নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা: করোনা পরবর্তীকালে সাময়িকভাবে ঝিমিয়ে পড়েছিল দেশের গাড়ি বাজার। সাম্প্রতিককালে তা ফের একটু করে চাঙ্গা  হতে শুরু করেছে। দেশের অন্যতম ক্রেডিট রেটিং সংস্থা কেয়ার-এজ দাবি করেছে, চলতি অর্থবর্ষের শেষে যাত্রীবাহী গাড়ির সামগ্রিক বাজার বৃদ্ধি পাবে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ হারে। আগামী অর্থবর্ষেও বাজার চাঙ্গা থাকবে, দাবি করেছে তারা। 
যাত্রীবাহী গাড়ির বাজার বৃদ্ধির আশা জাগছে কেন? কেয়ার-এজের দাবি, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাস অর্থাৎ গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ ছিল। তার অন্যতম কারণ, শোরুমগুলির তরফে বরাত এসেছে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির তরফে। গাড়ির জোগানেও কোনও অসুবিধা নেই। পাশাপাশি মধ্যবিত্তের জন্য তৈরি যাত্রীবাহী গাড়ির নতুন মডেলের ওপর ঝোঁক বাড়ছে। সঙ্গে প্রিমিয়াম বা বেশি দামের গাড়ির বাজারও চাঙ্গা। সেই প্রবণতা আাগামী এক বছরের উপর জারি থাকবে বলে মনে করছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, এই ধরনের সংস্থাগুলি কোনও সংস্থার আর্থিক হাল কেমন, তা নির্ধারণ করে।
দেশে যত গাড়ি বিক্রি হয়, তার ১৮ শতাংশ দখলে রাখে যাত্রীবাহী গাড়ি। গত অর্থবর্ষে তর বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছিল ২৭ শতাংশ হারে। করোনার আগে, অর্থাৎ ২০১৮-১৮ অর্থবর্ষের পর এতটা  বিক্রি বৃদ্ধি হয়নি, দাবি করেছে কেয়ার-এজ৷ তবে
গাড়ি তৈরি সংক্রান্ত নতুন বিধি আরোপ হওয়ার কারণে গাড়ির উৎপাদন খরচ বর্তমানে বেড়েছে। তার জন্য গাড়ির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে একাধিক সংস্থা। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার চড়া থাকার কারণগুলি কিছুটা হলেও ধাক্কা দেবে গাড়ি শিল্পকে। তা না হলে বাজার আরও একটু চাঙ্গা হতে পারত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তা ছুঁতে পারত করোনা পূর্ববর্তী সময়কে।