বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আবাস যোজনায় কারা বাড়ি পাবেন, ২০১৭ সালে একটি সমীক্ষা করে সেই নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। সেখান থেকে কাটছাঁট করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৮৯ জনের নামে আবাস যোজনার বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে সম্প্রতি। সেই তালিকা ধরে শুরু হয়েছে যাচাইপর্ব। প্রত্যেকটি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছেন পঞ্চায়েত ও ব্লকের কর্মীরা। যাচাইপর্ব যাতে একেবারে নিখুঁত হয়, সেই চেষ্টাই করছে জেলা প্রশাসন। পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে ব্লকগুলিকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আর সেই কাজ করতে গিয়েই বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কর্মীদের। ধেয়ে আসছে শাসকদলের নেতাদের হুমকিও। হাতে সময় কম। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে জেলাগুলির উপর। কিন্তু এ ধরনের বাধার সৃষ্টি হওয়ায় দেরি হচ্ছে কাজে। ২০১৭ সালে তৈরি তালিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গৃহহীন মানুষের মাথার উপর ছাদ করে দিতেই চালু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প। এই প্রকল্পে উপভোক্তা পিছু ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য। কিন্তু গরিব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে সেই তালিকায় ঢুকে পড়ছেন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী বহু মানুষ। জেলা প্রশাসনের এই আধিকারিক বলেন, অন্যান্য ব্লকের তুলনায় এধরনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি আসছে কেশপুর ব্লক থেকেই। কেশপুরের একাধিক অঞ্চলে আবাস যোজনার তালিকায় যে সমস্ত উপভোক্তার নাম রয়েছে, তাঁদের দোতলা বাড়ি, গাড়ি সবই রয়েছে। তালিকা যাচাইয়ে সেই নাম বাদ দিতে গেলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার কেশপুরের কলাগ্রাম পঞ্চায়েতের আমলদা, ছুতারগেড়্যা, আনন্দপুরের ঝাটিয়ারা, আমরাকুচির চরকা প্রভৃতি জায়গায় হঠাৎই পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন জেলাশাসক। তাঁর আশ্বাস, এই সমস্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু অভিযোগ আসছিল। প্রকৃত উপভোক্তাদের যাতে কেউ বঞ্চিত করতে না পারে, আমরা সেই চেষ্টাই করছি। কেশপুরের বিডিও দীপককুমার ঘোষ মানছেন, এধরনের একটা সমস্যা হচ্ছিল। তবে তালিকা ধরে নিখুঁত যাচাইপর্ব জারি থাকবে।