ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ইন্দ্রাণীর বাবা দেবপ্রসন্ন চক্রবর্তী পঞ্চায়েতের কর্মী, মা গৃহবধূ। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, মেয়ে প্রথম থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো। নিজে থেকেই পড়তে বসে যেত। কোনওদিন পড়ার জন্য বলতে হয়নি। সে বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৫, ভূগোলে ১০০ এবং ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯নম্বর পেয়েছে।
ছোট নীলপুরের বাসিন্দা দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যও অষ্টম হয়েছে। সে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র। বড় হয়ে সে চিকিৎসক হতে চায়। সে বলে, পড়াশোনার বাইরে খেলাধুলা করতে ভালোবাসি। মানুষের সেবা করার জন্যই চিকিৎসক হতে চাই। তার বাবা মানিক ভট্টাচার্য পেশার দন্ত চিকিৎসক। মা দীপা ভট্টাচার্য গৃহবধূ। ছেলের এই ফলাফলে তাঁরা উচ্ছ্বসিত। সে বাংলায় ৯৬, ইংরেজিতে ৯৯, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৫ এবং ভূগোলে ১০০নম্বর পেয়েছে।
বর্ধমানের শাঁখারিপুকুরের সম্পূর্ণা তা ৬৮৪নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে। তার বাবা ভূদেব তা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। মেধাবী এই ছাত্রী বিদ্যার্থী ভবন গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করে। সে বলে, পড়াশোনার বাইরে গান গাইতে ভালোবাসি। এছাড়া গল্পের বই পড়ার নেশা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। খুব কম সময়েই মোবাইল ঘাঁটতাম। সে বাংলায় ৯৯, অঙ্কে ৯৮, ইংরেজিতে ৯৪, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭, জীবনবিজ্ঞানে ৯৯, ভূগোলে ১০০ এবং ইতিহাসের ৯৭ নম্বর পেয়েছে।
জেলার পারুলডাঙা নসরৎপুর হাইস্কুল থেকে পঞ্চম হওয়া অর্ঘ্যদীপকে এদিন শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। স্বপনবাবু বলেন, আমাদের জেলা পড়াশোনায় অনেক এগিয়ে গিয়েছে। অর্ঘ্যদীপদের দেখে অন্যান্য পড়ুয়ারাও উৎসাহিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করেছেন। আগে অনেকেই ভালো ফল করেও টাকার অভাবে চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারত না। এখন অর্থের অভাবে কারও পড়াশোনা থমকে যায় না। উচ্চশিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে।
নসরৎপুর হাইস্কুলেরই অর্ণব বিশ্বাস দশম হয়েছে। কাটোয়ার কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের অনিল কোনারও দশম স্থান অধিকার করেছে। সুলতানপুর তুলসীদাস বিদ্যামন্দিরের মন্দিরের পড়ুয়া মৌর্য পাল দশম হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফলে চমক দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। গতবারও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া মেধা তালিকায় স্থান করেছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।