ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন জগন্নাথ সরকার। কখনও ব্যক্তিগত কুৎসা নিয়ে বাজার গরম হয়েছে, আবার কখনও আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবককে আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জগন্নাথ সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, আপনাদের এখানকার প্রার্থী জগন্নাথ। একটু খোঁজ নেননি সে কী করে? সবাই জানে, লোকাল লোক জানে। আর আমরা জানি না? এরপরেই নেত্রী বলেন, কেন মুকুটমণি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এল? আসলে ওরাও সবটাই জানে। লজ্জায় শিউরে ওঠে। এদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার, ক্ষমতা কোনওটাই নেই।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রথম তালিকায় জগন্নাথ সরকারের নাম দেখে দলের নদীয়া জেলা নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পাঁচ বছর জগন্নাথ সাধারণ মানুষের দিকে ফিরে তাকাননি বলে অভিযোগ। তারপরেও দ্বিতীয়বার তাঁকে টিকিট দেওয়া নিয়ে পদ্ম শিবিরের কর্মী সমর্থকদের একাংশ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে। এর প্রতিবাদে দু’দিন পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এরপর মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে বিজেপির জগন্নাথের বিরুদ্ধে রানাঘাট কেন্দ্রে মুকুটমণিকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন মুকুটমণি বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, এদিন তারই ব্যাখ্যা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, সিবিআই থেকে বাঁচতে চাও, তাহলে বিজেপিতে চলে যাও। ইনকাম ট্যাক্স থেকে বাঁচতে চাও, বিজেপিতে মাথা গলাও। কিন্তু, মুকুটমণি দু’নম্বরি কাজ করেনি বলেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে।
শান্তিপুরে আদিবাসী যুবকের উপর আক্রমণ নিয়েও সুর চড়ান তৃণমূল নেত্রী। পুকুরের লিজ জগন্নাথের নামে লিখে দিতে অস্বীকার করায় গত এপ্রিল মাসে শান্তিপুরের ডংক্ষীরা গ্রামের আদিবাসী যুবক সুব্রত মুন্ডাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে। মারের চোটে ওই যুবকের একটি পা ভেঙে যায়। হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি বাড়ি ফেরেন। আদিবাসী যুবককে মারধরের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শান্তিপুরের আড়বান্দি। এদিন সেই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিপুরে আদিবাসী যুবকের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। প্রশাসন আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে।
তৃণমূল নেত্রী এদিন যেভাবে লাগাতার বিজেপিকে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, এদিন মুকুটমণির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসে শুধুমাত্র দলীয় কর্মী সমর্থকদেরই চাঙ্গা করে যাননি মমতা। সাধারণ মানুষের কাছেও বিজেপির সাম্প্রদায়িক মানসিকতা স্পষ্ট করেছেন। এর প্রভাব ভোটব্যাঙ্কে পড়বে বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবির। নিজস্ব চিত্র