বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে ঘরের মধ্যে থাকলেও নিজেকে ফিট রাখার অভ্যাস ত্যাগ করেননি সিন্ধু। তাঁর কথায়, ‘প্রতিদিন দেড়-দুই ঘণ্টা ঘরেই শরীরচর্চা করেছি। র্যাকেট হাতে স্যাডো প্র্যাকটিসও করেছি। হাইজাম্প দিয়েছি মাঝেমধ্যে। নিজের ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে গোপী স্যারের (গোপীচাঁদ) পরামর্শ কখনও অমান্য করি না। হায়দরাবাদে থাকলে কাকভোরে উঠে তাঁর অ্যাকাডেমিতে প্র্যাকটিসে নেমে পড়াই ছিল দস্তুর। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনের সময়ে আমি ঘুম থেকে দেরি করে উঠতাম। তাই দিনটা শুরু হত কিছুটা বিলম্বে। শেষ কবে টানা দুই সপ্তাহ বাড়িতে থেকেছি মনে করতে পারছি না। ঘরে থাকতে থাকতে মাঝেমাঝে বিরক্তও লাগত। আর তা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর সিনেমা দেখেছি টিভিতে। হিন্দি, তেলেগু, ইংরাজি কোনও ভাষার সিনেমাই বাদ যায়নি। এত সিনেমা দেখেছি যে সব সিনেমার নাম এখন আর মনে করতেও পারছি না। আবার কখনও মোবাইলে দেখেছি কিছু বাছাই করা হিন্দি গানের অ্যালবাম।’
ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এই তারকা খেলোয়াড় জানান, ‘অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের পর আমার ভাবনাতে স্রেফ ওলিম্পিকসই ছিল। প্র্যাকটিসে ওয়ার্কলোড বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। যোগ্যতা নির্ণায়ক টুর্নামেন্টেও খেলার কথা ছিল। ইংল্যান্ডে থাকার সময় বুঝেছিলাম এই মারণ ভাইরাস গোটা বিশ্বকে গ্রাস করতে চলেছে। আন্দাজ করতে পারছিলাম, নির্ধারিত সময়ে ২০২০ ওলিম্পিকস হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ওলিম্পিকস স্থগিতের সিদ্ধান্ত আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না।’ অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের জন্য ইংল্যান্ডে থাকার দিনগুলির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সিন্ধু বলেছেন, ‘ওখানে আমরা কারও সঙ্গে করমর্দন করিনি। স্টেডিয়ামের বাইরে মাস্ক পরেই থেকেছি। বারবার হাত ধোয়াও অভ্যাস করে ফেলেছিলাম। ভেবেছিলাম প্রতিযোগিতা বাতিল হবে। কিন্তু সংগঠকরা যখন প্রতিযোগিতা বাতিল করলন না, তখন নিজেরাই আরও বেশি সতর্ক হয়ে গিয়েছিলাম।’ ওলিম্পিকসে পদকজয়ী তারকাটি আরও জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বের বাকি দিনগুলিতে মাকে তিনি রান্না ঘরে সাহায্য করবেন।