বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এব্যাপারে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা ও ব্লক সভাপতি আব্দুল কাশেম বলেন, আমাদের দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই এককাট্টা হয়ে নেমে পড়ব। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে এই কাবিল শেখের নাম প্রার্থী হিসেবে দেওয়ালে লেখা হয়েছিল। পরে প্রার্থী পরিবর্তন করে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে হাসানুজ্জামানকে নিয়ে এসে প্রার্থী করা হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাবিল শেখ কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও কার্যকরী ব্লক সভাপতি সেন্টু মুন্সি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে কাউকে অপছন্দ হতেই পারে, তবে আমাদের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দল যাকে প্রার্থী করবে তার জন্যই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে ব্লক থেকে অনেকেই দাবি তুলেছেন। সেইমতো বায়োডাটাও জমা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর কালীগঞ্জে কংগ্রেস দল থেকেই দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক হয়েছে। বামফ্রন্ট তিনবার বিধায়ক পেয়েছে। ২০১১সালে তৃণমূলের বিধায়ক হন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। ২০১৬সালে তাঁকে হারিয়ে দেন কংগ্রেসের হাসানুজ্জামান। পরে বিধায়ক হাসানুজ্জামান তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে ও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বিরোধীরা কার্যত গুটিয়ে যায়। গত লোকসভা ভোটে মহুয়া মৈত্র এলাকায় ঘুরেছেন। একের পর এক বুথ, অঞ্চল নিয়ে মিটিং করেছেন। নেতৃত্বও ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ গত লোকসভা ভোটে মহুয়া মৈত্র কালীগঞ্জ বিধানসভা থেকে সাইত্রিশ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড পান। ইতিমধ্যে মহুয়া জেলা সভাপতিও হয়েছেন। সংসদে সময় দেওয়ার পর তৃণমূল জেলা সভাপতি গোটা কালীগঞ্জ ব্লক বা বিধানসভার ১৩টি পঞ্চায়েতে কর্মীদের নিয়ে মিটিং, সম্মেলন করেছেন। একইসঙ্গে কী করে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা যায় তার পথও বাতলেছেন। কালীগঞ্জ ব্লকে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, পলাশী মনুমেন্ট যাওয়ার পথে বিরাট গেট হয়েছে। এর বাইরে রাজ্য সরকারের ঘোষিত পলিটেকনিক কলেজ, গভঃ কলেজ, পথের সাথী, কিষাণমান্ডি, একাধিক ভাতা, পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তা করা, উচ্চ বাতিস্তম্ভ, রাস্তা, পানীয় জল, কবরস্থান, শ্মশানঘাট, স্কুল সহ উন্নয়নের একাধিক কাজ হয়েছে। এই উন্নয়নে কংগ্রেসের যে জমি ছিল সেটা আর নেই, বলছেন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, কংগ্রেস বিধায়কের দল বদলে আমাদের আসা ও এলাকার উন্নয়নে বিরোধীরা কেউই এলাকায় তাদের জমি ধরে রাখতে পারেনি। তাই অন্য কোনও কারণে নয়, তৃণমূল নিজের জন্যেই এগিয়ে আছে। ২০১৬বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কালীগঞ্জে মোট দশ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বিজেপির আহ্বায়ক স্বপন ভৌমিক বলেন, আমরা এবার এখানে লড়াই দেব।