ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে রঘুনাথপুরের ২৪৮৩ একর জমির উপর গড়ে উঠবে ইন্ডাস্ট্রি হাব। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী’। সেই কর্মনগরীর মধ্যে রঘুনাথপুর-১ নম্বর ব্লকের লছমনপুর এলাকায় ৬০০ একর জমিতে সর্বভারতীয় সুসংহত ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠছে। কারখানা করার জন্য ৪,৫৯১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কাজের সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। শুধু লছমনপুর এলাকায় নয়, রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় নামি একটি ইস্পাত প্রস্তুতকারক সংস্থা তিনটি কারখানা গড়ে তুলেছে। তিনটি কারখানায় উৎপাদনের কাজ চলছে। নিতুড়িয়ার মদনডি, সাঁতুড়ির পোড়াডিহা এবং পাড়ার রুকনীতে কারখানাগুলি রয়েছে। তিনটি ব্লকে মোট ৫১৩ একর জমিতে চলছে সুসংহত ইস্পাত কারখানা। তিনটি ইস্পাত কারখানার জন্য ৩২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনটি কারখানার সম্প্রসারণ ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তার জন্য আরও ১০,৯৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৬৩০০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। বিনিয়োগ বাড়লে আরও প্রায় সাত হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
একইভাবে নিতুড়িয়া ব্লকের দীঘা পঞ্চায়েত এলাকায় গড়ে উঠছে একটি সিমেন্ট কারখানা। ৭০ একর জমিতে আধুনিক সিমেন্টের কারখানাটি গড়ে উঠছে। কারখানার জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কারখানায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০০-র বেশি মানুষ কাজ করছেন।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মুখে যা বলেন, তা কাজে করে দেখান। রঘুনাথপুরের শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। একাধিক শিল্পগোষ্ঠী বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। রাজ্য সরকারের হাতে থাকা জমির উপর আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি কারখানা গড়ে উঠবে। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নতিকরণ হতে চলেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ৩৫ কোটি টাকা দিয়ে রঘুনাথপুর-বরাকর রাজ্য সড়কের নতুনডির কাছে ওভারব্রিজ করা হয়েছে। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বেশ কয়েকটি কাজ শুরু হবে।
বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, শিল্পায়নের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আগামী দিনে রঘুনাথপুরে একাধিক উন্নয়নের কাজ হবে।
বাঁকুড়া লোকসভার সিপিএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, রঘুনাথপুরে ভালো রাস্তা নেই। রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। এলাকায় মানুষের কাজ নেই। তাই পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে এলাকার যুব সমাজকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে। একমাত্র বামেরাই পারে সমস্যার সমাধান করতে।