আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ঝটকা খায় পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় প্রীতি জিন্টার দল। যশপ্রীত বুমরাহ ও জেরাল্ড কোয়েৎজির আগুনে পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি প্রভশিমরণ সিং (০), রাইলে রোসো (১), স্যাম কারান (৬), লিয়াম লিভিংস্টোনরা (১)। শ্রেয়স গোপালের বলে কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে যান হরপ্রীত সিংও (১৩)। তবে এরপরই পাল্টা আক্রমণে মুম্বইকে চাপে ফেলেন শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৪১ রান করে আউট হন শশাঙ্ক। এরপর একার কাঁধে দলকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন আশুতোষ। কিন্তু ২৮ বলে বিধ্বংসী ৬১ করেও সঙ্গীর অভাবে পাঞ্জাবকে জেতাতে পারেননি তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে বুমরাহ ও কোয়েৎজি তিনটি করে উইকেট নেন।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন পাঞ্জাব কিংসের ক্যাপ্টেন স্যাম কারান। কিন্তু তাঁর পরিকল্পনা কাজে আসেনি। ঈশান কিষান ছাড়া মুম্বইয়ের প্রায় প্রত্যেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানই বড় রান পেয়েছেন। রোহিত শর্মা শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। ঈশান ৮ রানে আউট হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে হিটম্যান যোগ করেন অনবদ্য ৮১ রান। সেটাই মুম্বইকে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে দেয়। ৩৬ রানে স্যাম কারানের বলে আউট হন রোহিত। তিনি ডাগ-আউটে ফিরলেও মুম্বইয়ের রানের গতি মন্থর হয়নি। কারণ সূর্যকুমার যখন অভিনব শটে চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন তিলক ভার্মা। তাঁদের যুগলবন্দি ত্রাসের সঞ্চার ঘটায় পাঞ্জাব শিবিরে। শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমার স্যাম কারানের বলে ৭৮ রানে ধরা পড়েন প্রভশিমরণের হাতে। ৫৩ বলের ইনিংসে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। চোটের কারণে প্রথম দিকে খেলতে পারেননি মুম্বইয়ের এই তারকা ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। তবে পরের ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সূর্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফর্মে ফেরার। এদিনের ইনিংস তাঁর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াল।
তবে সূর্য আউট হওয়ার পর মুম্বইয়ের রানের গতি স্লথ হয়। তার বড় কারণ অবশ্যই হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হন, যা চাপে ফেলে তিলককে। ১০ রানে আউট হন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক। টিম ডেভিড (১৪) পর পর কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন। পাঞ্জাবের হয়ে হার্শাল প্যাটেল তিনটি উইকেট দখল করেন।