বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাতিবাগানে পুজোর কেনাকাটা করতে এসেছিলেন খড়দহের বাসিন্দা সঞ্জয় বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী, মেয়ে। সঞ্জয়বাবু বলেন, এর আগেই একদিন আসার কথা ছিল, কিন্তু এই আবহাওয়ার জন্য আসতে পারিনি। আজ দুপুর থেকে আবহাওয়ার একটু উন্নতি হওয়ায় বেরিয়ে পড়েছি। দুপুরে এসে হাতিবাগান, কুমোরটুলির কয়েকটি মণ্ডপ-প্রতিমাও দেখে ফেলেছেন সঞ্জয়বাবুরা। তবে টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর শহরতলির বহু মানুষ হাতিগবাগানে বাজার করা এড়িয়েছেন বলে মনে করছেন হাতিবাগানে একটি নামকরা বস্ত্রবিপণির কর্তা বিশ্বজিৎ বসাক। তিনি বলেন, গত ক’দিন বৃষ্টির জন্য বাজার সেভাবে জমেনি। আজ যে ভিড় দেখছেন, তাতে গত ক’দিনের ভিড়ও এসে মিশেছে বলে মনে হয়েছে। তবে টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় দমদম থেকে বারাকপুর পর্যন্ত এলাকার বহু ক্রেতাই হাতিবাগান এড়িয়ে অন্যত্র গিয়েছেন বা আসেননি।
নিউ মার্কেটের কেনাকাটার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জওহরলাল নেহরু রোড দিয়ে নিউ মার্কেটের দিকে ঢোকার মুখেই দাঁড়াতে হয়েছে পাঁচ-সাত মিনিট। রীতিমতো ভিড় ঠেলে একটু একটু করে এগতে হয়েছে। শুধু নিউ মার্কেট নয়, পুরো ধর্মতলা চত্বরেই এদিন পা ফেলার জায়গা রীতিমতো খুঁজতে হয়েছে। নিউ মার্কেটে শুধু যে মানুষ জামাকাপড় কিনতে ভিড় জমান, তা নয়। নানা প্রসাধনী থেকে শুরু করে মোবাইলের সেলফি স্টিক পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে হুড়হুড়িয়ে। পুজোর কেনাকাটার পর খাওয়াদাওয়া তো কিছু করা দরকার। রাস্তার ধারের ফাস্ট ফুডের স্টল থেকে গোছানো রেস্তরাঁ—সব জায়গাতে ছিল ভিড়। বৃষ্টি যতই ভয় দেখাক, উৎসবপ্রিয় বাঙালির উৎসাহকে যে এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না, তা এদিনের কেনাকাটার জমজমাট বাজার থেকেই স্পষ্ট হয়েছে।