বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জীবনে প্রথমবার ওলিম্পিকসে খেলতে নেমে শুরুতে খানিকটা নার্ভাস ছিলেন নৈহাটির সুতীর্থা। লিন্ডার সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না তিনি। সাত গেমের লড়াইয়ে একটা সময় ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিলেন সুতীর্থা। আর একটি গেম হারলেই, তাঁর ওলিম্পিকস স্বপ্ন ধুলিসাত্ হয়ে যেত। সাইডলাইন থেকে কোচ সৌম্যদীপ রায় তখন তাঁকে সমানে উজ্জীবিত করে যাচ্ছিলেন। কার্যত খাদের কিনারা থেকে দুরন্ত কামব্যাক করলেন বাংলার তরুণী। শেষ তিনটি সেট দাপটের সঙ্গে জিতে দ্বিতীয় পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেন সুতীর্থা। তাঁর পক্ষে ম্যাচের ফল ৫-১১, ১১-৯, ১১-১৩, ৯-১১, ১১-৩, ১১-৯ ও ১১-৫। পরের রাউন্ডে ফু ইউ’র বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন তিনি। প্রথম রাউন্ডে এমন রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিতভাবে বাকি টুর্নামেন্টে তাঁকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
অন্যদিকে, ব্রিটেনের টিন টন হো’র বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেন মণিকা বাত্রা। ম্যাচের ফল ১১-৭, ১১-৬, ১২-১০, ১১-৯। তবে মনিকাকে নিয়ে এদিন এক বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত কোচ সন্ময় পরাঞ্জপেকে গেমস ভিলেজে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার জেরেই ক্ষুব্ধ তিনি। জাতীয় কোচের প্রতি মণিকার এমন ব্যবহার অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। এদিকে, টেবিল টেনিসের মিক্সড ইভেন্টে হতাশ করলেন শরৎ কমল ও মনিকা বাত্রা। চাইনিজ তাইপে জুটি লিন ইউন জু এবং চেঙ আই চিঙয়ের কাছে প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেলেন তাঁরা। ম্যাচের ফল ১১-৮, ১১-৬, ১১-৫, ১১-৪। হারের পর শরতের বক্তব্য, ‘শুরুটা যেভাবে করছিলাম, তাতে ৫-১ ব্যবধানে আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন হয়। আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি প্রতিপক্ষ।’