সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে মুম্বইকে হারায় মোহন বাগান। কিন্তু আইএসএলে সবুজ-মেরুন জার্সিধারীদের বিরুদ্ধে বোধহয় বাড়তি অ্যাড্রিনালিন খরচ হয় ছাংতে, বিপিনদের। এই আসরে পালতোলা নৌকোর বিরুদ্ধে এখনও অপরাজিত মুম্বই। ঘরের মাঠে মিথ বদলাতে মরিয়া জনি, বিশালরা। প্রথম পর্বে লিড নিয়ে ম্যাচ হারে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রতিশোধের সুবর্ণ সুযোগ কামিংসদের সামনে। হাবাস দায়িত্ব নেওয়ার পর মোহন বাগান খাপ খোলা তরবারি। আল্ট্রা ডিফেন্সিভ নয়, আক্রমণাত্মক ফুটবলে ঝাঁঝরা প্রতিপক্ষ।
অসুস্থতার কারণে বেশ কাহিল হাবাস। রবিবার অনুশীলনে এলেও বেশিরভাগ সময় চেয়ার পেতে বসে রইলেন ডাগ-আউটে। যদিও মেগা ম্যাচে সাইড বেঞ্চে থাকতে উন্মুখ সেনাপতি। অহেতুক চাপ না বাড়িয়ে স্বাভাবিক ফুটবল খেলার বার্তা দেওয়া হয়েছে লিস্টনদের। মুম্বইয়ের আক্রমণ বৈচিত্র্যে ভরা। দুই উইং হাফ ছাংতে ও বিপিন সিং ক্রমাগত আক্রমণ তুলে আনেন। গতির বিস্ফোরণ ঘটাতে দক্ষ তারা। আইএসএলে ছ’টি অ্যাসিস্ট করেছেন ছাংতে। গরম ও আদ্রর্তার মধ্যে ৯০ মিনিট তাদের সামাল দেওয়া সহজ নয়। বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে মনবীরদের। আক্রমণের পাশাপাশি ক্রমাগত ট্র্যাক ব্যাক না করলে সমস্যা বাড়বে। পাশাপাশি মাঝমাঠে ঠাসবুনোট বজায় রাখা দরকার। দীপক টাংরি ও অনিরুদ্ধ থাপার উপর বড় দায়িত্ব বর্তাবে। কার্যত নক-আউট ম্যাচ। সময় গড়ানোর সঙ্গেই মোহন বাগানের উপর চাপ বাড়বে। তাড়াহুড়ো করলে বিপদ অনিবার্য। প্রথম পর্বে এই ম্যাচে দু’দলের সাত ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা। তাই সতীর্থদের জন্য জনি কাউকোর পরামর্শ, ‘ধৈর্য বজাই রাখাই আসল। মাথা ঠান্ডা না রাখলে মুশকিল।’ বাড়তি আবেগ নয়, পরিকল্পনামাফিক নিয়ন্ত্রিত ফুটবলই যুদ্ধজয়ের চাবিকাঠি।
সম্ভাব্য একাদশ: বিশাল, আনোয়ার, ইউস্তে, শুভাশিস, টাংরি, মনবীর, অনিরুদ্ধ থাপা, আশিস, জনি, দিমিত্রি ও কামিংস।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে। সরাসরি স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে।