নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের শান্তিপুরে এসে সভা করে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হলেও সেদিনের সভামঞ্চ থেকেই রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আজ, শনিবার ফের জোড়া জনসভার কর্মসূচি নিয়ে রানাঘাট কেন্দ্রে পা রাখছেন মমতা। দুপুরে প্রথমে চাকদহ, এরপর বিকেলে বীরনগরে সভা করবেন তিনি। ইতিমধ্যেই বীরনগর স্টেডিয়ামে রেকর্ড জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। দলনেত্রীর দুই সভাতেই মতুয়াদের ঢল নামবে বলে জানিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ২টো নাগাদ চাকদহের সিংহ বাগান সংলগ্ন ময়দানে রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর হয়ে প্রথম জনসভা সারবেন নেত্রী। পরের কর্মসূচি দুপুর ৩টে নাগাদ বীরনগরের বিভূতি পার্ক স্টেডিয়ামের সভা। তৃণমূলের দাবি, সভাস্থলের চার ভাগের দু’ভাগই থাকবে ব্যাপক সংখ্যায় মহিলা কর্মী-সমর্থক, বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে উপকৃত মহিলা ভোটার এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। 
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মানেই মহিলা কর্মীরা তো বটেই, আপামর মতুয়া বাসিন্দারাও সেখানে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। তাঁদের কেউ যাতে দলনেত্রীর বক্তব্য শোনা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই কারণেই প্রত্যেক বিধানসভাভিত্তিক ব্লকস্তরের নেতৃত্বকে অতিরিক্ত বাস ভাড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে চাকদহ ও রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা বিশেষ ভালো অবস্থায় নেই। সেই কারণেই এই দুই বিধানসভা এলাকায় জনসভার উপর জোর দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুই সভার পরেই দলের প্রার্থী ও জেলা নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে গত এক মাসের প্রচার, জনসংযোগের রিপোর্ট নিতে পারেন তিনি। বীরনগর পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শান্তিপুরের একাংশ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, রানাঘাট দক্ষিণ থেকে বড় সংখ্যায় কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আসবেন।