যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
তীব্র গরমের মধ্যে তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস দেখে অভিভূত হয়ে যান মমতা। তাঁদের উদ্দেশে নেত্রী বলেন, আপনারা এত গরমের মধ্যেও কষ্ট সহ্য করে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। আমি বেশি কথা বলব না। প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আমি কখনও দেখিনি তিন মাস ধরে নির্বাচন চলে। বিজেপির কথায় ইলেকশন কমিশন এই প্রথম তিন মাস ধরে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। ইলেকশনের জন্য কত মানুষ মারা যাচ্ছে, কত মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।
এদিন ভগবানগোলা বিধানসভার রানিতলার নির্বাচনী সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান, বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার, বিধায়ক মোশারফ হোসেন প্রমুখ। সভাস্থলে উপস্থিত জনতার মধ্যে সিংহভাগই মহিলা। সকাল ১১টা থেকে ধৈর্য্য ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই হাতপাখা নিয়ে এসেছিলেন। তবে কারও চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ ছিল না। সভাস্থলে জায়গা না হওয়ায় আচ্ছাদনের বাইরে ফাঁকা মাঠেই বহু কর্মী সমর্থক অপেক্ষা করছিলেন। প্যান্ডেলের ভিতরের থেকে বাইরে জমায়েত অনেক বেশি ছিল। সভাস্থলের পাশেই হেলিপ্যাড করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীকে চপার থেকে নামতে দেখার অপেক্ষায় ইট ভাটার মাটির ঢিপির উপরে বহু মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার প্রবল ইচ্ছায় ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাও তুচ্ছ হয়ে যায়। সভাস্থলে আসা কয়েকজন মহিলা বলেন, এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা করে পাই। দিদি বলেছেন, বিজেপি যত চেষ্টাই করুক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না।
খড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষে এক মহিলা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে পুলিস। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন। প্রবল ভিড়ে একটি বাচ্চা মায়ের হাত ছেড়ে হারিয়ে যায়। পরে তৃণমূল নেতৃত্ব শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের হাতে তুলে দেয়।