সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কেতুগ্রাম ২ ব্লকের মৌগ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুপুর গ্রামটি খাতায় কলমে পূর্ব বর্ধমান জেলার অংশ হলেও আদতে গ্রামটির অবস্থান নদীয়া জেলার ভূখণ্ডে। পূর্ব বর্ধমান জেলা ও নদীয়াকে ভাগ করে এই কেতুগ্রাম ২ ব্লকের উপর দিয়েই বহমান ভাগীরথী। তাই কেতুগ্রামের চর সুজাপুর, রঘুপুর, নারায়ণপুর এবং সুজাপুর এই চারটি গ্রাম নদীয়া জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। রঘুপুর গ্রামটিও ভাগীরথীর অপর পারে অবস্থিত। সারা বছরই ভাগীরথীর ভাঙনে জেরবার হন কেতুগ্রামের রঘুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। একটু একটু করে গ্রামের বেশির ভাগই চলে গিয়েছে ভাগীরথীর গ্রাসে। কেতুগ্রামের কল্যাণপুর ফেরিঘাট পার হতেই রঘুপুর গ্রাম যাওয়া যায়। গ্রামের ১৫০টি পরিবারের ঘর ভাগীরথীর গর্ভে চলে গিয়েছে। যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা অনেকেই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন। অনেকে ভিটেমাটি, জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ভাগীরথীর চরে অন্যের জমিতে দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন। এদিন সেসব গ্রামগুলিতেও প্রচার সারেন প্রার্থী। চর সুজাপুর, রঘুপুর, নারায়ণপুর এবং সুজাপুর এই চারটি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর কৃষি জমি আছে। ভাগীরথীর তীরবর্তী এখানকার মানুষজন মূলত কৃষিকাজ করেই সংসার চালান। আখ চাষ বেশি হয় এসব গ্রামে। তবে সেচের জন্য চরম সমস্যায় পড়তে হয় এখানকার চাষিদের। সাবমার্সিবল পাম্প থেকে মোটা টাকা খরচ করে জল কিনতে হয়। তাই চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি, অন্তত চারটি গ্রামে কমপক্ষে দুটো রিভার পাম্প যদি সরকারি উদ্যোগে বসানো হয় তাহলে চাষের খরচ কমে। এদিন প্রার্থী অসিত মালকে দেখেই কমলাবাড়ি গ্রামের চাষি কানিকুড়ো ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রার্থীকে বলেন, রিভার পাম্প করে দেওয়ার জন্য। অসিত মাল তাঁদের বলেন, ভোটের পর বিষয়টা দেখবেন।
এদিন অসিত মাল বলেন, জনপ্রতিনিধি গেলে এলাকার মানুষজন তাঁদের অভাব অভিযোগ বলবেন এটা সাধারণ বিষয়। এখানে সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে চাষিদের বড় উপকার হবে। তবে রাজ্য সরকারকে প্রতিনিয়ত বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জিএসটি বাবদ টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকারকে কোনও টাকা দিচ্ছে না। এদিন অসিত মালের সঙ্গে ছিলেন কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ।
অন্যদিকে এদিন মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকা চষে বেড়ান বোলপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। তিনি এদিন পুঁইনি শিবমন্দিরে পুজো দেন। তারপরে সরগ্রাম, নসোনা, বুঁইচি, চন্দ্রপুর, কামাল, জামড়া হয়ে কলসা যান। সেখানে দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে গীঁধগ্রামে প্রচার সারেন। পিয়া সাহা বলেন, যেখানেই যাচ্ছি মানুষের সাড়া পাচ্ছি। সবাই আমাদের দু’ হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। এদিন পিয়া সাহা মঙ্গলকোট বিধানসভার কাটোয়া-১ ব্লকের অধীন গ্রামগুলিতে ঘোরেন। • নিজস্ব চিত্র