সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ কান্দি থানার জীবন্তি বাজার থেকে প্রচার শুরু করেন ইউসুফ। সেই সময় প্রখর রোদ ও গরম ছিল। যদিও তা উপেক্ষা করেই হাজারের বেশি দলীয় কর্মী-সমর্থক দলের পতাকা হাতে অপেক্ষা করছিলেন সেখানে। ইউসুফের সঙ্গে ছিলেন দলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। জীবন্তি বাজারে প্রচার শুরু হতেই সেখানে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে যায়। ইউসুফের রোড-শোয়ে ভিড়ের কারণে বহরমপুর-সুলতানপুর রাজ্য সড়কের উপর যান চলাচলও কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বাসের জানালা থেকে যাত্রীরা ভারতের জাতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকী বাসের কন্ডাক্টরও বাসের দরজা খুলে প্রার্থীর সঙ্গে হাত মেলান।
এরপর প্রচারের গাড়ি গোঁসাইডোব গ্রামের দিকে রওনা দেয়। গ্রামের রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য মানুষ ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন ইউসুফকে একবার দেখার জন্য। অনেকে ফুলের মালা হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আবার কেউ জলের গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন। মহিলারা ফুল ছড়িয়ে প্রার্থীকে বরণ করে নেন। আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকে উন্নয়নের দাবিও করেছেন। মানুষের এমন সাড়া পেয়ে আপ্লুত তৃণমূল প্রার্থী।
এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পরবর্তীতে ধলাগ্রাম উদয়চাঁদপুর লক্ষ্মীনারায়ণপুর হয়ে হাটপাড়া গ্রামে পৌঁছন। সেখান থেকে সাঁওতা পাড়া হয়ে মরুরা মাঠে প্রচার শেষ হয়। এরপর মধ্যাহ্নভোজ সারেন। ফের বিকেলের দিকে বিজয়নগর থেকে প্রচার শুরু হয়। পরপর কুমারপাড়া, মাদারহাটি, কুমারসন্দ, শোলপাড়া হয়ে গাঁতলাঘাট পর্যন্ত প্রচার করেন। পরে মহালন্দি পাম্প থেকে খাদিমপাড়া চাঁদপুর বটতলা হয়ে বাজারডাঙার কাছে এদিনের মতো প্রচার শেষ করেন।
প্রচারের মাঝে ইউসুফ বলেন, এখানকার মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে এবার বহরমপুর কেন্দ্রে তাঁরা সকলেই পরিবর্তন চাইছেন। এলাকার উন্নয়ন চাইছেন এখানকার বাসিন্দারা। আমি ওঁদের কাছে দায়বদ্ধ। জয়ী হলে মানুষের চাহিদা পূরণ করা আমার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হবে। ইউসুফের সঙ্গে থাকা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ববাবু বলেন, প্রার্থী যেদিকেই গিয়েছেন মানুষের ঢল নেমেছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের দলীয় প্রার্থীকে বরণ করেছেন। মানুষের ঢল প্রমাণ করে যে এবার বহরমপুরে পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এব্যাপারে আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত।