বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোনার দাম বিগত কয়েক মাস ধরেই উর্ধ্বমুখী। এর মূল কারণ ছিল আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের আবহ। আচমকা করোনা থাবা বসানোর পরই বিশ্বের শেয়ার বাজার মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে। বিনিয়োগকারীরা তাই শেয়ার বাজার ছেড়ে ঝোঁকেন সোনার উপর। কারণ অর্থনীতি টালমাটাল হলে সোনাকে তুলনামূলক নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। ৬ মার্চ ২৪ ক্যারেট পাকা সোনার ১০ গ্রামের দাম কলকাতাতেই পৌঁছে যায় ৪৫ হাজার ৮০ টাকায়। সেদিনই কেজি প্রতি রুপোর খুচরো বাজারদর ছিল কেজি প্রতি ৪৭ হাজার ৩৫০ টাকা। এদিকে গত শনিবার শহরের বুলিয়ান বাজার বন্ধের সময় ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৪১ হাজার ৬৪৫ টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের তরফে কেন কমল বাজারদর?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে নগদ জোগানের অভাব রয়েছে বিনিয়োগকারীদের কাছেও। সে কারণে নগদের জোগান ঠিক রাখতে সোনা বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের। তাই আচমকা দাম কমছে সোনার।
সোনার দামের আচমকা চরিত্র বদলে আশার আলো দেখছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন বলেন, এত তাড়াতাড়ি এতটা দাম কমা কিন্তু খুচরো ক্রেতাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সদর্থক বার্তা। কারণ, যেভাবে বাজারে নগদের জোগান বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে, তাতে ফের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে দাম কমার এই সুযোগকে ক্রেতার কাজে লাগানো। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে’র কথায়, শুধু আমরা নই, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের বাজার বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এটাই সোনা কেনার আদর্শ সময়। আগামী কিছু দিন এই দাম যদি কমের দিকে থাকে, তাহলে সব দিক থেকেই মঙ্গল। কারণ দাম যেভাবে চড়ে গিয়েছিল, তাতে যেমন ক্রেতা কমেছিল, তেমনই অনেক দোকানদারই সোনা কিনে কিছুটা ক্ষতির মুখ দেখেছিলেন। -ফাইল চিত্র