সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মাস ছয়েক আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনালে চুরমার হয়েছিল খেতাব স্পর্শের আশা। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই খেলতে চান পরের বিশ্বকাপে রোহিত। ইউ টিউবে এক চ্যাট শোয়ে তিনি বলেছেন, ‘অবসর নিয়ে এখনও ভাবিনি। জীবন কোথায় নিয়ে যাবে জানি না। এই মুহূর্তে ভালো ছন্দে রয়েছি। এই মেজাজেই আগামী কয়েক বছর খেলতে চাই। বিশ্বকাপের স্বাদ চাখা অন্যতম লক্ষ্য। আমার কাছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপই আসল।’
২০২৫ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল বসছে লর্ডসে। এই ম্যাচে খেলার তাগিদও ধরা পড়েছে রোহিতের গলায়। ভারত অবশ্য আগের দু’বারই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু কোনও বারই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে মোতেরার মর্মান্তিক পরাজয়ই রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে রোহিতের। হিটম্যানের কথায়, ‘ফাইনালের আগে পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। সেমি-ফাইনালে জেতার পর ভাবলাম যে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছি। হারার কথা কখনও মনে হয়নি। আসলে প্রতিযোগিতায় একটা খারাপ দিন আসতই। আর তা ফাইনালেই এসেছিল।’
কয়েক মাস আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। সেই জয় তৃপ্তি দিয়েছে অধিনায়ককে। রোহিত বলেছেন, ‘স্কোরলাইন যেমনই দেখাক, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। ইংল্যান্ড আমাদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। ওদের প্রত্যেক ব্যাটার আমাদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে। মানসিকতা পাল্টে তাই নামতে হয়।’
টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ফেভারিট মুহূর্ত হিসেবে প্রথম শতরানকে চিহ্নিত করেছেন রোহিত। কলকাতায় সেটা ছিল শচীন তেন্ডুলকরের ১৯৯তম টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ছয় নম্বরে নেমে ৩০১ বলে ১৭৭ করেছিলেন রোহিত। তাঁর মতে, ‘হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন মাঠে। শচীনের জন্য বাড়তি উন্মাদনা ছিল সেই টেস্টে। আমার শতরানের মুহূর্তে গ্যালারি ফেটে পড়ে আনন্দে। সেই মুহূর্তটাই সেরা।’
এখনও পর্যন্ত প্রতিটিা আইপিএলে খেলেছেন রোহিত। দেখেছেন কোটিপতি লিগের শ্রীবৃদ্ধি। সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘গত এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে প্রতিটা ম্যাচই প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কোনও দলই দুর্বল নয়। এটা অনেকটা ইপিএলের প্রথম ডিভিশনের মতো, যেখানে যে কোনও দল অন্যকে হারাতে পারে।’