ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
গত ৩০ এপ্রিল দিবাকর জানার পুরো টিম বিজেপিতে যোগ দেয়। বহিষ্কৃত ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা তনুশ্রী জানা, প্রাক্তন প্রধান শিলাদিত্য হালদার, নিকুঞ্জ মান্না সহ মোট ৪০ জন জয়েন করেন। প্রায় তিন বছর তাঁরা বসেছিলেন। দিবাকর জানা সরাসরি পার্টিতে যোগ দেননি। তবে, বিজেপির হয়ে ভোট করাবেন বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন। তাঁর স্ত্রী সহ পুরো টিমকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
দিবাকর জানার হাতে দলের ব্যাটন চলে গেলে আগামী দিনে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে বিজেপির সমীকরণ বদলে যাবে। স্থানীয় নেতৃত্বের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে ওই ব্লকে শেষ কথা বলবেন দিবাকর। তাঁর রাজনৈতিক মুন্সিয়ানার কাছে অন্যরা টিকতে পারবেন না। তাই এই যোগদানকে সেখানকার বিজেপি নেতারা ঈশান কোণে কালো মেঘের মতো বড়সড় হুমকি বলেই মনে করছেন। আগামী দিনে আবারও দিবাকরের হাতে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে তাঁরা মনে করছেন। তাই আতঙ্কিত বিজেপি নেতারা জেলা সভানেত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে সরাসরি ইস্তফার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তালিকায় শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণাভ মহাপাত্র, তমলুক-২ মণ্ডল সভাপতি গণেশ ভঞ্জ, তমলুক-৩ মণ্ডল সভাপতি রঘুনাথ রানা সহ মোট ৭০ জন নেতার নাম রয়েছে। তাঁরা একযোগে ১মে জেলা পার্টি অফিসে জেলা সভানেত্রীকে ওই চিঠি দিয়েছেন।
এমনিতেই শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভুগছে। যে কারণে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার পরও নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে বারবার অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং ভেস্তে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর সঙ্গে পার্টির যোগাযোগ সেভাবে নেই। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি ডাক পান না। এরকম অবস্থায় দিবাকর জানার টিমকে দলে ঢুকিয়ে নতুন করে সমস্যা তৈরি হল।
এনিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অরুণাভ মহাপাত্র বলেন, কয়েকজনকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে জেলা সভানেত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তমলুক-২ মণ্ডল সভাপতি গণেশ ভঞ্জ বলেন, এই যোগদানে অনেক বুথ সভাপতি হতাশ। এরফলে নিচুতলায় সমস্যা হতে পারে। তাই জেলা সভানেত্রীকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পার্টি কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
দিবাকর জানা ঘনিষ্ঠ কাখর্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নিকুঞ্জ মান্না বলেন, আমরা প্রায় ৪০ জন বিজেপিতে জয়েন করেছি। বিজেপি পরিবারকে শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য। জেলা সভানেত্রী তাপসী মণ্ডল বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।