইংরাজি শিক্ষায় শিক্ষিত। ইংরাজি শিক্ষায় শিক্ষিতরা প্রায়ই তার্কিক হয়। তর্কটা বুদ্ধির ফল। অনুভূতিটা বোধির ফল। তোমার একটু বোধি জন্মিয়াছে। রমেশের এখনও জন্মায়নি।
                                                                                                                                                                                                      ‘শ্রীমহানামব্রতপ্রবন্ধাবলী’ থেকে
13th  September, 2021
অহঙ্কার

বিদ্যার অহঙ্কার, জ্ঞানের অহঙ্কার আর অর্থের অহঙ্কার—এইগুলো যাদের কথায় ও কাজে প্রকাশ পায়, তাদের কখনো আত্মজ্ঞান লাভ হয় না। তাদের যদি কেউ বলে,—“চলুন না, অমুক জায়গায় একজন সৎ-সাধু এসেছেন, তাঁকে দর্শন ক’রে আসি”, তবে তার উত্তরে তারা একটি ওজর খুঁজে বার করবে যাতে সেখানে যেতে না হয়।
বিশদ

জীবনমুক্তি

‘জীবনমুক্তি’ শব্দটির সহজ অর্থ জীবদ্দশায় মুক্ত হওয়া বা বাঁচিয়া থাকিতে থাকিতে মোহমুক্ত হওয়া। কিন্তু এই প্রসঙ্গে ইহা অতিশয়োক্তি হইবে না যে উপরোক্ত “জীবন্মুক্তি” শব্দটির অর্থ বা তাৎপর্য্য গ্রহণে অসমর্থ মানবমন সর্বাগ্রেই প্রশ্ন করিয়া বসিবে, “ইহা আদৌ সম্ভব কি না?” বিশদ

28th  September, 2021
যোগী ব্রহ্মময়

সেবক: এই একই জগৎকে যোগী ব্রহ্মময় দেখেন, বিবেকীর কাছে দুঃখময়, আবার ভোগীর চোখে জগৎ ভোগের বস্তু। এরকম তফাত কেন? মহারাজ: দেখ, আমরা যা-কিছু দেখি, তাতে জিনিসটা দেখি না—process-টা দেখি। process-টাকেই জিনিস বলে ভাবি এবং তার জন্য কারোর চোখে যা সত্য, আরেক জনের কাছে তা মিথ্যা। বিশদ

27th  September, 2021
অসার আশা ও গর্ব

মানুষ কিংবা সৃষ্ট কোনো বস্তুতে আস্থা রাখা মূঢ়তা। তুমি অন্যের সেবা করবে, লোকসমাজে দীন বলে পরিচিত হবে, তাতে কুণ্ঠিত হওয়ার কী আছে, যীশুখ্রীষ্টের প্রেমেই তুমি যদি উদ্বুদ্ধ হও? নিজের উপর আস্থা রেখো না, তোমার সকল আশার ভিত্তি হোন স্বয়ং পরমেশ্বর। বিশদ

26th  September, 2021
ব্রহ্মমন্ত্র

সমস্ত আপেক্ষিক সত্যের অতীত সেই পরম সত্যকে কেবলমাত্র জ্ঞানের দ্বারা বিচার করা সেও সামান্য কথা নহে, শুদ্ধ যদি সেই জ্ঞানের অধিকারী হইতেন তবে তাহাতেও সেই স্বল্পাশী বিরলবসন সরলপ্রকৃতি বনবাসী প্রাচীন আর্য ঋষিদের বৃদ্ধিশক্তির মহৎ উৎকর্ষ প্রকাশ পাইত। বিশদ

24th  September, 2021
আদর্শ

জগতে যাঁহারা মহৎ বলিয়া গণিত, তাঁহারাও তোমার আদর্শ নহেন। তাঁহাদের চরিত্রগত বা কর্ম্মগত আংশিক উৎকর্ষ বর্ত্তমানতায় অথবা সম্ভাব্যতায় তোমার নিজস্ব হইতে পার, কিন্তু কোনও সৃষ্ট জীবেরই অখণ্ড-চরিত্র তোমার নিজস্ব হইতে পারে না। সকল খণ্ড যে অদ্বিতীয় অখণ্ডের অংশীভূত, তাঁহাকেই একমাত্র জীবনের আরাধ্য করা চলে। বিশদ

23rd  September, 2021
মহাপ্রভুর মহাজাতি গঠন

মহাপ্রভুর অনবদ্যরূপ, অনুপম গুণ, সুচিশুদ্ধ চরিত্র ও অনির্বচনীয় মাধুর্যে সে যুগের প্রত্যেকটি মানুষ আকৃষ্ট হইয়াছিল। তাঁহার স্পর্শে ক্রূর শ্বাপদও হিংসা ভুলিয়াছিল। দুর্বৃত্ত, পাষণ্ড, দস্যু ও লম্পট বহু ব্যক্তি তাঁহার সংস্পর্শে ধর্মাত্মা হইল। বিশদ

22nd  September, 2021
আত্মা

আমি তোমাকে জ্ঞান দান করিতে পারি না, কেবল কৌতূহল জাগিবার সহায়তা করিতে পারি। তোমার আত্মা তো’ নিজেই সর্ব্বজ্ঞ, তাঁহাকে আবার কি শিখাইতে যাইব? মনে কৌতূহল জাগিলে আত্মায় সাড়া পড়ে। তখন তিনি নিজেই উত্তর দিয়া অশান্ত মনকে শান্ত করিয়া দেন। বিশদ

21st  September, 2021
ধর্মান্দোলন

আজকাল ধর্মের আন্দোলন প্রায় সর্বত্রই কিছু না কিছু দেখিতে পাওয়া যায়। বিশেষরূপে ইংরাজী শিক্ষিত লোকেরাও আজকাল নাস্তিকতা অবলম্বন না করিয়া কোন না কোনরূপে ধর্মান্দোলনে যোগ দিতেছেন। যাঁহারা ধর্মচর্চা করেন, তাঁহাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকৃতির লোক দেখিতে পাওয়া যায়। বিশদ

20th  September, 2021
কর্মশক্তি

“সতত মনে রাখিও তোমার কর্মশক্তি কাহারও হইতে কম নহে, ইহার পরিচয় এবার পাইয়াছ তোমার কর্মশক্তিই যেন তোমার আশ্রয়দাতার শুভাশীর্বাদ আনয়ন করিয়া তোমাকে মহামুক্তির পথে পরিচালনা করিতে পারে।...” সঙ্ঘগীতায় কর্মশক্তির পরিচয়ের কথা যাহা বলিলেন, তাহা এমন কিছুই নয়। বিশদ

19th  September, 2021
কুণ্ডলীশক্তি

“মস্তিষ্ক-মধ্যগত ব্রহ্মরন্ধ্রস্থ অবকাশ বা আকাশে অখণ্ড-সচ্চিদানন্দস্বরূপ পরমাত্মার বা শ্রীভগবানের জ্ঞানস্বরূপে অবস্থান। তাঁহার প্রতি কুণ্ডলীশক্তির বিশেষ অনুরাগ, অথবা শ্রীভগবান তাঁহাকে নিরন্তর আকর্ষণ করিতেছেন।” এই আকর্ষণ কিরূপে বুঝিতে বা অনুভব করিতে পারা যায়? বিশদ

18th  September, 2021
জীবন-শৃঙ্খল

সারা জগৎ মুক্তির জন্য উদ্‌গ্রীব, অথচ প্রত্যেক জীব তার শৃঙ্খলকেই ভালবাসে। এই হল আমাদের স্বভাবের প্রথম প্রহেলিকা ও দুর্ভেদ্য গ্রন্থি। জন্মের বন্ধন মানুষ ভালবাসে, তাই তো জন্মের দোসর মৃত্যুর বন্ধনে সে আবদ্ধ। এই যাবতীয় শৃঙ্খলের মধ্যে থেকেই সে তার সত্তার মুক্তি, তার আত্মপরিপূর্ণতার ঈশ্বরত্ব আকাঙ্ক্ষা করে। বিশদ

16th  September, 2021
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য

সনাতন ধর্মে বার মাসে তের পার্বণ। এই বহুবিধ ধর্মানুষ্ঠানের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবতিথি তথা জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান অন্যতম। ধর্মানুষ্ঠানের এই বৈচিত্র্য ধারা সেই এক ঈশ্বরের লীলাবিলাস।
বিশদ

15th  September, 2021
ভক্তির প্রয়োজনীয়তা

আধ্যাত্মিক সাধনমার্গে ভক্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আজ কিছু বলব। সবাই জানে, অধ্যাত্ম জগতে জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি হ’ল আত্মিক প্রগতির জন্যে তিনটি স্বীকৃত সহায়ক। বিশদ

14th  September, 2021
মন

মনই মানুষকে জ্ঞানী বা অজ্ঞানী করে, বদ্ধ বা মুক্ত করে। কেউ পবিত্র হয় তার মনের জন্য, দুষ্ট হয় মনের জন্য, পাপী হয় মনের জন্য আর কাউকে ধার্মিক করে সেই মনই। তাই যার মন সর্বদা ঈশ্বরে যুক্ত তার আর অন্য সাধনের দরকার নেই। বিশদ

12th  September, 2021
শব্দ

আদ্যাশক্তি ওঙ্কার-প্রণবই হলেন মহাবিশ্বের সাবিত্রীশক্তি বা জননী। এভাবে ‘সৃষ্টির মূলে আছে ওই আকাশের স্পন্দ। স্পন্দটি কারণে শক্তিরূপ, সূক্ষ্মে ভাবরূপ আর স্থূলে শব্দস্বরূপ, যে শব্দ অর্থের দ্যোতক।
বিশদ

10th  September, 2021
একনজরে
মালদহের চাঁচল থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল  সামাদ আলি, মর্তুজা আলি ও সাহেব আলি। ...

২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই বছরেই নেওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। মামলা ...

দীর্ঘ ১২ বছর পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড জার্সিতে ফিরেই জাল কাঁপিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথম তিনটি ম্যাচে চারটি গোল লেখা হয়েছিল তাঁর নামের পাশে। ...

করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে গত বছর উচ্ছাসে কিছুটা ভাটা পড়লেও এবারে বিষ্ণুপুর মহকুমার তিন জমিদারবাড়ির পুজোয় দর্শনার্থীদের ঢল নামবে। এমনই আশা ব্যক্ত করেছেন জমিদার পরিবারের সদস্যরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক কফি দিবস
বিশ্ব হার্ট দিবস
বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস

১৭২৫- ভারতের প্রথম ইংরেজ শাসক রবার্ট ক্লাইভের জন্ম
১৮৪১ - ভারতে প্রথম সর্বোচ্চ ফরাসি সম্মান - 'লেজিয়ঁ দনার' এ সম্মানিত বাঙালি উদ্যোগপতি দুর্গাচরণ রক্ষিতের জন্ম
১৮৯২: প্রথম রাতে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩২: অভিনেতা মেহমুদের জন্ম
১৯৩৫ - ছাপাখানায় প্রথম বাংলা লাইনোটাইপ ব্যবহৃত হয়
১৯৩৯ - ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়
১৯৪২ - স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরা শহীদ হন
১৯৭১: ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে ঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে অন্তত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৪৫ টাকা ১০২.৯৪ টাকা
ইউরো ৮৪.৭৮ টাকা ৮৭.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪, ৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আশ্বিন ১৪২৮, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১। অষ্টমী ৩৭/২৭ রাত্রি ৮/৩০। আর্দ্রা নক্ষত্র ৪৪/৪৬ রাত্রি ১১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩০/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২৩/১৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৭/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি  ৬/১১ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে। 
১২ আশ্বিন ১৪২৮, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১। অষ্টমী  অপরাহ্ন ৪/৩৭। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি  ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে। 
২১ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে ভবানিপুরে
রাত পোহালেই ভবানিপুরে উপনির্বাচন। তার আগে কেন্দ্র বাহিনী বাড়ানো হচ্ছে ...বিশদ

05:54:46 PM

তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূলে যোগ দিলেন লুইজিনহো। আজ, বুধবার গোয়ার এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ...বিশদ

04:49:35 PM

ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে চালু হোক বিমান পরিষেবা, আর্জি তালিবানের
ফের চালু করা হোক ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিমান পরিষেবা। ...বিশদ

03:02:47 PM

রঘুনাথপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় মৃত্যু গবাদি পশুর
গতকাল রাত থেকেই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার জের। যার ...বিশদ

02:33:00 PM

মালদহে ব্রাউন সুগার ও এক লক্ষ টাকার জাল নোট সহ গ্রেপ্তার ৩
৩৫১ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও এক লক্ষ টাকার জাল নোট ...বিশদ

02:17:37 PM

দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গাপুজোর মণ্ডপ
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে নিম্নচাপের জেরে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ...বিশদ

02:07:46 PM