বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জিয়াগঞ্জ শহরের সৈদুগঞ্জ পালপাড়ার নিকাশি নালার আবর্জনা রাস্তায় উঠে এসেছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নর্দমার নোংরা জল মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। নোংরা জল মাড়িয়েই বাসিন্দারা যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আবার ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার নজরদারির অভাবেই সারাবছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পুরসভাকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
নিকাশি ব্যবস্থা জিয়াগঞ্জ শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যায়। নিকাশি নালার আবর্জনা রাস্তায় উঠে আসে। জিয়াগঞ্জবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বর্ষার কয়েক মাস ভোগান্তি বাড়ে। তবে পালপাড়ার অবস্থা আরও খারাপ। এখনও পালপাড়ার ভিতরে একটি ঢালাই রাস্তার উপরে নোংরা জল জলে রয়েছে। জলের উপর আবর্জনা ভাসছে। হাজার হাজার মশার লার্ভা ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে নোংরা লাগছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টি হলে শহরের অন্যান্য রাস্তায় জল জমলেও কয়েক ঘণ্টা পরেই নেমে যায়। কিন্তু পালপাড়ায় দিনের পর দিন জমে রয়েছে। যতদিন যাচ্ছে আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ বাড়ছে। অথচ পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। পালপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মী পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, জিয়াগঞ্জ শহরের মধ্যস্থলে বসবাস করেও বছরভর এই দুর্ভোগের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে রাস্তায় জল জমে আছে। বাজারে বা কোনও কাজে যেতে গেলে পিছন দিক দিয়ে অনেকটা ঘুরে যেতে হচ্ছে। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে উঠেছে। মশার উপদ্রবে দিনের বেলাতেও ঘরে মশারি টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে।
এব্যাপারে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই বাড়ির আবর্জনা রাস্তায় ফেলছেন। সেগুলি নর্দমায় জমে সমস্যা হচ্ছে। তবে শহরের নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজ শেষ হলে আর সমস্যা হবে না। নিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখতে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।