সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল ছয় উইকেটের বিনিময়ে থামে ১৮৬ রানে। কাজে আসেনি রোহিত শর্মার দুরন্ত শতরান। ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে এটা হিটম্যানের দ্বিতীয় শতরান। রোহিতের ইনিংস সাজানো ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কায়। আসলে ম্যাচের সেরা মাথিশা পাথিরানার (৪-২৮) দুর্দান্ত বোলিংয়েই চুরমার হল হোমটিমের জেতার স্বপ্ন।
রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য ঝড়ের গতিতে করেছিল মুম্বই। সাত ওভারে বিনা উইকেটে ওঠে ৭০। কিন্তু পাথিরানা আক্রমণে এসেই ফেরান ঈশান কিষান (২৩) ও সূর্যকুমার যাদবকে (০)। তৃতীয় উইকেটে তিলক ভার্মার সঙ্গে রোহিত ৩৮ বলে যোগ করেন ৬০ রান। পাথিরানার তৃতীয় শিকার তিলক (৩১)। দ্রুত ফেরেন হার্দিক (২) ও টিম ডেভিড (১৩)। রোহিত একাই লড়াই চালিয়ে যান অন্যপ্রান্তে। তবে তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
তার আগে অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (৪০ বলে ৬৯) ও শিবম দুবের দাপটে (৩৮ বলে অপরাজিত ৬৬) চেন্নাই চার উইকেট হারিয়ে তোলে ২০৬। অজিঙ্কা রাহানে (৫) ও রাচীন রবীন্দ্র (২১) দ্রুত ফেরার পর ঋতুরাজ টানেন দলকে। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও পাঁচটি চার। শিবম-ঋতুরাজ মিলে তৃতীয় উইকেটে ৪৫ বলে যোগ করেন ৯০ রান। দুরন্ত ছন্দে থাকা শিবম ১৭৩.৬৮ স্ট্রাইক রেটে মারেন ১০টি চার ও দু’টি ছয়। আরব সাগরের পাড়ে অবশ্য মাঠ মাতান মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ বলে অপরাজিত ২০)। শেষ ওভারে নেমে হার্দিককে টানা তিন বলে ছয় মারেন তিনি। টি-২০ ক্রিকেটে ধোনির ২৫০তম ম্যাচে গ্যালারিতে ওঠে গর্জন, মাহি মার রাহা হ্যায়।
যশপ্রীত বুমরাহ (০-২৭) দুর্দান্ত বোলিং করলেও শেষ পাঁচ ওভারে চেন্নাই তোলে ৫৭। এর মধ্যে হার্দিকের (২-৪৩) শেষ ওভারেই ওঠে ২৬। ধোনির হাতে বেদম প্রহৃত হয়ে তীব্র সমালোচিত হন হার্দিক। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘অনেকদিন পর এত জঘন্য ডেথ বোলিং দেখলাম।’