সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: মাধ্যমিকে বিষ্ণুপুর মহকুমার সম্ভাব্য সেরা রত্নদীপা চিকিৎসক হতে চায়। বিষ্ণুপুর শহরের মাড়ুইবাজারের বাসিন্দা রত্নদীপা মাকুড় এবার মাধ্যমিকে ৬৮১ নম্বর পেয়েছে। শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের ওই ছাত্রী অল্পের জন্য মেধাতালিকায় স্থান না পেলেও তার এনিয়ে আক্ষেপ নেই। রত্নদীপা জানাল, সে প্রথমদিকে স্কুলে প্রথম ১০জনের মধ্যে ছিল। নবম শ্রেণি থেকে কঠোর পরিশ্রম করে টেস্ট পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে। মাধ্যমিকে বিষ্ণুপুর মহকুমায় সেরা হল সে। এতে রত্নদীপার পাশাপাশি তার অভিভাবক, আত্মীয় ও স্কুলের শিক্ষিকারাও খুব খুশি। রত্নদীপা বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ৯৭, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৬ এবং ভূগোলে ১০০ নম্বর পেয়েছে। শিবদাস সেন্ট্রাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুণ্ডু বলেন, রত্নদীপা শুরু থেকেই পড়াশোনায় ভালো। তবে সে নবম শ্রেণিতে ওঠার পর নিজেকে আরও পরিণত করেছে। তার এই সাফল্যে আমরা খুশি হয়েছি। বিদ্যালয় থেকে এবার ২৭২জন ছাত্রী মাধ্যমিকে বসেছিল। তার মধ্যে ২৪৯জন পাশ করেছে। রত্নদীপা মাকুড় সর্বোচ্চ ৬৮১নম্বর পেয়েছে।
রত্মদীপার বাবা পার্থসারথি মাকুড় সোনামুখীর মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক। মা রীতা মাকুড় গৃহবধূ। তাঁদের দুই মেয়ে। রত্নদীপা বড়ো। ছোট মেয়ে মণিদীপা একই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। রত্নদীপার মা বলেন, মেয়েকে আমরা পড়াশোনার বিষয়ে কখনওই জোর করিনি। সে তার নিজের মতো রুটিনমাফিক পড়াশোনা করেছে।
পার্থসারথিবাবু বলেন, আমি অফিসের কাজে বেরিয়ে যাই। মেয়েদের খুব একটা সময় দিতে পারি না। ওরা নিজের মতো পড়াশোনা করে। তবে আমার স্ত্রী ওদের গাইড করে। রত্মদীপা বলে, আমার সব বিষয়ের গৃহশিক্ষক ছিল। বাড়িতে নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করিনি। তবে স্কুল ও টিউশনের পড়া ছাড়াও নিজে থেকে সমস্ত বই একাধিকবার ঝালিয়ে নিয়েছিলাম। তাতেই সাফল্য এসেছে।অবসর সময়ে গান, আবৃত্তি ছাড়াও গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে রত্নদীপা। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়বে সে। তারপর জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেবে।