কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
আজকাল গীতা, পুরাণ, উপনিষদ্, বেদান্ত, যোগ-শাস্ত্রাদির অনুবাদ প্রকাশিত হইয়াছে। এই সকল অনুবাদকের সাহায্যে, কেহ কেহ বা কোন পণ্ডিতের সাহায্য লইয়া শাস্ত্রাদির মর্ম যথাসাধ্য উদঘাটন করিবার চেষ্টা করেন। ঐ-সকল শাস্ত্র হইতে নিজ মনোমত একটি উপাসনা প্রণালী লইয়া উপাসনাও করিয়া থাকেন। ইঁহারা গুরুকরণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন না অথবা করিলেও উহা যে অনিবার্যরূপে প্রয়োজনীয়, তাহা স্বীকার করেন না। কেহ বা ও-সম্বন্ধে বিশেষ চিন্তাই করেন না। ইঁহাদের মধ্যে আবার কতকগুলি আছেন, তাঁহারা বলেন, সিদ্ধ গুরু না পাইলে গুরু করা না করা সমান। অতএব যখন সিদ্ধগুরু পাইব, তখন গুরু করিব। ইহাদের মধ্যে কেহ কেহ সাধুসঙ্গ করিয়া থাকেন, কেহ বা বিশেষ কিছুই করেন না।
ভগবান্ অন্তর্যামী, তাঁহার নিকট প্রার্থনা করিলে তিনি শুনিবেন; যাহা প্রয়োজন, সব তিনিই দিবেন; বাহ্যিক গুরুর আবশ্যক কি? ইহা কতকগুলি লোকের মত। আবার ইহার বিরুদ্ধ-মতাবলম্বীরা বলেন, ‘গুরু নইলে কিছুই হবে না। আর যে সে গুরুতেও কিছু হবে না, সিদ্ধগুরু আবশ্যক।’ যাঁহারা কুলগুরু করিয়া প্রচলিত প্রথায় সাধন-ভজন করিতেছেন, তাঁহাদের জিজ্ঞাসা করিলে সচরাচর এই উত্তর পাওয়া যায়, ‘গুরু যেমন বলেছেন, সেই রকম ক’রে যাচ্ছি মাত্র, কিন্তু উন্নতি হইতেছে কি না হইতেছে, তাহা তো বুঝিতে পারিতেছি না।’ ‘মনের অশান্তি গিয়েছে কি?’ ‘কই, তাও যায় নাই।’ আর দেখিতেও পাই, বাস্তবিকই, তাঁহাদের দিন দিন ঈশ্বরানুরাগ তো বৃদ্ধি পাইতেছে না, সংসারের কামিনীকাঞ্চনে যেরূপ অনুরাগ, ভগবানের জন্য তাহার এক কণাও তো তাঁহাদের দেখিতে পাই না। এই-সকল নানারূপ মত-মতান্তর দেখিয়া প্রশ্ন আসিতেছে, মুক্তিলাভ বা ধর্মজীবন লাভের জন্য গুরুর কি কোনরূপ প্রয়োজন আছে? যদি বলেন—আছে, তবে এই প্রয়োজন কি অনিবার্য অর্থাৎ গুরুকরণ ব্যতীত কোনরূপে মুক্তিলাভ কি অসম্ভব? আর গুরুর কিরূপ লক্ষণ-সম্পন্ন হওয়াই বা আবশ্যক?