সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া পুরসভা এলাকায় মাত্র ১৭ হাজার বাসিন্দার করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বড় সংখ্যক বাসিন্দারা এখনও করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই শহরে ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রাপকদের সংখ্যা বাড়াতে পুরুলিয়া পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুরুলিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন প্রায় ৭০০ জনেরও বেশি লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে পুরুলিয়া পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর। এ বিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত বক্সী বলেন, পুরসভা এলাকাতে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। এরমধ্যে ১৮ বছরের কমবয়সিরাও রয়েছে। পুরসভা এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার বাসিন্দাকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং প্রায় ৯ হাজারের বেশি সংখ্যক বাসিন্দাকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মোট জনসংখ্যার তুলনায় শহরের ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় আমরা দ্রুত ভ্যাকসিন প্রাপকদের সংখ্যা বাড়াতে চাইছি। সে উদ্দেশ্যে পুরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুরুলিয়া শহরে বর্তমানে এমএসএ ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে প্রতিদিন মোট ৫০০ জনের বেশি লোককে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে আড়াইশো পুরুষ এবং আড়াইশো মহিলাকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সুপার স্প্রেডার, বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রয়োজনে এবং চিকিৎসার জন্য যাদের বাইরে যেতে হচ্ছে তাদেরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ধবঘাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০০ জনকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শহরের এমএসএ ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে টিকা নেওয়ার জন্য একদিন আগে লাইন দিয়ে টোকেন নিতে হচ্ছে। সেই টোকেন নিয়ে পরের দিন নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে। ইন্ডোরের ভেতরেই প্রায় ৪০০ জনের বসার জায়গা, পানীয়জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এবিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসক মৃগাঙ্ক মাহাত, প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রচার করছেন। প্রথমদিকে জেলার অন্যান্য প্রান্তের বাসিন্দাদের অনেকেই পুরুলিয়া শহরে এসে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তবে বর্তমানে ইন্ডোরের লাইনে মাইকিং করা হচ্ছে যাতে অন্যান্য ব্লক এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের নিজেদের এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন।