সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মঙ্গলবার অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের ঈদ মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দুই প্রার্থী। বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের পাশেই বসেছিলেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান। অনুষ্ঠান চলাকালীন দু’জনে নিজেদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। তাহের ও ইউসুফকে এক মঞ্চে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইমামরা। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। তাঁরা সকলেই মুর্শিদাবাদ জেলার তিন তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
সভা থেকে আবু তাহের খান বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সকলের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ চাইছি। এই জেলা থেকে আমি, ইউসুফ ও খলিলুর সাহেব তিনজনই যেন জিততে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, সেলিম তো পরীক্ষিত সৈনিক। বারবার তাঁদের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ৩৪ বছর ধরে বামেদের মানুষ দেখেছে। তাই তাদের আর সুযোগ পাওয়ার কোনও জায়গা নেই। বিধানসভায় তো মানুষ তাদের কী অবস্থান সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। ওদের শূন্যে পরিণত করেছে। তাই বামেদের আর সুযোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, এটাই মানুষ বলছে।
আইএসএফ প্রার্থী দিলেও মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রে তাদের কোনও দাপট নেই বলেও দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, আইএসএফের এখানে কিছুই নেই। আমার কেন্দ্রে সামান্যতম দাগ কাটতে পারবে না। মুর্শিদাবাদের মানুষ একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবে। আমার লোকসভা কেন্দ্রে মানুষও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, মানুষের ভোট নিয়েই পরীক্ষিত হবেন সেলিম সাহেব। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে আবু তাহেরই প্রত্যাখ্যাত হবেন। উনি যেখানেই যাচ্ছেন, মানুষ বলছে যে পাঁচ বছর তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। পার্লামেন্টে মানুষের কথা তুলে ধরেননি। তাই তাঁকে আর ভোট নয়। এমনকী তৃণমূলের লোকেরাও তাঁর দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। ভোটের ফলাফল বের হলে বোঝা যাবে, কে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আমি তাঁকে বলব, কতদিন পার্লামেন্টে মানুষের হয়ে কথা বলেছেন, সেই ভিডিও প্রকাশ করুন।
এদিকে আবু তাহেরের সমর্থনে ১৯ এপ্রিল জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিহরপাড়ায় সেই সভা ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার এখানে এসেছেন। তিন প্রার্থীর সমর্থনে তিনি আবার আসছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ব্যাপক ভিড় হবে। আমারা প্রতিটি সভার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আমাদের জেলায় পাঁচটা জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।