ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
এদিন সকালে শান্তিপুরের বঙ্গহাট, ঘোষ মার্কেট এবং বেচা ঘোষের মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান মুকুটমণি অধিকারী। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী এবং শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। তাঁতের হাটে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন মুকুটমণি। কথা বলেন ক্রেতাদের সঙ্গেও। নির্বাচনী প্রচার বাদেও এখানকার ব্যবসায়ীদের মূল সমস্যার কথা উঠে আসে আলোচনায়। শান্তিপুরের মূল তিনটি কাপড়ের হাটে প্রায় চার হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। সপ্তাহের চারদিন এই তিনটি হাটে জেলার কাপড় ব্যবসায়ীরা তো বটেই, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কলকাতা, হাওড়া থেকেও তাঁত কাপড় নিতে আসেন ব্যবসায়ীরা। শান্তিপুরের তাঁত নির্ভর অর্থনীতির উন্নতির ক্ষেত্রে এই হাটগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শান্তিপুরের তাঁত কাপড়ের ডিজাইন সহজেই নকল করা হচ্ছে গুজরাতের সুরাতে। সেখানে সুতির সঙ্গে পলিস্টারের মতো উপাদান মিশিয়ে নিম্নমানের কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। উৎপাদন মূল্য শান্তিপুরের উৎকৃষ্ট মানের সুতির কাপড়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। আর সেই কাপড় এখন শান্তিপুরের হাটগুলোতে দেদার বিক্রি হচ্ছে। ফলে দামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে পারছে না শান্তিপুরের তাঁত। গুজরাত থেকে শান্তিপুরে নিম্নমানের কাপড় ঢোকা বন্ধ না হলে এখানকার কাপড় ব্যবসায়ীরা চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এদিন এই সমস্যার কথা তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণির কাছে তুলে ধরেন তাঁরা।
বঙ্গ তাঁত কাপড় হাট কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিভাস ঘোষ বলেন, আগের সাংসদের কাছেও এই সমস্যার কথা আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু গত পাঁচ বছরে শান্তিপুরের তাঁতের হাটকে বাঁচানোর কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। আমরা চাই যিনিই সাংসদ নির্বাচিত হোক না কেন, শান্তিপুরের তাঁত নিয়ে যেন হস্তক্ষেপ করেন।
ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি বলেন, সাংসদ নির্বাচিত হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে শান্তিপুরের তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেব। ভিন রাজ্যের কাপড় এখানে ঢোকা বন্ধ করে শান্তিপুরের তাঁতের মার্কেটকে না বাঁচালে ব্যবসায়ীদের রুজিরুটিতেও টান পড়বে। প্রসঙ্গত, পাওয়ারলুমের দাপটে এমনিতেই শান্তিপুর ও ফুলিয়ার হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা এখন হাতেগোনা। তার ওপর ভিন রাজ্য শান্তিপুরের কাপড়ের বাজার দখল করতে যেভাবে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তাতে তাঁতকে বাঁচাতে হলে সাংসদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁতশিল্পীরা। শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, শুধু শান্তিপুর শহর নয়, তাঁত কাপড়ের হাটগুলো শান্তিপুর ব্লক ও সংলগ্ন বড় অংশের অর্থনৈতিক ভিত্তি। শান্তিপুরের সম্পদকে বাঁচাতে বিজেপি সাংসদ কিছুই করেননি। তাই মানুষ এবার তৃণমূলের ওপরেই ভরসা রাখবেন।