ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দোষ করলে কেউ ছাড় পাবে না।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও বিজেপি নেতা মানিক শ্যামলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ২২ এপ্রিল গোপীবল্লভপুর থানায় শ্যামসুন্দর দোলই নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, ৯ মার্চ সন্ধ্যায় নামে তিনি আশুই এলাকা থেকে হাতিবাড়ি এলাকায় একটি গাড়ি চেপে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামান মানিক শ্যামল। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চান দাপুটে বিজেপি নেতা। কিন্তু সেই টাকা তিনি দিতে চাননি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি চলার পর ৩০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেন মানিক। তবে বাড়ি ফিরে ভয়ে সেকথা জানাতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। ২২ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, থানায় অভিযোগের পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মানিক। আগেও এই ধরনের ঘটনার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে শুধু মানিক নন, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে পুলিসের অনুমান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মানিক শ্যামল বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই এলাকায় বেশ প্রভাব রয়েছে। ওঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রয়েছে। তিনি এলাকার ত্রাস। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি নেতার কোনও যোগ নেই। ওঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তৃণমূল এই ভাবে জিততে পারবে না। জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, বিজেপি দলটাই ধীরে ধীরে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের নিয়ে কিছুই বলার নেই। যেমন দল, তেমন তার নেতা-কর্মী।