সন্তানের দ্বারা পরিবারে সুখ বৃদ্ধি। শারীরিক, ব্যবসায়িক আর পেশাদারি দিক শুভ। ধর্মে মতি। ... বিশদ
অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের দু’দিকে সারি সারি গাড়ির লাইন। এক ঘণ্টার উপর অবরোধ চলে। কাঁথি থানার পুলিস এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, কোভিড হাসপাতালের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ আসছে, তা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। করোনা আক্রান্ত মহিষাদলের একটি প্যাথলজি ল্যাবের কর্ণধারের এদিন মৃত্যু হয়। মাস দু’য়েক আগে কাঁথি শহরের সঞ্জীবন হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলে স্বাস্থ্যদপ্তর। কোভিড হাসপাতালে একজন রোগীর জন্য হাসপাতাল পরিকাঠামো, চিকিৎসকের ভাতা, খাওয়াদাওয়া সহ বিভিন্ন খাতে প্রতি ২৪ঘণ্টায় ১৮০০টাকা দেয় রাজ্য সরকার। কয়েকদিন ধরে খাবারের মান নিয়ে রোগীদের ক্ষোভ বাড়ছিল। এছাড়াও দুপুরে ভাত কম দেওয়ার সময়মতো খাবার না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দেশপ্রাণ ব্লকের অযোধ্যাপুরের এক যুবক এদিন অবরোধে নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, পাঁচ-ছ’দিন এই হাসপাতালে ভর্তি আছি। পেট ভরে খাবার দিচ্ছে না। সকালের টিফিন দেরি করে দিচ্ছে। দুপুরের খাবার পেতে বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ভাত চাইলে দিচ্ছে না। কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ার পর শৌচাগার ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। এরকম পরিবেশে থাকলে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ কাঁথি থানার এসআই জাকির হোসেন সহ আরও কয়েকজন পুলিসকর্মী ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে জাতীয় সড়কের দু’দিকে গাড়ির লম্বা লাইন। দীঘা থেকে কলকাতাগামী এসবিএসটিসি বাস দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। পুলিসের কাছে হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অবরোধকারীরা।
ওই হাসপাতালের মালিক নন্দদুলাল দাস অবশ্য বলেন, দু’মাস ধরে হাসপাতাল নিয়ে কোনও অভিযোগ ছিল না। চিকিৎসাধীন রোগীর জন্য অনেকের বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো হয়। খাবারের ভিতর বিড়ি, গুটখা পাঠানোর ঘটনাও আমাদের নজরে আসে। দিন কয়েক আগে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। এরপর আমরা বাড়ির খবার চেক করার সিদ্ধান্ত নিই। অযোধ্যাপুরের এক আক্রান্তের জন্য বাড়ি থেকে চিপস পাঠানো হয়েছিল। সেই প্যাকেট কেটে ভিতরে গুটখা পুরে ফের সিল করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকালে সুইপাররা ঝাড়ু দেওয়ার সময় ওই যুবক সুইপারকে বাধা দেন। তারপর ভিডিও তোলেন ওই আক্রান্ত। আমরা বিষয়টি জানার পর এনিয়ে আপত্তি করি। এদিন সকালে সুইপার ঢোকার সময় ফের তাঁকে আটকানো হয়। তারপরই অবরোধ করে। আমরা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই দিচ্ছি।