বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নিজের খেলা সেরা ডার্বির প্রসঙ্গ উঠতেই স্মৃতির সরণীতে ডুব শিশিরের। কয়েক মুহূর্ত পরেই উত্তর, ‘এত স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছি, যে আলাদা করে সেরা বেছে নেওয়া বেশ কঠিন। তবে ১৯৮৯ সালে মোহন বাগানের শতবর্ষে কলকাতা লিগের ডার্বি কোনও দিন ভুলতে পারব না। সেবার আমি মোহন বাগানের অধিনায়ক। ইস্ট বেঙ্গলের নেতা কৃশানু। আমার শেষ গোলটা রেফারি অন্যায্যভাবে বাতিল করেছিলেন। না হলে ডার্বিতে প্রথম হ্যাটট্রিক এই অধমের নামের পাশেই লেখা হতো।’
শিশির ঘোষ যে সময়ে ফুটবল খেলেছেন, তখন ময়দানের পরিবেশ এতটা যান্ত্রিক ছিল না। ডার্বি নিয়ে উত্তেজনায় ফুটত গোটা বাংলা। সেই নিয়ে তাঁর আক্ষেপ, ‘দেখুন, ডার্বির উত্তেজনা চিরকালীন। এ নষ্ট হওয়ার নয়। কিন্তু এখনকার ফুটবলারদের গুণগত মান দেখলে কষ্ট হয়। যোগ্যতা না থাকলেও অনেকে দুই প্রধানের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামে। আর বিদেশিরা? এদের অনেকে আমাদের সময়ে মোহন-ইস্টের স্কোয়াডে জায়গা পেত না। কর্তাদের মধ্যেও সেই জোশ এখন কোথায়? যাবতীয় আবেগ শুধুমাত্র সমর্থকদেরই মধ্যে। এবারেই দেখুন, সালভা চামোরোকে মরশুমের মাঝপথে ছেড়ে দিতে হল। তার অর্থ এই যে, নেওয়ার আগে কর্তা কিংবা কোচ, কেউই পরখ করার পথে হাঁটেননি।
রবিবারের ডার্বিতে বড় ভূমিকা নিতে পারেন ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজ এবং হুয়ান মেরা। এই দুই বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে শিশিরের মূল্যায়ণ, ‘এরা মন্দের ভালো। তবে ডার্বিতে স্বদেশি ফুটবলাররা গোল পেলে আমার বেশি ভালো লাগবে। আমাদের সময়ে এই ম্যাচ বহু ফুটবলারকে তারকার মর্যাদা এনে দিয়েছে। আশায় রয়েছি, রবিবারের ডার্বিতেও সেরকম কেউ উঠে আসবে।’
সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ সরকার