বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
১৯৭০’এর সাফল্য নিয়ে কার্লোস আলবার্তো ফিফা ডট কম’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘১৯৬৬ বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের রাফ ফুটবলই ব্রাজিলকে কাপ জিততে দেয়নি। তাই তারপর আমরা পাওয়ার ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলাম। বাকিটা ইতিহাস। ১৯৭০ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল মেক্সিকো। ওই দেশের উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা দু’মাসের বিশেষ ট্রেনিং করেছিলাম। বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে মারিও জাগালো কোচের দায়িত্ব নেন। বন্ধুর মতো মিশে উনি আমাদের সেরা পারফরম্যান্স বের করে নিয়েছিলেন।’
চার বছর আগের ব্যর্থতা ভুলতে মেক্সিকোর মাটিতে স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক ফুটবলই মেলে ধরেছিল জাগালো-ব্রিগেড। প্রসঙ্গক্রমে আলবার্তোর মন্তব্য, ‘আমাদের আপফ্রন্টে ভারসাম্যের বিন্দুমাত্র অভাব ছিল না। পেলে, টোস্টাওদের পাশে ছিল জর্জিনহোর মতো ফুটবলার। সেইসঙ্গে রিভেলিনো আর গারসন। জানতাম, প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা পেলেকে রুখতে ব্যস্ত থাকবে। সেই সুযোগটাই নিয়েছিল জর্জিনহো। পেলের সঙ্গে ওর বোঝাপড়াও ছিল চমৎকার।’
১৯৭০ বিশ্বকাপে গোটা টুর্নামেন্টেই দাপটের সঙ্গে খেলেছিল ব্রাজিল। ফাইনালের প্রথমার্ধে ১-১ ব্যবধান থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে ইতালিকে লড়াইয়ের জায়গা দেননি পেলে-জর্জিনহোরা। বিরতির পর তিনটি গোল হজম করেছিল ইতালি। যার মধ্যে শেষ গোলটি ছিল কার্লোস আলবার্তোর। সেই লক্ষ্যভেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই বিপক্ষ ডিফেন্স সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম। ওরা মূলত ম্যান টু ম্যান মার্ক করে খেলত। তাই কোচ আমাকে বলেছিলেন, পেলে-টোস্টাওদের রুখতে বিপক্ষ রক্ষণ ব্যস্ত থাকবে। তাই সুযোগ পেলেই রাইট চ্যানেল দিয়ে ওভারল্যাপে উঠতে হবে তোমায়। ফাইনালে পেলের দুরন্ত পাসই আমার কাজ সহজ করে দিয়েছিল। শট নেওয়ার সময়েই মনে হয়েছিল. আমি পেরেছি। এখনও সেই গোল নিয়ে অনেকে চর্চা করেন। শুনতে দিব্যি লাগে।’