ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এ প্রশ্ন কেবল ওই যাত্রীর একার নয়। দক্ষিণ শহরতলির এক বাসিন্দা মাঝে মধ্যেই অ্যাপ নির্ভর লাক্সারি ট্যাক্সিতে চড়েন। তাঁর কথায়, কাজের সূত্রেই আমায় পূর্ব যাদবপুর থেকে বাইপাসের উপরে চিংড়িহাটা যেতে হয়। অ্যাপ নির্ভর লাক্সারি ট্যাক্সিতে সাধারণত ভাড়া পড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কিন্তু গত ৮ জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটে একই গন্তব্যের জন্য ভাড়া গুনতে হয়েছে ৪৮০ টাকা! এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কেবল ভাড়া নিয়েই নয়, হাই-প্রোফাইল এই ট্যাক্সিও হলুদ, নীল-সাদা ট্যাক্সির চালকদের মতো ঘুরিয়ে বুকিং বাতিল করছে বা যাত্রীদেরই বুকিং বাতিল করতে বাধ্য করছে। তাতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তার সঙ্গে সমান তালে চলছে চালকদের খারাপ ব্যবহারও। এই দুই বিষয় নিয়ে হামেশাই কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের ফেসবুক পেজে অভিযোগ জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। সেখানে শুভ্রনীল বসুরায় নামের এক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, গন্তব্য পছন্দ না হওয়ায় ট্যাক্সিতে ওঠার পরও চালক বুকিং বাতিল করেছেন। হাল ফ্যাশনের এই যানও হলুদ ট্যাক্সির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বলে অভিযোগ তাঁর। আবার ট্রাফিক পুলিসের ফেসবুক পেজেই প্রসেনজিৎ দে নামের এক যাত্রী গত ৩১ ডিসেম্বরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি হেনস্তার মুখে পড়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ক্যাবে ওঠার দু’মিনিট আগে থেকেই ‘ট্রিপ’ চালু করে দিয়েছিলেন চালক। কারণ জিজ্ঞাসা করলে চালক জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর ইচ্ছা। তাঁর কথা শুনে ক্যাব সংস্থার অ্যাপটিতে চালকের প্রোফাইল পরীক্ষা করার সময় দেখা যায়, অ্যাপে দেখানো চালকের ছবি আর যিনি তখন চালাচ্ছেন, এই দু’জন এক নন। বিপদ বুঝে ট্রিপ বাতিলে উদ্যত হতেই চালক ভাড়া চেয়েছিলেন। তা দিতে রাজি না হওয়ায় চালক গালমন্দ শুরু করে। এব্যাপারে কী বলছেন সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা? লাক্সারি ট্যাক্সির একটি সংস্থার এক প্রতিনিধি বলেন, ভাড়া সংক্রান্ত ব্যাপারে সরকারের ‘গাইডলাইন’ মেনেই পরিষেবা দেওয়া হয়। আর এক সংস্থার বক্তব্য, যাত্রীদের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেও দেখা হয়। অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থাও নেওয়া হয় চালকদের বিরুদ্ধে। লাক্স্যারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন (পশ্চিমবঙ্গ)-এর বহু সদস্যই অ্যাপ নির্ভর লাক্সারি ট্যাক্সি সংস্থাগুলিতে পরিষেবা দেন। যাত্রীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সংগঠনের সম্পাদক সৈকত পাল বলেন, আমরা বুকিং বাতিলের বিরুদ্ধে। চালকরাও তা চান না। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে, গাড়ি যে জায়গায় রয়েছে, তার থেকে অনেকটা বেশি দূরে যাত্রী থাকছেন। এতে যাত্রীর কাছে পৌঁছতে বেশি সময় লাগছে। সেসব ক্ষেত্রে যাত্রীরাই অনেক ক্ষেত্রে বুকিং বাতিল করে দেন। তাই ইদানীং এমন ক্ষেত্রে কোনও কোনও চালক আগেই বুকিং বাতিল করছেন। দ্বিতীয়ত, রাতের দিকে অনেক সময় এমন জায়গার বুকিং দেওয়া হয় যে, তাতে চালকদের ফিরতে সমস্যা হয়। সেই ক্ষেত্রেও কেউ কেউ বুকিং বাতিল করেন। তবে যাত্রীরাও অনেক সময় অকারণে অশান্তি করেন চালকদের সঙ্গে।