বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রথমে আসা যাক ব্যাঙ্কের কথায়। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির বিভিন্ন শাখায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। সেই কারণে শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার আবেদন জমা পড়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি তা মঞ্জুর করেছে। এর উপর রয়েছে চলতি মাসের সাতদিন সম্পূর্ণ লকডাউন। ফলে হিসেবমতো মোট ১৬ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ। তার মধ্যে দু’দিন ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে। আরও দেখা যাচ্ছে, আগামী ২০ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পরপর চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। তেমনই ২৭ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন পরিষেবা পাওয়া যাবে না। লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জেরে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ থাকায় মার্চ মাসের শেষ থেকেই ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ ব্যাঙ্কে সেই অবস্থা এখনও অব্যাহত। তার উপর চলতি মাসে অর্ধেক দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় গ্রাহকের দুর্ভোগ যে আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার জোগানে বড়সড় সমস্যা শুরু হতে চলেছে। গ্যাস সংস্থার কর্তারাই বলছেন, এমনিতে এখন সিলিন্ডার বুকিংয়ের পর ডেলিভারি হতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। বর্ষাকালে প্রতি বছর গ্যাসের চাহিদা বাড়ে। এবারও তাই। ফলে গৃহস্থের রান্নাঘরে গ্যাসের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে। তার মধ্যে সাতদিন লকডাউন ও অন্যান্য ছুটি। সব মিলিয়ে এমাসে মোট ১৮ দিন কাজ হওয়ার কথা গ্যাস অফিসে। তেল সংস্থার কর্তাদের মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আঞ্চলিকভাবে যে লকডাউন চলছে, সেখানে এলপিজিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউনের সময়ও সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের নয়া লকডাউন-নির্ঘণ্টে এলপিজিকে ছাড় দেওয়া হয়নি। গ্যাস সংস্থার আশঙ্কা, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে বুকিংয়ের ১২ থেকে ১৫ দিন পর সিলিন্ডার মিলতে পারে। কোথাও কোথাও সমস্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান অয়েলের এলপিজি বিভাগের চিফ জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ দে জানিয়েছেন, ‘সিলিন্ডার জোগানে বড় রকমের সঙ্কট তৈরি হতে চলেছে। সেই জট কাটাতে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখছি।’ বাদবাকি তেল সংস্থাগুলি তো বটেই, ডিস্ট্রিবিউটররাও চাইছে লকডাউনে স্বাভাবিক থাকুক এলপিজি সরবরাহ। কিন্তু রাজ্য সরকার অনুমোদন না দিলে তা সম্ভব নয়। ফলে গ্যাসের জোগান ও ব্যবসায় স্থিতিশীলতা আনতে এখন সরকারের মুখাপেক্ষী সবপক্ষ।