ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
মাধ্যমিক পরীক্ষার মাত্র দু’মাস আগে শুভজিতের ডান হাতে ফের নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। জেলাতেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানিয়ে দেন, অস্ত্রোপচার হওয়া ডান হাত থেকে শুরু হওয়া সংক্রমণের কারণে হতে পারে জীবনহানিও। তাই প্রাণ বাঁচাতে শুভজিতের কনুইয়ের কাছ থেকে ডান হাত বাদ দেওয়া হয়। ততক্ষণে অবশ্য মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যায়। অদম্য জেদ নিয়ে মাত্র দেড় মাসেই বাঁ হাতে লেখার অভ্যাস করে সে। প্রতিটি পরীক্ষাতেই লেখকের সাহায্য না নিয়ে কোনওক্রমে লেখা সম্পূর্ণ করে সে। মাধ্যমিকে ১৮৩ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে শুভজিৎ। ওর জেদ হার মানিয়েছে সবকিছুকে।
শুভজিৎ বলে, মাধ্যমিক মানে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই লড়াইয়ে আমি হারতে চাইনি। পাশ করার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, আমি ততটুকুই লিখতে পেরেছিলাম। ভালো ফল করতে না পারলেও আগামীর লড়াই নতুন করে অন্তত শুরু করতে পারব। শুভজিতের মা বলেন, ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন আবার নতুন করে দেখতে শুরু করেছে ছেলে। ও যে পাশ করবে সেটাই তো ভাবিনি। এখন মনে হচ্ছে, একটা হাত নিয়েই ও অনেক লড়াই করতে পারবে। শুভজিৎকে নিয়ে গর্বিত হরিপুর হাই স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁরা বলছেন, কত অল্পতেই আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। হার মেনে নিই। আর শুভজিৎ নিজের একটা হাত হারিয়েও নিজেকে প্রতিবন্ধী ভাবতে নারাজ। ও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক।
নিজস্ব চিত্র