সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বুধবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছিল পুলিস। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে মিছিলে চলল অস্ত্র প্রদর্শন। বিজেপি প্রার্থীর অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, ওঁর তো আইনটা বেশি করে জানা উচিত। আমরাও তো রামনবমীর মিছিল করলাম। আমরা তো অস্ত্র নিয়ে অংশ নিইনি। তাতে কী মিছিল হয়নি, নাকি রাম ভক্তির প্রমাণ হল না? আসলে এভাবেই তো ওরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। জেলার মানুষ সেটা দেখছেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, ওরা হাইকোর্ট মানে না। নির্বাচন কমিশনকে পকটস্থ করে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। ইলেক্ট্রোরাল বন্ডে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ভোট করে। বিজেপি ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মেশায়। বিজেপির মতো দলের কাছে এটাই প্রত্যাশিত। রামনবমী এরাজ্যে বহুবার হয়েছে। ধর্মীয় কর্মসূচিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করলে যা হয়, এটা তারই প্রমাণ।
বিজেপি প্রার্থী অবশ্য বলেন, কোনও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরিনি। প্রতীকী কিছু অস্ত্র ছিল। যেগুলি কাঠ ও প্লাস্টিকের তৈরি। সম্পূর্ণ আইন মেনেই নাগরিক হিসেবে রামনবমীর মিছিলে যোগ দিয়েছি।
জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, আমরা প্রতীক হিসেবে হাতে অস্ত্র নিয়েছিলাম। রামচন্দ্র দুষ্টের দমনের জন্য অস্ত্র ধরেছিলেন। আজ যেভাবে সামাজে দুষ্টরা প্রকেট হচ্ছে, তারজন্য প্রতীকী অস্ত্র নিয়েছিলাম। ভারতীয় সংস্কৃতিতে সমস্ত দেবদেবীর হাতে অস্ত্র আছে। আমরা তাঁদের পুজো করি। তাঁদের হাতে অস্ত্র থাকা যদি ন্যায় হয়, তাহলে প্রার্থীর হাতে অস্ত্র থাকাটাও ন্যায়।
এদিন মুরারইয়ে ভাদিশ্বরে অনুমতি ছাড়াই রামনবমীর মিছিলে যোগ দিতে গেলে বিজেপি প্রার্থীকে বাধা দেয় পুলিস-প্রশাসন। যা নিয়ে থানার ওসি ও বিডিওর সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডা এবং ধস্তাধস্তি হয়। পরে প্রার্থী সহ বিজেপি কার্যকর্তারা রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি প্রার্থী বলেন, সনাতন ধর্মের ধারক ও বাহক হিসেবে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও নোটিস ছাড়াই আমাদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওসি এবং বিডিও শাসক দলের জার্সি পরে ওদের প্রার্থীকে জেতাতে নেমে পড়েছেন। এভাবে আমাদের জনজোয়ারকে আটকানো যাবে না। আমরা হাইকোর্টে যাব।
যদিও বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী বলেন, রামরনবী উৎসব কমিটি ওঁকে ডাকেনি। উনি যদি হঠাৎ করে মিছিলে ঢুকে যান তাহলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারত। তাই বাধা দেওয়া হয়। রামপুরহাট থানার পুলিস জানিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মিছিল হওয়ায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে।