বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এনিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বন্দনা যাদব বলেন, সরকার চাইছে বিভিন্ন জায়গায় শিল্প পরিকাঠামো গড়তে। আমরা জেলায় জেলায় পার্ক, গ্রোথ সেন্টারগুলি করছি। আমরা চাই এগুলি সুষ্ঠুভাবে চলুক। এগুলির আরও উন্নতির কাজ চলছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি মোহন গান্ধী বলেন, ডাবগ্রাম ফেজ ওয়ান পুরোপুরি সফল প্রজেক্ট। এটা খুব ভালো চলছে। আমবাড়ি-ফালাকাটাতে অনেক বিনিয়োগকারী বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ডাবগ্রাম টু’র প্লটও আমরা ছাড়তে শুরু করেছি।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ডাবগ্রাম ও রানিনগরে দু’টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারে একটিও জমি ফাঁকা নেই। ডাবগ্রাম সেন্টারটিতে ১০৬ একর জমিতে ৪৮টি ইউনিট চলছে। সেখানে বিভিন্ন শিল্পে প্রায় ৬৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। এরমধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, পশুখাদ্য, প্লাস্টিক পিভিসি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চা প্যাকেজিং, পেপার মিল, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরি এসব বিভিন্ন কারখানা চলছে। রানিনগর সেন্টারটি ১৫২ একর জমি নিয়ে হয়েছে। সেখানে ২৭টি ইউনিট উৎপাদন করছে। এখানে প্রায় ৫৯৬ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। এরমধ্যে একটি পানীয় সংস্থার বটলিং প্লান্ট, অন্য একটি সংস্থারও বটলিং প্লান্ট, অক্সিজেন বটলিং, পশুখাদ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, নামী কোম্পানির বেকারি প্রডাক্ট তৈরির কারখানা হয়েছে।
এছাড়াও ২০ একর জমির উপর ডাবগ্রাম ফেজ ওয়ান শিল্পতালুক তৈরি হয়েছে। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, ফুড প্রসেসিং প্লাস্টিকের ফার্নিচার প্রভৃতির কারখানা তৈরি হয়েছে। ডাবগ্রাম ফেজ টু ও আমবাড়ি- ফালাকাটায় আরও দু’টি শিল্পতালুকে জমি প্লটিং করে তা বিলি করার কাজ চলছে। ফাটাপুকুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা ইন্টিগ্রেটেড পার্ক তৈরি হয়েছে পিপিপি মডেলে। সেখানে কয়েকটি কারখানা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। সেখানে শিল্প-কারখানার পাশাপাশি রেসিডেন্সিয়াল প্লটও রাখা হয়েছে। প্রায় ১০০ একর জমির উপর এটি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য দিক হল সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও ফুলবাড়ি ও জটিয়াখালিতে তিনটি শিল্পতালুক গড়ে উঠছে। এদের পরিকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে।
সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ জোনের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জিত সাহা বলেন, পিপিপি মডেলের প্রচেষ্টাটি খুবই ভালো হয়েছে। কারণ এতে সরকারের সহযোগিতা আর সফল উদ্যোগপতিদের দক্ষতা ও তাঁদের পেশাদারিত্ব মিলে শিল্পপ্রসারে একটা মাত্রা যোগ করছে। এতে অন্য উদ্যোগীরা এগিয়ে আসার সাহস পাচ্ছেন। এছাড়া সরকারের অনুমোদন নিয়ে বেসরকারি যে শিল্পতালুকগুলি হচ্ছে সেটাও ভালো দিক। এতে সরকার সাবসিডি দিচ্ছে, ডেভেলপমেন্ট করে দিচ্ছে। সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ জোনের এমএসএমই প্যানেলের চেয়ারম্যান মোহন দেবনাথ বলেন, ৩০ বছর ধরে এই এলাকায় বিনিয়োগের সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি। ওসব এলাকায় অসাধারণ উন্নতি হয়েছে। ওইসব এলাকায় শিল্পতালুক ছাড়াও অনেক উদ্যোগপতি নিজেরা জমি কিনে কারখানা গড়েছেন। আটামিল, সিকিমের ওষুধ কোম্পানিগুলির অনুসারী শিল্প, লেনোব্যাগ, টিসু পেপার, জলের রিজারভার, প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির মতো প্রচুর মাঝারি ও ছোট কারখানা গড়ে উঠছে। আমি আশাবাদী আরও উন্নতি হবে। শিল্পপ্রসারে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই এটা সম্ভব হচ্ছে।