ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কটক, ২০ ফেব্রুয়ারি: শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়। তারপর মিডল অর্ডারে দুরন্ত লড়াই। দিনের শেষে স্বস্তির হাওয়া বাংলা শিবিরে। এবারের রনজি ট্রফিতে যা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন বঙ্গের ক্রিকেটপ্রেমীরা। বৃহস্পতিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম দিনে সেই ছবিই ফিরল কটকের ড্রিমজ গ্রাউন্ডে।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় ওড়িশা। পিচে ঘাস আর বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় প্রথম সেশনে বিপক্ষ পেসারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি বাংলার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৪৬ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। কিন্তু প্রতি-আক্রমণেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে বের করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। শতরান পূর্ণ করতে তাঁর লেগেছে ১২৮টি বল। ১৩৬ রানে তিনি অপরাজিত। ২০টি বাউন্ডারি এসেছে অনুষ্টুপের ব্যাট থেকে। সপ্তম উইকেটে শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে ১৬৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। ৩৪ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দেন শ্রীবৎস। অনুষ্টুপের কথায়, ‘শ্রীবৎসের সঙ্গে ৯৫ রানের পার্টনারশিপটাই টার্নিং পয়েন্ট। প্রবল চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে আমরা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পেরেছিলাম বলেই ওড়িশার বোলাররা ব্যাকফুটে গিয়েছে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছে। ১৫-১৬ বছর ধরে বাংলার হয়ে খেলছি। এরকম বহু ম্যাচের সাক্ষী থেকেছি আমি। তাই বাড়তি কোনও চাপ অনুভব করিনি।’
কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে তৃপ্ত অনুষ্টুপ বলেন, ‘দিল্লির বিরুদ্ধে ৯৯ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর খুব আক্ষেপ হয়েছিল। তা অবশেষে মিটল। রনজিতে শেষ শতরান পেয়েছিলাম বছর তিনেক আগে। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতি মর্যাদা রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আমি কখনই ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা মাথায় রেখে খেলি না। দলের সাফল্যই আমাকে বেশি আনন্দ দেয়। ম্যাচটা জিতলে এই ইনিংস প্রাপ্য সম্মান পাবে।’ দ্বিশতরানের হাতছানি অনুষ্টুপের সামনে। যদিও সে ব্যাপারে তিনি মাথা ঘামাতে রাজি নন। কটক থেকে ফোনে বাংলার ব্যাটসম্যানটি জানান ‘ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবছি না। সবার আগে সাড়ে তিনশোর গণ্ডি টপকাতে হবে। শাহবাজ খুব ভালো ব্যাট করছে। আমরাই দলের স্কোর বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’ শাহবাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ অরুণ লাল। তাঁর কথায়, ‘এত ভালো অলরাউন্ডার বহুদিন পরে পেয়েছে বাংলা। প্রত্যেক ম্যাচেই ও ব্যাটে কিংবা বলে কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করছে। আমি খুশি হবো, ও যদি অনুষ্টুপের মতোই শতরান করতে পারে।’ শাহবাজ ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮২ রানে ক্রিজে আছেন। বাংলার দুই ওপেনার গত ম্যাচেও রান পাননি। কৌশিক ঘোষ ৯ ও ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অভিষেক রামনের সংগ্রহ মাত্র ১ রান। মনোজ তিওয়ারির মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যান ৪ রানে লেগ বিফোর হওয়ায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। অর্ণব কঠিন সময়ে ২৪ রান যোগ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলা ৩০৮/৬ (অনুষ্টুপ ব্যাটিং ১৩৬, শাহবাজ ব্যাটিং ৮২, শ্রীবৎস ৩৪, প্রীত সিং ২/৫২, সূর্যকান্ত ২/৯৬)।
দিনের শেষে শাহবাজ ও অনুষ্টুপ।