বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মোহন-ইস্ট মুখোমুখি হলেই অনেক কথা মনে পড়ে যায়। আমাদের সময়ে বড় ম্যাচের আবহই ছিল অন্যরকম। ইস্ট বেঙ্গল-এরিয়ান মাঠেই তখন চলত মোহন বাগানের অনুশীলন। টানা আট বছর পালতোলা নৌকায় সওয়ার ছিলাম। তখন বড় ম্যাচ হতো সিসিএফসি (বর্তমানে মোহন বাগান) মাঠে। তখন দুই দলের আলাদা ড্রেসিং-রুম ছিল না। সিসিএফসি’র সাজঘরে পাশাপাশি আমরা ড্রেস করতাম। দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌজন্য।
আমার সঙ্গে চুনী গোস্বামীর বোঝাপড়া ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ছিল ত্রাস। ওদের রক্ষণে তখন ব্যোমকেশ বসু, পরিতোষ চক্রবর্তী, প্রমোদ দাশগুপ্ত। এঁদের মধ্যে ব্যোমকেশ ছিল সবচেয়ে টাফ। আমার সঙ্গে ওর দ্বৈরথ নিয়ে জোর চর্চা চলত সংবাদমাধ্যমে। বড় ম্যাচে স্মরণীয় জয়ের প্রসঙ্গ উঠলে ১৯৫৪’র ম্যাচটির কথাই বলব। ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিলাম। স্কোরশিটে নাম ছিল আমারও। ওই পর্বে ম্যাচের ফলের থেকেও মোহন বাগানিদের নজর থাকত শৃঙ্খলাবোধ ও খেলোয়াড়োচিত মনোভাব বজায় রাখার দিকে। আমাদের সাইড বেঞ্চে তখন কর্তা হিসেবে থাকতেন গোষ্ঠ পাল ও উমাপতি কুমারের মতো কিংবদন্তি। কোচ বলাইদাস চ্যাটার্জি। ওই বিখ্যাত ত্রয়ী আমাদের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। পাঁচের দশকের প্রথম তিন বছর পঞ্চপাণ্ডবের সৌজন্যে ইস্ট বেঙ্গল সাফল্য পেয়েছিল। শেষ ছয়-সাত বছর অবশ্য প্রাধান্য ছিল আমাদেরই।